কোন দেশটি এশিয়া মহাদেশে নয়?
A
আফগানিস্থান
B
ইন্দোনেশিয়া
C
ইরান
D
মিশর
উত্তরের বিবরণ
যে দেশটি এশিয়া মহাদেশে নয় তা নির্ধারণে মূলত ভৌগোলিক অবস্থানই বিবেচ্য। মিশর এশিয়ার অংশ নয়, কারণ এর মূল ভূখণ্ড সম্পূর্ণভাবেই আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত।
• মিশরের বৃহত্তর অংশ নীলনদের পশ্চিম ও পূর্ব তীরে বিস্তৃত, যা আফ্রিকার ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
• দেশটির কেবলমাত্র সিনাই উপদ্বীপ এশিয়ার অংশে পড়ে, তবে সেটি পুরো দেশের তুলনায় সামান্য অঞ্চল এবং প্রশাসনিকভাবে মিশরকে আফ্রিকান রাষ্ট্র হিসেবে ধরা হয়।
• মিশরের রাজধানী কায়রো, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং প্রশাসন—সবই আফ্রিকা মহাদেশকেন্দ্রিকভাবে পরিচালিত হয়।
• অন্যান্য বিকল্প দেশগুলি সম্পূর্ণ বা প্রধানত এশিয়াতেই অবস্থিত, তাই সেগুলো সঠিক নয়।
এই কারণে মিশর-ই একমাত্র উপযুক্ত উত্তর।
0
Updated: 16 hours ago
এশিয়াকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে কোন প্রণালী?
Created: 6 days ago
A
জিব্রাল্টার প্রণালী
B
বসফরাস প্রণালী
C
বাবেল মান্দেব প্রণালী
D
বেরিং প্রণালী
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রণালীগুলো ভূ-রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এসব প্রণালী মহাদেশ ও দেশকে পৃথক করার পাশাপাশি মহাসাগর ও সাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে বৈশ্বিক নৌপরিবহনের প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিচে উল্লেখযোগ্য প্রণালীগুলোর অবস্থান, সংযোগ ও বিভাজন সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
১. বাবেল মান্দেব প্রণালী: এশিয়ার ইয়েমেন ও আফ্রিকার জিবুতি ও এরিত্রিয়াকে পৃথক করেছে। এটি লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরকে সংযুক্ত করে, যা সুয়েজ খাল হয়ে ইউরোপ-এশিয়ার নৌপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. জিব্রাল্টার প্রণালী: ইউরোপের স্পেন ও আফ্রিকার মরক্কোকে পৃথক করে এবং ভূমধ্যসাগরকে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত করে। এটি ইউরোপ-আফ্রিকা বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান গেটওয়ে।
৩. বসফরাস প্রণালী: ইউরোপীয় তুরস্ক ও এশীয় তুরস্ককে বিভক্ত করেছে। এটি কৃষ্ণ সাগর ও মারমারা সাগরকে যুক্ত করে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৪. বেরিং প্রণালী: রাশিয়া (এশিয়া) ও **আলাস্কা (উত্তর আমেরিকা)**কে পৃথক করেছে। এটি উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরকে সংযুক্ত করে এবং ইতিহাসে এশিয়া থেকে আমেরিকা অভিবাসনের সম্ভাব্য পথ হিসেবে বিবেচিত।
৫. মালাক্কা প্রণালী: মালয় উপদ্বীপ ও সুমাত্রা দ্বীপকে পৃথক করে এবং আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরকে যুক্ত করে। এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বাণিজ্যপথ।
৬. পানামা প্রণালী: মানবসৃষ্ট একটি জলপথ, যা মধ্য আমেরিকাকে বিভাজন করে এবং আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্ত করে। এটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭. পক প্রণালী: ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে পৃথক করে এবং বঙ্গোপসাগর ও মান্নার উপসাগরকে যুক্ত করে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।
৮. হরমুজ প্রণালী: ইরান ও ওমানের মধ্যে অবস্থিত, যা পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরকে সংযুক্ত করে। বিশ্বব্যাপী তেল পরিবহনের একটি প্রধান রুট এটি।
৯. লম্বক প্রণালী: বালি ও লম্বক দ্বীপকে পৃথক করেছে এবং জাভা সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযুক্ত করে। এটি মালাক্কা প্রণালীর বিকল্প নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই প্রণালীগুলো কেবল ভৌগোলিকভাবে নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য, জ্বালানি সরবরাহ ও সামরিক কৌশলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 6 days ago
এশিয়া মহাদেশে দেশের সংখ্যা কয়টি?
Created: 3 weeks ago
A
৩৩টি
B
৩৫টি
C
৫৩টি
D
৪৪টি
0
Updated: 3 weeks ago
‘বেরিং প্রণালী’ কোন দুটি মহাদেশকে পৃথক করেছে?
Created: 3 weeks ago
A
এশিয়া-ইউরোপ
B
এশিয়া-আমেরিকা
C
এশিয়া-আফ্রিকা
D
ইউরোপ-আফ্রিকা
‘বেরিং প্রণালী’ পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ জলরাশি যা দুই মহাদেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সীমানা তৈরি করেছে। এটি উত্তর গোলার্ধের এক প্রান্তে অবস্থিত এবং ভৌগোলিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই প্রণালী এশিয়া ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশকে আলাদা করেছে, যা ইতিহাস, পরিবেশ ও ভূগোল—সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
বেরিং প্রণালী উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
-
এটি রাশিয়ার সাইবেরিয়া অংশ এবং আমেরিকার আলাস্কা রাজ্যের মাঝখানে অবস্থিত একটি সরু জলরাশি।
-
প্রণালীর প্রস্থ প্রায় ৮৫ কিলোমিটার এবং সবচেয়ে গভীর অংশের গভীরতা প্রায় ৫০ মিটার।
-
এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা বা International Date Line অতিক্রম করেছে।
-
ইতিহাস অনুযায়ী, বরফ যুগে এই প্রণালী স্থলসেতু (Bering Land Bridge) আকারে ছিল, যার মাধ্যমে মানুষ ও প্রাণী এশিয়া থেকে আমেরিকা মহাদেশে অভিবাসন করেছিল।
-
এই পথ দিয়েই প্রথম মানবজাতি উত্তর আমেরিকায় পৌঁছেছিল বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন।
-
বেরিং প্রণালী আজও প্রাকৃতিক জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে, কারণ এটি আর্কটিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের ঠান্ডা ও উষ্ণ স্রোতের মিশ্রণ ঘটায়।
-
প্রণালীর নামকরণ করা হয়েছে ভিটাস বেরিং (Vitus Bering) নামের এক ড্যানিশ অভিযাত্রীর নাম অনুসারে, যিনি ১৭২৮ সালে এই প্রণালী আবিষ্কার করেন।
-
বর্তমান সময়ে এটি ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নির্ধারণ করে।
-
বেরিং প্রণালীতে দুটি ছোট দ্বীপ আছে — বিগ ডায়োমিড (রাশিয়ার অংশ) ও লিটল ডায়োমিড (যুক্তরাষ্ট্রের অংশ)। এই দুটি দ্বীপের মধ্যেই সময়ের পার্থক্য প্রায় একদিন।
সংক্ষেপে, বেরিং প্রণালী হলো একটি সরু জলপথ যা এশিয়া (রাশিয়া) ও উত্তর আমেরিকা (আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র) মহাদেশকে পৃথক করেছে। এটি কেবল ভূগোলগত সীমারেখা নয়, বরং মানব সভ্যতার প্রাচীন অভিবাসনের ইতিহাসের এক অনন্য সাক্ষী।
0
Updated: 3 weeks ago