A
বৃষ্টিপাত কমে যাবে
B
নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে
C
উত্তাপ অনেক বেড়ে যাবে
D
সাইক্লোনের প্রবণতা বাড়বে
উত্তরের বিবরণ
গ্রিন হাউস ইফেক্টের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি
-
গ্রিন হাউস ইফেক্টের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের উপকূল এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
-
২০০৭ সালে আইসিসি জানিয়েছিল, যদি ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়ে, তাহলে বাংলাদেশের উপকূলীয় ১০-১৫ শতাংশ ভূমি পানির নিচে চলে যেতে পারে।
-
এতে প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ বাসস্থান ও ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট
-
ওজোন স্তরের ক্ষতির কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ে, যার ফলে কৃষি ও পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে – একে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়।
-
এই প্রভাবের কারণে পৃথিবীর বাতাস ক্রমেই গরম হয়ে উঠছে।
-
ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে এবং নিচু এলাকার অনেক স্থান ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
-
এই প্রভাবের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস দায়ী, যাদেরকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রিন হাউস গ্যাস
-
জলীয় বাষ্প
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড
-
মিথেন
-
নাইট্রাস অক্সাইড
-
ওজোন
-
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC)
-
এছাড়াও, কার্বন ডাই সালফাইড ও কার্বনিল সালফাইড পরোক্ষভাবে গ্রিন হাউস ইফেক্টে ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 weeks ago
গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া এই দেশের জন্য ভয়াবহ আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে-
Created: 1 month ago
A
সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে
B
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যেতে পারে
C
নদ-নদীর পানি কমে যেতে পারে
D
ওজোন স্তরের ক্ষতি নাও হতে পারে
[গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে মেরু অঞ্চলসহ পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে সঞ্চিত থাকা বরফ গলতে শুরু করবে। যার কারণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর স্থলভাগের অনেক নিম্নভূমি সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত হবে।]
গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া ও তার প্রভাব
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে, যার প্রধান কারণ গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া। এই প্রতিক্রিয়ার ফলে মেরু অঞ্চলসহ পৃথিবীর অন্যান্য ঠান্ডা অঞ্চলে জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করে। এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যায় এবং বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।
গ্রিনহাউজ প্রভাব কী?
গ্রিনহাউজ একটি স্বচ্ছ কাঁচের তৈরি ঘর, যেখানে কৃত্রিমভাবে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ সৃষ্টি করে গাছপালা উৎপাদন করা হয়। সূর্যের আলো এই ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু সেই তাপ সহজে বাইরে বের হতে পারে না। ফলে ঘরের ভেতর উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
পৃথিবীকেও একধরনের প্রাকৃতিক গ্রিনহাউজ বলা যায়। সূর্য থেকে আগত তাপ পৃথিবীর পৃষ্ঠে পড়ে এবং কিছু অংশ ফিরে যেতে চাইলেও, গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলোর কারণে তা পুরোপুরি বের হতে পারে না। এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রা বাড়ার প্রক্রিয়াকেই গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া বলা হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও গ্রিনহাউজ গ্যাস
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা হয়, যা মূলত গ্রিনহাউজ প্রভাবের একটি ফলাফল। বিভিন্ন গ্রিনহাউজ গ্যাস যেমন—কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC), ওজোন (O₃) ও জলীয়বাষ্প এই উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
গ্রিনহাউজ কি?
Created: 2 days ago
A
কাঁচের তৈরি ঘর
B
সবুজ আলোর আলোকিত ঘর
C
সবুজ ভবনের নাম
D
সবুজ গাছপালা
গ্রিনহাউস হলো এমন একটি বিশেষ ধরনের ভবন যা উদ্ভিদকে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম থেকে রক্ষা করে। এটি মূলত এমন উদ্ভিদের জন্য ব্যবহৃত হয় যেগুলো স্বাভাবিক ঋতুতে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।
গ্রিনহাউস সাধারণত কাঠ বা ধাতব ফ্রেমের ওপর তৈরি কাচ বা শক্ত প্লাস্টিকের দেয়াল ও ছাদের মাধ্যমে গঠিত হয়। আধুনিক গ্রিনহাউসে সাধারণত ফল, শাকসবজি, ফুল এবং অন্যান্য উদ্ভিদ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুবিধা থাকে।
উৎস: Encyclopaedia Britannica

0
Updated: 2 days ago
গ্রিন হাউজে গাছ লাগানো হয় কেন?
Created: 1 month ago
A
উষ্ণতা থেকে রক্ষার জন্য
B
অত্যধিক ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার জন্য
C
আলো থেকে রক্ষার জন্য
D
ঝড়-বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য
গ্রিন হাউজ
-
শীতের সময় বেশি ঠান্ডা থেকে গাছকে বাঁচাতে কাঁচ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ঘর বানানো হয়।
-
এই কাঁচের ঘরকে বলা হয় গ্রিন হাউজ।
-
এতে সূর্যের আলো ভেতরে ঢুকে ঘরের ভিতরটা গরম রাখে, যা গাছের জন্য উপকারি।
-
তাই ঠান্ডা জায়গায় গাছ বাঁচিয়ে রাখতে গ্রিন হাউজে গাছ লাগানো হয়।

0
Updated: 1 month ago