আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে কোন রোগের চিকিৎসা হয়?
A
ম্যালেরিয়া
B
যক্ষ্মা
C
নেউমোনিয়া
D
কলেরা
উত্তরের বিবরণ
ICDDR,B একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যগবেষণা প্রতিষ্ঠান যা মূলত ডায়রিয়া, কলেরা এবং সংক্রামক রোগের গবেষণায় বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মহাখালী এলাকায় অবস্থিত এবং বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ও জনস্বাস্থ্য গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
• ICDDR,B এর পূর্ণরূপ International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh।
• এটি সাধারণভাবে ‘কলেরা হাসপাতাল’ নামে পরিচিত, কারণ কলেরা চিকিৎসা ও গবেষণায় এর অবদান উল্লেখযোগ্য।
• প্রতিষ্ঠানটি ডায়রিয়া রোগীদের জন্য ORS (Oral Rehydration Solution) উদ্ভাবন ও প্রচারে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
• আন্তর্জাতিক গবেষণা, প্রশিক্ষণ, টিকা উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নে এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 4 hours ago
চিকুনগুনিয়ার বাহক কোনটি?
Created: 2 days ago
A
অ্যানোফিলিস
B
কিউলেক্স
C
এডিস
D
সকল ধরণের মশা
চিকুনগুনিয়া হলো একটি ভাইরাসজনিত মশাবাহিত রোগ, যার মূল বাহক হলো এডিস মশা (Aedes aegypti ও Aedes albopictus)। এই মশা দিনে কামড়ায় এবং একই সঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাসেরও বাহক হিসেবে পরিচিত। রোগটির প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর, তীব্র গাঁট ব্যথা ও শরীর ব্যথা, যা সাধারণত কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়।
-
উৎপত্তি: প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৫২ সালে তানজানিয়ায়, যেখানে আফ্রিকার এক অঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
-
বাংলাদেশে প্রাদুর্ভাব: দেশে প্রথম ২০০৮ সালে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় এবং পরবর্তীতে ২০১৭ সালে বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
-
সংক্রমণ প্রক্রিয়া: সংক্রমিত মশা মানুষের রক্তে ভাইরাস প্রবেশ করায়; একবার আক্রান্ত হলে সাধারণত পুনরায় সংক্রমণ ঘটে না।
-
প্রতিরোধ: মশার বংশবিস্তার রোধ, জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখাই মূল প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
0
Updated: 2 days ago
বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ রোগ কোনটি
Created: 2 weeks ago
A
AIDS
B
প্লেগ
C
বসন্ত
D
কোনোটিই নয়
বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ রোগ হলো AIDS (Acquired Immunodeficiency Syndrome)। এটি HIV (Human Immunodeficiency Virus) দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ, যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে ফেলে, ফলে ব্যক্তি সহজেই বিভিন্ন সংক্রামক ও প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
AIDS সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বিষয় হলো:
– AIDS হলো HIV ভাইরাসের চূড়ান্ত পর্যায়, যা রোগীকে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অসুস্থ করে তোলে। HIV ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এটি মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি করতে থাকে।
– HIV ভাইরাস শরীরের CD4 T-cells (এক ধরনের সাদা রক্তকণিকা) ধ্বংস করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রক্ষা করে। এর ফলে, রোগী সহজেই সংক্রমিত হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়াল ও ফাঙ্গাল সংক্রমণের শিকার হয়।
– AIDS একটি বৈশ্বিক মহামারী হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, যেখানে এটি জনস্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ।
– AIDS ছড়ায় প্রধানত অসহীন যৌন সম্পর্ক, রক্তের মাধ্যমে, এবং মায়ের দুধের মাধ্যমে।
– বর্তমানে AIDS-এর জন্য কোনো সম্পূর্ণ নিরাময় নেই, তবে অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল থেরাপি (ART) চিকিৎসার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনযাত্রা উন্নত করা এবং জীবনের মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব।
– বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং UNAIDS এর মাধ্যমে AIDS প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা, নিরাপদ যৌন কার্যক্রম, রক্তের নিরাপত্তা এবং মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
– এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সহজে সংক্রামিত হওয়া, এবং চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি হওয়া।
– AIDS এর কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এর জন্য প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
তবে, অন্য রোগগুলির তুলনায় AIDS আরও মারাত্মক কারণ হলো, এটি মানুষের জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি সৃষ্টি করে এবং বর্তমানে এর প্রতিকার বা স্থায়ী চিকিৎসা নেই, যা এই রোগকে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ রোগের মধ্যে অন্যতম করে তোলে।
Answer: ক) AIDS
0
Updated: 2 weeks ago
AIDS-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 2 weeks ago
A
Acute Infection Disease Syndrome
B
Acquired Immune Deficiency Syndrome
C
Acquired Immunity Development System
D
Auto Immune Deficiency Signal
AIDS হলো এমন একটি মারাত্মক রোগ যা মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। এটি এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ, যার কারণ হলো HIV (Human Immunodeficiency Virus)। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে ধীরে ধীরে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে দেয়, ফলে শরীর সহজেই নানা সংক্রমণ ও রোগে আক্রান্ত হয়। নিচে AIDS সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দেওয়া হলো:
-
পূর্ণরূপ: Acquired Immune Deficiency Syndrome।
-
বাংলা অর্থ: অর্জিত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসজনিত সিন্ড্রোম।
-
আবিষ্কার: ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রথম AIDS রোগী শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী Luc Montagnier এবং Françoise Barré-Sinoussi এই রোগের কারণ HIV ভাইরাস আবিষ্কার করেন।
-
কারণ: এই রোগের মূল কারণ হলো HIV ভাইরাস, যা শরীরের CD4 কোষ (T-helper cells) আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয়। এই কোষগুলো মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মূল অংশ।
-
সংক্রমণের উপায়:
-
আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, বীর্য, যোনিস্রাব বা দুধের মাধ্যমে।
-
অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের ফলে।
-
সংক্রমিত সুচ বা ব্লেড ব্যবহার করলে।
-
মায়ের থেকে শিশুর শরীরে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে)।
-
-
সংক্রমণ হয় না:
-
স্পর্শ, হাত মেলানো বা আলিঙ্গনের মাধ্যমে।
-
একই বাসনপত্র ব্যবহার করলে।
-
মশা কামড়ানোর মাধ্যমে।
-
সাধারণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
-
-
লক্ষণ:
-
ওজন দ্রুত কমে যাওয়া।
-
দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, ক্লান্তি ও কাশি।
-
ঘন ঘন সংক্রমণ বা ত্বকে ঘা দেখা দেওয়া।
-
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় ছোট রোগও গুরুতর আকার ধারণ করে।
-
-
চিকিৎসা: বর্তমানে AIDS-এর স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে Antiretroviral Therapy (ART) নামের ওষুধের মাধ্যমে HIV নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এতে রোগীর আয়ু বৃদ্ধি পায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
-
প্রতিরোধ:
-
নিরাপদ যৌন আচরণ ও কনডম ব্যবহার।
-
রক্ত সঞ্চালনের আগে রক্ত পরীক্ষা।
-
একবার ব্যবহারযোগ্য সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার।
-
জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিয়মিত পরীক্ষা।
-
-
বিশ্বব্যাপী প্রভাব: AIDS বর্তমানে একটি বিশ্বজনীন স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ নতুনভাবে HIV আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আক্রান্তের হার বেশি।
-
বাংলাদেশে পরিস্থিতি: বাংলাদেশে HIV আক্রান্তের হার তুলনামূলক কম হলেও ঝুঁকি বিদ্যমান। সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সচেতনতা বৃদ্ধি, বিনামূল্যে পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা চালু করেছে।
-
স্মরণীয় দিবস: প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস (World AIDS Day)। এই দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণকে রোগটি সম্পর্কে সচেতন করা এবং আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা।
সংক্ষেপে, AIDS এমন একটি রোগ যা প্রতিরোধ করা সম্ভব কিন্তু সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়। তাই সচেতনতা, নিরাপদ অভ্যাস ও সময়মতো পরীক্ষা করানোই HIV/AIDS থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
0
Updated: 2 weeks ago