এগার-দফা আন্দোলন কখন হয়েছিল?
A
১৯৫৪ সালে
B
১৯৬৬ সালে
C
১৯৬৮ সালে
D
১৯৬৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন ছিল পাকিস্তান শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংঘটিত একটি ঐতিহাসিক গণজাগরণ। এই আন্দোলনের পেছনে মূল চালিকা শক্তি ছিল রাজনৈতিক অবিচার, বৈষম্য এবং শোষণের বিরুদ্ধে ছাত্র ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান।
• আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা দাবির মাধ্যমে, যা বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা দেয়।
• এর সঙ্গে যোগ ছিল সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত ১১ দফা, যেখানে শিক্ষা, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অধিকারের বিস্তৃত দাবি তুলে ধরা হয়।
• আন্দোলন ছিল স্বৈরাচার ও কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির গণঅসন্তোষের প্রতিফলন।
• এর ফলস্বরূপ স্বৈর শাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন, যা স্বাধীনতার পথে বড় পদক্ষেপ সৃষ্টি করে।
0
Updated: 5 hours ago
স্বদেশী আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল?
Created: 1 month ago
A
পর্তুগিজ পণ্য গ্রহন
B
ফরাসি পণ্য গ্রহণ
C
বিলেতি পণ্য বর্জন
D
আমেরিকান পণ্য গ্রহণ
স্বদেশী আন্দোলন ছিল বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করেছিল এবং জনগণকে বিদেশি পণ্য বর্জনের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার পথে এগোতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আন্দোলনের সূচনা ও প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো।
-
স্বদেশী আন্দোলন ছিল একটি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন।
-
এটি গান্ধীর পূর্ববর্তী আন্দোলনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল আন্দোলন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ করে, অর্থাৎ বাংলা প্রেসিডেন্সিকে দুটি প্রদেশে বিভক্ত করে।
-
কংগ্রেস ও হিন্দু সমাজ এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে, আর এর ফলেই একই বছরে স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা হয়।
-
আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি পণ্য বর্জন; পরে বিদেশি শিক্ষা বর্জনও এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল ইংরেজদের সকল কিছু বয়কট করা এবং স্বদেশী পণ্যের ব্যবহার বাড়ানো।
-
বাংলার সর্বত্র আন্দোলনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
-
তবে মুসলমানরা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে থাকায় তারা এই আন্দোলনে যোগ দেয়নি।
-
এর ফলে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সামাজিক বিভাজন বাড়তে থাকে।
0
Updated: 1 month ago