এডিস মশা নিচের কোন রোগটির বাহন?
A
গোদ রোগ
B
ম্যালেরিয়া
C
চিকুনগুনিয়া
D
ফাইলেরিয়া
উত্তরের বিবরণ
এডিস মশা মূলত শহুরে পরিবেশে প্রজনন করে এবং এই মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়ায়। অপরদিকে ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায় অ্যানোফিলিস মশা, যা সাধারণত অপরিষ্কার পানি বা জলাবদ্ধ স্থানে বংশবিস্তার করে। ফাইলেরিয়া রোগ বা গোদ রোগের ক্ষেত্রে বাহক হচ্ছে কিউলেক্স (Culex) মশা এবং রোগের মূল কারণ ফাইলেরিয়া কৃমি (Wuchereria bancrofti), যা মানুষের লসিকানালীতে বাস করে এবং হাত-পা বিকৃত করে দেয়।
• এডিস মশা: ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক
• অ্যানোফিলিস মশা: ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়
• কিউলেক্স মশা: ফাইলেরিয়া ছড়ায়
• ফাইলেরিয়া কৃমি: গোদ রোগ সৃষ্টিকারী পরজীবী
0
Updated: 7 hours ago
নিউমোনিয়া রোগ আক্রান্ত হয় মানবদেহের কোথায়?
Created: 4 hours ago
A
ফুসফুস
B
যকৃৎ
C
কিডনি
D
প্লিহা
নিউমোনিয়া একটি শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগ যেখানে ফুসফুসের অ্যালভিওলাইয়ে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাস দ্বারা সংক্রমিত হলেও সবচেয়ে বেশি হয় ব্যাকটেরিয়ার কারণে। রোগটি ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে জীবনঘাতী হতে পারে।
• নিউমোনিয়ায় ফুসফুস আক্রান্ত হয় এবং রোগীর জ্বর, কাশি, বুক ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
• জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয় যকৃত (Liver) এবং এতে বিলিরুবিন বেড়ে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যায়।
• ডিপথেরিয়া একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা মূলত গলায় সংক্রমণ সৃষ্টি করে এবং শ্বাসনালী সংকুচিত করতে পারে।
• এই রোগগুলোর প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি, টিকাদান এবং দ্রুত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।
0
Updated: 4 hours ago
কীসের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়?
Created: 2 days ago
A
আমিষ
B
শর্করা
C
আয়োডিন
D
ভিটামিন
সামুদ্রিক মাছ ও সামুদ্রিক শৈবাল হলো আয়োডিনের প্রাকৃতিক উৎস, যা মানবদেহে থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই হরমোন শরীরের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আয়োডিনের ঘাটতি হলে গলগণ্ড (Goitre) বা ঘ্যাগ রোগ দেখা দেয়, এতে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় এবং ঘাড় মোটা হয়ে যায়।
• আয়োডিনের উৎস: সামুদ্রিক মাছ, শৈবাল, আয়োডিনযুক্ত লবণ।
• আমিষের অভাবে: শিশুদের মধ্যে মেরাসমাস ও কোয়াশিয়রকর রোগ হয়, যা অপুষ্টিজনিত সমস্যা।
• ভিটামিনের অভাবে রোগ:
– ভিটামিন A: রাতকানা।
– ভিটামিন C: স্কার্ভি (দাঁতের মাড়ি নরম হয়ে যাওয়া)।
– ভিটামিন D: রিকেটস (হাড় বাঁকা হয়ে যাওয়া)।
0
Updated: 2 days ago
এন্টিবায়োটিকের কাজ-
Created: 2 weeks ago
A
জীবাণু ধ্বংস করা
B
জীবাণুর বংশ বৃদ্ধি করা
C
ভাইরাস ধ্বংস করা
D
জীবাণু বহন করা
এন্টিবায়োটিক এমন এক ধরনের ঔষধ যা মূলত ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি আমাদের দেহে প্রবেশ করা ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে বা তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। ফলে রোগের সংক্রমণ কমে যায় এবং শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে এন্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়, যেমন সর্দি-কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে এটি কাজ করে না।
-
এন্টিবায়োটিকের প্রধান কাজ হলো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা। এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর নষ্ট করে, প্রোটিন তৈরি বাধাগ্রস্ত করে বা ডিএনএ উৎপাদন রোধ করে। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া মারা যায় বা তাদের বংশবৃদ্ধি থেমে যায়।
-
প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন ১৯২৮ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং আবিষ্কার করেন। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত নানা রোগ যেমন নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, টনসিলাইটিস ইত্যাদিতে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়।
-
এন্টিবায়োটিকের প্রকারভেদ রয়েছে—কিছু জীবাণু সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে (bactericidal), আবার কিছু তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করে (bacteriostatic)। উদাহরণ হিসেবে পেনিসিলিন, টেট্রাসাইক্লিন, অ্যাম্পিসিলিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
-
ভাইরাসে এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। কারণ ভাইরাসের গঠন ব্যাকটেরিয়ার মতো নয় এবং তাদের নিজস্ব কোষপ্রাচীর বা বিপাক ক্রিয়া নেই। এজন্য ভাইরাসজনিত রোগে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
-
অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার বিপজ্জনক। অপ্রয়োজনে বা অসম্পূর্ণ কোর্সে এন্টিবায়োটিক সেবন করলে জীবাণুগুলো প্রতিরোধক্ষম হয়ে ওঠে, যাকে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। এটি ভবিষ্যতে চিকিৎসায় বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
-
সঠিকভাবে ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়, কারণ ভুল ব্যবহার দেহের উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও নষ্ট করতে পারে, যা হজম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
-
এন্টিবায়োটিকের প্রভাব মানবস্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের চিকিৎসায় এক বিশাল বিপ্লব ঘটিয়েছে এবং অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এন্টিবায়োটিকের মূল কাজ জীবাণু ধ্বংস করা, জীবাণুর বংশবৃদ্ধি বা ভাইরাস ধ্বংস করা নয়। তবে এটি ব্যবহার করতে হয় দায়িত্বশীলভাবে, চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে, যাতে মানবদেহ ও সমাজ দুটিই সুরক্ষিত থাকে।
0
Updated: 2 weeks ago