বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম কোন জেলা শত্রুমুক্ত হয়?
A
মাগুরা
B
মেহেরপুর
C
যশোর
D
ময়মনসিংহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা হিসেবে ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এ জেলা মুক্ত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ধারা দ্রুত বিস্তার লাভ করে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে।
• প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা: যশোর
• যশোর জেলা শত্রুমুক্ত হওয়ার তারিখ ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
• একই দিনে প্রথমে ভুটান এবং পরে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়
• যশোর মুক্ত হওয়ার ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি পায়
• এ দিনটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ধারাবাহিকতা শুরু হওয়ার ঐতিহাসিক দিন হিসেবেও গণ্য
• যশোর মুক্তির পর ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলে বিজয়ের গতি আরও ত্বরান্বিত হয়
0
Updated: 7 hours ago
শ্রাবণ বিদ্রোহ তথ্যচিত্রটি কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্মিত?
Created: 2 months ago
A
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
B
ভাষা আন্দোলন
C
মুক্তিযুদ্ধ
D
জুলাই গণঅভ্যুত্থান
শ্রাবণ বিদ্রোহ
-
‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ একটি তথ্যচিত্র।
-
এটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে।
-
এ তথ্যচিত্রে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস)
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন-
Created: 1 month ago
A
মেজর জিয়াউর রহমান
B
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
C
এ.কে. খন্দকার
D
মেজর খালেদ মোশাররফ
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সামরিক নেতৃত্ব ও সংগঠন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠনের পর তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
৭ জুলাই ১৯৭১, যুদ্ধের কৌশলগত প্রয়োজনে সরকার নিয়মিত পদাতিক ব্রিগেড গঠনের পরিকল্পনা নেয় এবং প্রথম ব্রিগেড হিসেবে ‘জেড ফোর্স’ গঠন করা হয়, যার অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
-
পরবর্তীতে সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ এবং ১৪ অক্টোবর ‘কে ফোর্স’ গঠন করা হয়।
-
এস ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ।
-
এই তিনটি ফোর্স মুক্তিযুদ্ধে সুসংগঠিত সামরিক অভিযান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
Created: 2 days ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
D
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত মুজিবনগর সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অস্থায়ী সরকার, যা স্বাধীনতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করে।
মূল কাঠামোগুলো ছিল নিম্নরূপ:
-
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সে সময় পাকিস্তানে কারারুদ্ধ ছিলেন।
-
উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমেদ, যিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশাসন পরিচালনা ও ভারতের সহযোগিতা সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
পররাষ্ট্রমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ, যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করেন।
-
এ সরকারের অধীনে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী গঠনের সূচনা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক বৈধতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 2 days ago