সূর্য কিরণ থেকে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়?
A
ভিটামিন ‘এ’
B
ভিটামিন ‘বি’
C
ভিটামিন ‘ই’
D
ভিটামিন ‘ডি’
উত্তরের বিবরণ
ভিটামিন ডি মানবদেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা প্রধানত হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সহায়তা করে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি (UV ray) ত্বকে পড়লে দেহে স্বাভাবিকভাবে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, তাই একে ‘সানশাইন ভিটামিন’ও বলা হয়।
• সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি (Ultraviolet ray) ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে
• খাদ্য উৎসের মধ্যে রয়েছে মাছের তেল, ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন, ঘি এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত খাদ্য
• ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণে সাহায্য করে
• জন্ম ও বেড়ে ওঠার সময় ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হতে পারে
• এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে হাড় নরম হয়ে যায় এবং শরীর দুর্বল হয়
0
Updated: 7 hours ago
The disease rickets, which affects bone development in children, occurs due to deficiency of:
Created: 1 month ago
A
Vitamin A
B
Vitamin C
C
Vitamin D
D
Vitamin B6
রিকেটস হলো একটি রোগ যা শিশুদের হাড়ের বৃদ্ধি ও বিকাশকে প্রভাবিত করে। এটি মূলত ঘটে যখন দেহে ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকে। ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর রাখতে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। শিশু পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না পেলে হাড় নরম ও দুর্বল হয়ে যায়, ফলে হাড় বাঁকানো বা বিকৃত হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়ের হাড়ের বাঁক, স্তনের হাড়ের বৃদ্ধি সমস্যা, দাঁতের দেরী বিকাশ এবং পেশীতে দুর্বলতা। সঠিক খাদ্য যেমন দুধ, ডিম এবং পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে সহায়ক। তাই রিকেটস প্রতিরোধে ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি সম্পর্কিত তথ্য:
-
ভিটামিন ডি মূলত প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায়।
-
সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত করতে সাহায্য করে।
-
প্রধান খাদ্য উৎস: ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন।
-
বাধাঁকপি, যকৃৎ এবং তেলসমৃদ্ধ মাছেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
-
ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে, যা হাড় তৈরির কাজে লাগে।
-
ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়।
-
অত্যধিক ভিটামিন ডি গ্রহণে অধিক ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষিত হয়ে রক্তে এদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে কিডনি, হৃৎপিন্ড, ধমনি ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি Water Soluble vitamin?
Created: 1 week ago
A
Vitamin C
B
Vitamin A
C
Vitamin D
D
Vitamin K
ভিটামিন সি হলো একটি Water Soluble Vitamin, অর্থাৎ এটি পানিতে দ্রবণীয়। শরীর এই ভিটামিন সঞ্চয় করতে পারে না, তাই নিয়মিত খাদ্যের মাধ্যমে এটি গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভিটামিন সি মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষত নিরাময় এবং ত্বক ও দাঁতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
• Water Soluble Vitamins হলো সেই ভিটামিনগুলো, যেগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত অংশ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ফলে এগুলোর নিয়মিত গ্রহণ অপরিহার্য। এই শ্রেণিতে Vitamin C এবং Vitamin B complex (B1, B2, B3, B6, B12, Folate, Biotin, Pantothenic acid) অন্তর্ভুক্ত।
• Vitamin C-এর রাসায়নিক নাম হলো Ascorbic Acid। এটি শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় না, তাই ফলমূল ও শাকসবজি থেকে এটি গ্রহণ করতে হয়।
• ভিটামিন সি-এর প্রধান উৎস হলো লেবু, কমলা, আনারস, আমলকি, পেয়ারা, টমেটো, সবুজ মরিচ, ব্রকলি ও স্ট্রবেরি। এসব খাবারে প্রচুর Ascorbic Acid থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
• ভিটামিন সি-এর কাজ
-
এটি Collagen নামক প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বক, হাড়, দাঁত ও টিস্যু মজবুত রাখে।
-
শরীরকে Iron শোষণে সহায়তা করে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে প্রয়োজনীয়।
-
এটি Antioxidant হিসেবে কাজ করে, যা কোষকে ক্ষয় ও বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে।
-
ঠান্ডা, কাশি বা ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্ষত নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।
• ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ হলো Scurvy। এতে মাড়ি থেকে রক্তপাত, দাঁত নরম হয়ে পড়ে, ত্বকে কালচে দাগ পড়ে এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এই রোগটি সাধারণত দীর্ঘদিন ফলমূল বা শাকসবজি না খাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।
• অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণেও কিছু সমস্যা হতে পারে যেমন— পেটব্যথা, ডায়রিয়া বা কিডনিতে পাথর জমা। তবে যেহেতু এটি পানিতে দ্রবণীয়, তাই শরীর অতিরিক্ত অংশ বের করে দিতে সক্ষম।
• অন্যদিকে, Vitamin A, D ও K হলো Fat Soluble Vitamins। এগুলো শরীরে চর্বিতে দ্রবীভূত হয় এবং লিভার বা টিস্যুতে সঞ্চিত থাকে। তাই এগুলোর ঘাটতি তেমন সহজে দেখা দেয় না, কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহণ ক্ষতিকর হতে পারে।
সুতরাং বলা যায়, Vitamin C হলো একমাত্র বিকল্প যা Water Soluble Vitamin হিসেবে শরীরের জন্য অপরিহার্য। এর নিয়মিত ও পরিমিত গ্রহণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে এবং সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 week ago
কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়?
Created: 3 weeks ago
A
ভিটামিন - বি
B
ভিটামিন - এ
C
ভিটামিন-সি
D
ভিটামিন-ডি
রাতকানা বা নাইট ব্লাইন্ডনেস (Night Blindness) হলো এমন একটি রোগ যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি রাতে বা অল্প আলোতে স্পষ্ট দেখতে পারে না। এই রোগটি মূলত ভিটামিন-এ এর ঘাটতির কারণে হয়। ভিটামিন-এ দৃষ্টিশক্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে রাতের আলোতে চোখের কার্যকারিতার জন্য।
0
Updated: 3 weeks ago