মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
A
নিষিদ্ধ লোবান
B
নেকড়ে অরণ্য
C
রাত্রিশেষ
D
বন্দী শিবির থেকে
উত্তরের বিবরণ
“বন্দী শিবির থেকে” কাব্যগ্রন্থটি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম। এই গ্রন্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বন্দী শিবিরের করুণ অভিজ্ঞতা ও মানবিক সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে।
• কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয় হলো মুক্তিযুদ্ধের সন্ত্রাস, দমন এবং বন্দী জীবন, যা পাঠককে ঐ সময়ের বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় করায়।
• লেখক বন্দী শিবিরে থাকা মানুষের মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণাকে সরাসরি চিত্রিত করেছেন।
• কবিতার ভাষা সরল ও প্রাঞ্জল, যা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ ও বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জাগায়।
• এই কাব্যগ্রন্থ বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যের এক মূল্যবান দলিল হিসেবে গণ্য করা হয়।
• পাঠক এখানে শুধু ইতিহাস জানে না, বরং মানুষের অসীম সাহস ও সহিষ্ণুতা-ও উপলব্ধি করে।
0
Updated: 4 hours ago
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন 'চর্যাপদ' -এর আবিষ্কারক-
Created: 5 months ago
A
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ডক্টর সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। এটি কেবল বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন নয়, বরং এটি গানের সংকলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন, রূপান্তরমান (আর্ন্ধবঙ্গীয় প্রাকৃতঘেঁষা) এবং এর মূল উপজীব্য ছিল বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার দার্শনিক ও গূঢ় ভাবধারা।
আবিষ্কার ও গুরুত্ব
১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
এই পাণ্ডুলিপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
পদকর্তা ও সংখ্যা
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বিভিন্ন গূঢ় তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।
-
ড. সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫১টি, যদিও তিনি নিজের রচিত ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেন এবং আলোচনা অংশে মুনিদত্তের ৫০টি ব্যাখ্যার কথাও বলেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাঁর সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদের কথা উল্লেখ করেন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত। তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
চর্যাপদ কেবল বাংলা ভাষার শুরুর ধাপেই একটি সাহিত্যিক চিহ্ন নয়, এটি বাঙালির আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রাচীন প্রমাণও বটে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এই পদগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের গর্ব ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago
৯) মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র কোনটি?
Created: 3 months ago
A
চাঁদ সওদাগর
B
ভাঁড়দত্ত
C
ধনপতি
D
মানসিংহ
মনসামঙ্গল কাব্য
সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু
-
সাপের দেবী মনসা-র স্তব, স্তুতি ও কাহিনি নিয়ে রচিত কাব্যকে মনসামঙ্গল বলা হয়।
-
একে পদ্মাপুরাণ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
রামায়ণ বা রাধাকৃষ্ণ-কাহিনি মূলত সংস্কৃত প্রভাবিত হলেও, মনসামঙ্গল উদ্ভূত হয়েছে বাংলার প্রাকৃত জীবন ও লৌকিক জীবনাচার থেকে।
প্রধান আখ্যান
-
চাঁদ সওদাগরের প্রথমে মনসা দেবীর প্রতি বিরূপ মনোভাব এবং পরে তাঁর অলৌকিক শক্তির প্রভাব স্বীকার করে বশ্যতা মেনে নেওয়াই মনসামঙ্গল কাব্যের মূল কাহিনি।
-
এই কাহিনি চৈতন্য-পূর্ব যুগ থেকেই নদী-নালা পরিবেষ্টিত গ্রাম বাংলার সর্পভীত মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
রূপ ও প্রচলন
-
মনসামঙ্গল মূলত পাঁচালি পালা।
-
এর কবির সংখ্যা শতাধিক, আর মুদ্রিত ও অমুদ্রিত পুথির সংখ্যাও বিপুল।
প্রধান কবি
-
আদি কবি: কানা হরিদত্ত
-
অন্যান্য কবি: বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকা দাস, ক্ষেমানন্দ প্রমুখ।
মনসামঙ্গলের প্রধান চরিত্র
-
মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
তুলনামূলক তথ্য
-
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের চরিত্র: ভাঁড়দত্ত, ধনপতি
-
অন্নদামঙ্গল কাব্যের চরিত্র: মানসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 3 months ago
কত সালে 'মেঘনাদবধ কাব্য' প্রথম প্রকাশিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৮৬০
B
১৮৬৫
C
১৮৫৯
D
১৮৬১
মেঘনাদবধ কাব্য
-
লেখক: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
প্রকাশ: ১৮৬১ সালে
-
উৎস: সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণ থেকে কাহিনি নেওয়া হয়েছে।
-
গঠন: কাব্যটি নয়টি সর্গে বিভক্ত।
-
ঘটনাবলি: কাব্যে তিনদিন ও দুই রাতের ঘটনা বর্ণিত।
-
মূল বিষয়বস্তু: বীরত্ব, অভিমান, আক্ষেপ, ট্রাজেডি ইত্যাদি।
-
নায়ক ও চরিত্র: রাবণকে কেন্দ্র করে ট্রাজেডি সৃষ্টি হয়েছে। কাব্যের প্রধান চরিত্র: রাবণ, মেঘনাদ, লক্ষ্মণ, রাম, প্রমীলা, বিভীষণ, সীতা, সরমা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago