A
৩১-১০-০৭
B
১-১১-০৭
C
৩-১১-০৭
D
১-১০-০৭
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
বাংলাদেশে রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে— আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ। এর মধ্যে বিচার বিভাগ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার শেষ ভরসাস্থল। এই বিভাগ নাগরিকদের অধিকার রক্ষা এবং আইন অনুযায়ী সঠিক বিচার নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা:
-
উচ্চতর বিচার বিভাগ (যেমন: সুপ্রিম কোর্ট)
-
অধস্তন বিচার বিভাগ (যেমন: জেলা ও নিম্ন আদালত)
বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে যে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা রাখতে হবে। কিন্তু অনেকদিন ধরে এ দুটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করত। অবশেষে ১ নভেম্বর, ২০০৭ সালে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা হয়।
এই দিনে, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছ থেকে বিচারিক ক্ষমতা বুঝে নেন, যা ছিল স্বাধীন বিচার বিভাগের একটি বড় পদক্ষেপ।

0
Updated: 4 weeks ago
বাংলাদেশের রাজধানী কোথায়?
Created: 2 weeks ago
A
ঢাকা উত্তর
B
ঢাকা দক্ষিণ
C
ঢাকা
D
শেরে বাংলা নগর
রাজধানী ঢাকা
-
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী (প্রথম ভাগ, অনুচ্ছেদ ৫) দেশের রাজধানী হলো ঢাকা।
-
ঢাকা বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর এবং এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
ইতিহাস
-
ঢাকার জনপদ হিসেবে ভিত্তি স্থাপিত হয় ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে এবং শহর হিসেবে গড়ে ওঠে ১২২৯ খ্রিস্টাব্দে।
-
মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬১০ সালে ঢাকাকে সুবাহ বাংলার রাজধানী ঘোষণা করেন এবং শহরটির নাম রাখা হয় জাহাঙ্গীরনগর।
-
১৬৫০ সালে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী রাজমহলে স্থানান্তর করেন, তবে ১৬৬০ সালে মীর জুমলা আবার ঢাকাকে রাজধানী বানান।
-
১৭১৭ সালে মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী স্থানান্তর করে মুর্শিদাবাদে।
-
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়, কিন্তু ১৯১১ সালে ব্রিটিশরা আবার রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তর করেন।
-
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলার রাজধানী হিসেবে ঢাকা স্থায়ীভাবে গুরুত্ব পায়।
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ঢাকা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে মর্যাদা পায়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 weeks ago
স্বাধীন বাংলাদেশকে কখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দান করে?
Created: 3 months ago
A
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
B
২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২
C
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
D
৪ এপ্রিল, ১৯৭২
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য দেশ। ৪ এপ্রিল ১৯৭২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রধান কর্মকর্তা হার্বার্ট স্পাইভ্যাক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের একটি বার্তা পৌঁছে দেন। বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। পরে, শেখ মুজিবুর রহমান ৯ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে একটি চিঠি প্রেরণ করেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালের ১৮ মে এবং প্রথম অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ডেভিস ইউজিন বোস্টার নিযুক্ত হন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬১ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭.৭২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
অন্যদিকে, এশিয়ার বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪ এপ্রিল ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম ভেনিজুয়েলা ২ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ব্রিটেন ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে, ফ্রান্স ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে, ব্রাজিল ১৫ মে ১৯৭২ সালে এবং আর্জেন্টিনা ২৫ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
সূত্র:
১. বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইট
২. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 months ago
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সাবমেরিন কেবলস অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কত দূরত্বের ব্যয় বহন করতে হবে?
Created: 1 month ago
A
৭০০ কিমি
B
৫৭০ কিমি
C
৩০০ কিমি
D
১৭০ কিমি
বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সাবমেরিন অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের জন্য ১৭০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই প্রকল্পের ব্যয় বহন করবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে পরিচালিত একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে বিএসসিপিএলসি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক তথ্য সুপারহাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে এবং বর্তমানে এটি দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল অপারেটর হিসেবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
২০০৮ সালের বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (সংশোধনী) অধ্যাদেশের ৫বি ধারার আওতায় কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনসহ এসএমডব্লিউ-৪ সাবমেরিন ক্যাবলকে বিলুপ্ত বিটিটিবি (বিটিটিবি) থেকে আলাদা করে
"বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)" নামের নতুন কোম্পানি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে আরজেএসসি কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে "বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)" রাখা হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সাবমেরিন যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য।

0
Updated: 1 month ago