কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বাঁধন-হারা' পত্রোপন্যাসে মোট কয়টি পত্র রয়েছে?
A
১২ টি
B
১৪টি
C
১৭টি
D
১৮টি
উত্তরের বিবরণ
বাঁধন-হারা:
- ‘বাঁধন-হারা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস, যা প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, যেখানে মোট ১৮টি পত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- নজরুল ইসলাম করাচিতে অবস্থানকালে এই উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
- এটি মুসলিম ভারত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র নুরুল হুদা, এবং অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রয়েছে মাহবুবা, রবিউল, রাবেয়া ও সোফিয়া।
কাজী নজরুল ইসলাম:
- তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- তাঁর জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) খ্রিস্টাব্দে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
- বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে এবং আধুনিক বাংলা গানে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
- ১৯৭২ সালের ২৪ মে, ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবিকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়।
- ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে, বাংলাদেশ সরকার তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদান করে এবং ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে।
- কবি মৃত্যুবরণ করেন ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩), ঢাকার পিজি হাসপাতালে।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা
- মৃত্যুক্ষুধা
- কুহেলিকা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় কোন কবিতা প্রকাশের কারণে কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
খেয়াপারের তরণী
B
প্রলয়োল্লাস
C
আনন্দময়ীর আগমনে
D
বিদ্রোহী
‘ধূমকেতু’ ছিল কাজী নজরুল ইসলামের এক বিপ্লবী সাহিত্য-উদ্যোগ, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১২ আগস্ট ১৯২২ সালে। এটি ছিল সপ্তাহে দু’বার প্রকাশিত একটি পত্রিকা, যার মাধ্যমে নজরুল তাঁর বিপ্লবী চেতনা ও রাজনৈতিক সচেতনতা তুলে ধরেন। বিশের দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতার পর যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের নতুন জোয়ার দেখা দেয়, তাতে এই পত্রিকার ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এক কথায়, ‘ধূমকেতু’ সশস্ত্র বিপ্লবীদের মুখপত্রে পরিণত হয়েছিল।
-
পত্রিকার শীর্ষে মুদ্রিত হতো রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাণী— “কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এ দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।”
-
‘ধূমকেতু’র আগমনী সংখ্যায় নজরুল প্রকাশ করেন তাঁর রাজনৈতিক প্রতীকময় কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’। এই কবিতার কারণে ৮ নভেম্বর সংখ্যাটি ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ করে এবং নজরুলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়।
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'ব্যথার দান' কোন শ্রেণির রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধগ্রন্থ
B
গল্পগ্রন্থ
C
কাব্যগ্রন্থ
D
নাটক
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের নাম ‘ব্যথার দান’। এটি প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল মোট ছয়টি গল্প। এ গ্রন্থটি নজরুলের সাহিত্যজীবনের সূচনায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
গ্রন্থভুক্ত গল্পগুলো হলো:
-
ব্যথার দান
-
হেনা
-
অতৃপ্ত কামনা
-
বাদল-বরিষণে
-
ঘুমের ঘোরে
-
রাজবন্দীর চিঠি
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
রিক্তের বেদন
-
শিউলিমালা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কত বঙ্গাব্দে?
Created: 3 weeks ago
A
১২ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৫
B
১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬
C
১লা আষাঢ় ১৩০৭
D
২৪শে বৈশাখ ১২৮৮
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের এক অনন্য প্রতিভা, যিনি “বিদ্রোহী কবি” নামে সর্বাধিক পরিচিত। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে (২৪ মে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে), ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। তিনি ছিলেন এমন এক কবি, যিনি কলম ও কণ্ঠে একইসাথে বিদ্রোহ, মানবতা ও প্রেমের জাগরণ ঘটিয়েছিলেন।
-
জন্ম: ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (২৪ মে ১৮৯৯ খ্রি.), চুরুলিয়া গ্রাম, আসানসোল মহকুমা, বর্ধমান জেলা, ভারত।
-
শৈশবে তিনি লেটো গানের দলে যোগ দেন, যা তাঁর সাহিত্যিক জীবনের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
-
পরবর্তীতে তিনি বর্ধমান ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন।
-
১৯১৭ সালে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগ দেন এবং করাচিতে কিছুদিন অবস্থান করেন।
-
সেনাজীবনের অভিজ্ঞতা তাঁর মধ্যে বিপ্লব, স্বাধীনতা ও ন্যায়ের প্রতি আকর্ষণ জাগ্রত করে, যা পরবর্তীতে তাঁর সাহিত্য ও সংগীতে প্রতিফলিত হয়।
-
তিনি “বিদ্রোহী কবি” নামে পরিচিত, কারণ তাঁর রচনায় বিদ্রোহ, প্রতিবাদ ও মুক্তির আহ্বান উচ্চারিত হয়েছে।
-
তাঁর রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতা তাঁকে বাঙালির স্বাধীনচেতা মননের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
-
মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারান এবং দীর্ঘকাল অসুস্থ জীবন অতিবাহিত করেন।
-
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁকে ঢাকায় আনা হয় এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।
-
তাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয় এবং তাঁর অবদানকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি জানানো হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম কেবল একজন কবি নন—তিনি ছিলেন সাহস, মানবতা ও মুক্তচেতনার প্রতীক, যাঁর কাব্য, গান ও চিন্তা আজও বাঙালির চেতনায় জীবন্ত।
0
Updated: 3 weeks ago