স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কে?
A
শেখ মুজিবুর রহমান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
D
আতাউর রহমান খান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী পদ ও নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গঠিত মুজিবনগর সরকার এবং স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় নির্বাচন রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থিতি ও কাঠামো তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে।
• মুজিবনগর সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ, যিনি যুদ্ধকালীন সরকারের প্রশাসনিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
• স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি তৎকালীন সংসদীয় কাঠামোর মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
• স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ মার্চ ১৯৭৩, যেখানে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
• এই নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি স্বাধীন রাষ্ট্রে প্রথম সাংবিধানিক সরকারের ভিত্তি স্থাপন করে।
0
Updated: 4 hours ago
‘ অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ কার আত্মকথা?
Created: 3 weeks ago
A
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক
B
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
C
শেখ মুজিবুর রহমান
D
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
0
Updated: 3 weeks ago
২০১৬ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর কততম জন্মবার্ষিকী পালন করা হলো?
Created: 2 weeks ago
A
৯৭ তম
B
৯৬ তম
C
৯৫ তম
D
৯৪ তম
২০১৬ সালের ১৭ মার্চ বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। এই দিনটি জাতির ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও বাঙালি জাতির মুক্তির পথপ্রদর্শক। তাঁর জন্মদিনে প্রতি বছর সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন।
-
বঙ্গবন্ধুর জন্ম: শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে।
-
জন্মবার্ষিকী গণনা: ২০১৬ সালে তাঁর জন্মের ৯৬ বছর পূর্ণ হয় (১৯২০ + ৯৬ = ২০১৬)। তাই ২০১৬ সালে পালিত হয় তাঁর ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী।
-
জাতীয় শিশু দিবস: ১৯৯৭ সাল থেকে ১৭ মার্চ দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়, কারণ বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন এবং তাদের দেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখতেন।
-
উদযাপন পদ্ধতি: এই দিনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
-
জাতীয় গুরুত্ব: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনী নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে উদযাপন করা।
-
বিশেষ থিম: বিভিন্ন বছর এই দিবসে নির্দিষ্ট থিম বা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়, যেমন “শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধু” বা “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ব আমরা” ইত্যাদি।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাই তাঁর জন্মদিন শুধু জন্মস্মৃতি নয়, এটি স্বাধীনতার চেতনার প্রতীকও।
-
জাতিসংঘ স্বীকৃতি: ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে, যা তাঁর নেতৃত্বের বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রকাশ করে।
-
ব্যক্তিগত জীবন: বঙ্গবন্ধু ছিলেন শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের সন্তান। শৈশবে তাঁকে সবাই “খোকা” নামে ডাকতেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর নেতৃত্বগুণ ও মানবপ্রেম ছিল স্পষ্ট।
-
উত্তরাধিকার: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আজও বাংলাদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সমাজে প্রেরণার উৎস। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
সুতরাং, ২০১৬ সালের ১৭ মার্চ পালিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী, যা জাতির ইতিহাসে এক গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
0
Updated: 2 weeks ago
জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয় –
Created: 2 weeks ago
A
২৩ মার্চ ১৯৭১
B
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
C
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭
D
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি পান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এবং তার পরের দিন অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে রেইসকোর্স ময়দানে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি প্রদান করেন তোফায়েল আহমেদ।
0
Updated: 2 weeks ago