বাংলা সাহিত্যের আধুনিক শাখা কোনটি?
A
ছোটগল্প
B
উপন্যাস
C
কাব্য
D
দিনলিপি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের গঠনধারায় সামাজিক বাস্তবতা ও মানবজীবনের অন্তর্গত পরিবর্তনের ফলে যে শাখাটি আধুনিক রূপ পেয়েছে, তা হলো ছোটগল্প। ছোটগল্প আধুনিক সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে স্বল্প পরিসরে গভীর জীবনবোধ তুলে ধরে।
• ছোটগল্পে অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা না রেখে একটি নির্দিষ্ট ঘটনার চারপাশে গল্প নির্মিত হয়, যা আধুনিক সাহিত্যধারার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
• এতে সংক্ষিপ্ততা, একক ভাব, চরিত্রের বাস্তব উপস্থিতি ও আধুনিক মননশীলতা স্পষ্ট থাকে।
• উপন্যাস, প্রবন্ধ বা কবিতার তুলনায় ছোটগল্প আধুনিক সময়ের গতি, নগরজীবন ও মানুষের মানসিক জটিলতাকে বেশি সূক্ষ্মভাবে প্রকাশ করে।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রমথ চৌধুরী ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটগল্পকে আধুনিক রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তাই বাংলা সাহিত্যের আধুনিক শাখা হিসেবে ছোটগল্প সর্বাধিক স্বীকৃত।
0
Updated: 5 hours ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 2 months ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদ তীরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে।
-
একজন মহাকবি ও নাট্যকার।
-
বাংলায় সনেট প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ:
-
বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যার উচ্চারণ স্বাভাবিক ও গদ্যভঙ্গির অনুসারী।
-
এটি তানপ্রধান ছন্দ, শ্বাসাঘাত নয়।
-
তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সাধারণত ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রার সর্বাধিক দীর্ঘ পর্বে রচিত হয়।
-
উনিশ শতকে মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করে এ ছন্দের সুরমুক্তি ঘটান।
-
অর্থাৎ, অমিত্রাক্ষর ছন্দ হলো বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ।
-
-
এ ছন্দ বাংলা সাহিত্যের চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়ণ করেছে।
-
মহাপয়ার: পয়ার ছন্দের একটি বিবর্ধিত রূপ, যেখানে পয়ারের ৬ মাত্রার অন্ত্যপর্বের পরিবর্তে ১০ মাত্রা হয়।
সুতরাং, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে কাব্যরীতি ও ছন্দের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারক।
0
Updated: 2 months ago
‘সুদীপ্ত শাহীন’ কোন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
নিষিদ্ধ লোবান
B
জাহান্নম হইতে বিদায়
C
জলাংগী
D
রাইফেল রোটি আওরাত
0
Updated: 2 months ago
সেলিনা হোসেন রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
রাজসিংহ
B
শহরতলী
C
কন্যাকুমারী
D
গায়ত্রী সন্ধ্যা
গায়ত্রী সন্ধ্যা সেলিনা হোসেন রচিত একটি ত্রয়ী উপন্যাস। একই শিরোনামে গ্রন্থটি তিন খণ্ডে প্রকাশিত হয় এবং এর পটভূমি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। দীর্ঘ আটাশ বছরের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এতে প্রতিফলিত হয়েছে। এ উপন্যাসে জাতির ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং নারীর অবস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর কথাসাহিত্যের মূল আখ্যান হলো অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং নারীমুক্তি। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ও ফিলিপ্স সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
হাঙর নদী গ্রেনেড
-
মগ্ন চৈতন্যে শিস
-
যাপিত জীবন
-
চাঁদবেনে
-
পোকামাকড়ের ঘরবসতি
-
গায়ত্রী সন্ধ্যা
-
দীপান্বিতা
গল্পগ্রন্থ
-
উৎস থেকে নিরন্তর
-
খোলকরতাল
-
মুক্তিযুদ্ধের গল্প
শিশু-কিশোর উপযোগী রচনা
-
সাগর
-
বাংলা একাডেমী গল্পে বর্ণমালা
-
বর্ণমালার গল্প
-
জ্যোৎস্নার রঙে আঁকা ছবি
-
চাঁদের বুড়ির পান্তা ইলিশ
এছাড়া উল্লেখযোগ্য যে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা করেছেন রাজসিংহ উপন্যাস, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন শহরতলী, এবং কন্যাকুমারী উপন্যাসের রচয়িতা রাশিদা আখতার।
0
Updated: 2 months ago