গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মনোগ্রামে কতটি তারকা চিহ্ন রয়েছে?
A
৪ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
২ টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামে লাল রঙের একটি বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙে আঁকা বাংলাদেশের মানচিত্র দেখা যায়। এই মনোগ্রামটি তৈরি করেছেন এ এন এ সাহা।
মনোগ্রামের ওপরের দিকে লেখা থাকে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ", নিচে লেখা থাকে "সরকার"। আর বৃত্তের দুই পাশে থাকে চারটি তারকা—প্রতিটি পাশে দুটি করে।
উৎস: বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইট, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রবর্তিত হয়-
Created: 1 month ago
A
১৭ এপ্রিল, ১৯৯১
B
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
C
৭ মার্চ, ১৯৭২
D
২৬ মার্চ, ১৯৭৩
• গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রবর্তিত হয়- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
--------------------------------
• বাংলাদেশের সংবিধান:
- বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয় গণপরিষদের মাধ্যমে।
- সংবিধান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়।
- সংবিধান প্রবর্তিত হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১৫৩ টি অনুচ্ছেদ আছে।
- সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায় আছে ১১টি।
- তফসিল আছে ৭টি।
- প্রস্তাবনা আছে ১টি।
- মূলনীতি আছে ৪টি।
- ১৯৭২ সালরে ১১ অক্টোবর খসড়া সংবধিান প্রণয়ন কমিটি সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেন।
- ১৯৭২ সালের ১৪ ডিসেম্বর সংবিধান স্পিকার কর্তৃক প্রমাণীকৃত হয়।
- ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে সংবিধান কার্যকর করা হয়।
• ১৫৩ নং অনুচ্ছেদ: প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযোগ্য পাঠ;
১৫৩ (১)-
এই সংবিধানকে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান" বলিয়া উল্লেখ করা হইবে এবং ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে ইহা বলবৎ হইবে, যাহাকে এই সংবিধানে "সংবিধান-প্রবর্তন" বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে।
১৫৩(২)-
বাংলায় এই সংবিধানের একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ ও ইংরাজীতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য অনুমোদিত পাঠ থাকিবে এবং উভয় পাঠ নির্ভরযোগ্য বলিয়া গণপরিষদের স্পীকার সার্টিফিকেট প্রদান করিবেন।
১৫৩(৩)-
এই অনুচ্ছেদের (২) দফা-অনুযায়ী সার্টিফিকেটযুক্ত কোন পাঠ এই সংবিধানের বিধানাবলীর চূড়ান্ত প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইবে; তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরাজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মিসর
B
ইরান
C
ইরাক
D
তুরস্ক
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর অর্জিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বীকৃতি পেতে কিছুটা সময় লেগেছিল। বিশ্বজুড়ে দেশগুলো একে একে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করে। এর মধ্যে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ইরাক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে, যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সৃষ্টি করে।
১. স্বীকৃতির প্রেক্ষাপট:
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। তখন বিশ্বরাজনীতি ঠান্ডা যুদ্ধের প্রভাবে বিভক্ত ছিল—একদিকে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান ব্লক, অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্ররা। পাকিস্তান যেহেতু মুসলিম বিশ্বের একটি প্রধান দেশ ছিল, তাই অনেক ইসলামিক দেশ প্রথম দিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। কিন্তু ইরাক বাংলাদেশের ন্যায্য স্বাধীনতার আন্দোলনকে সমর্থন করে স্বীকৃতি দেওয়ার সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
২. ইরাকের স্বীকৃতির তারিখ ও তাৎপর্য:
১৯৭২ সালের শুরুতে ইরাক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এটি ছিল মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য প্রথম কূটনৈতিক স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ইরাক প্রমাণ করে যে, মানবিক মূল্যবোধ ও জনগণের স্বাধীনতার অধিকারের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে এবং অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোকেও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে উৎসাহিত করে।
৩. ইরাকের অবস্থান ও কূটনৈতিক সাহসিকতা:
ইরাক সে সময় আরব লীগের সদস্য এবং মুসলিম বিশ্বের একটি প্রভাবশালী দেশ ছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পরও ইরাক বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল ভূমিকা নেয়। তারা মনে করেছিল, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে তাদের জনগণের অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের আন্দোলনে সফল হয়েছে—তাই এই স্বীকৃতি ন্যায়বিচারের প্রতিফলন।
৪. বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্য:
-
এই স্বীকৃতির ফলে বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে।
-
অন্য মুসলিম দেশ যেমন মিশর, তিউনিসিয়া, ও আলজেরিয়াও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে অনুপ্রাণিত হয়।
-
এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্যের সূচনা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে।
-
ইরাকের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ন্যায্যতা ও বৈধতা আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে।
৫. ঐতিহাসিক প্রভাব:
ইরাকের এই পদক্ষেপ শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি ছিল এক ধরনের নৈতিক সমর্থন বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। এর মাধ্যমে বিশ্ব বুঝেছিল যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল গণমানুষের মুক্তির আন্দোলন, কোনো বিচ্ছিন্ন বিদ্রোহ নয়।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে ইরাক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তাদের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের কূটনৈতিক পরিচিতিকে বিশ্বমঞ্চে দৃঢ় করে তোলে। ইরাকের এই সাহসী ও মানবিক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
মে. জে. জিয়াউর রহমান
B
মে. জে. সফিউল্লা লে.
C
জে. এইচ. এম. এরশাদ
D
জে. আতাউল গণি ওসমানি
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান সেনাপতি: জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী
-
জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনীর প্রথম প্রধান সেনাপতি।
-
১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, মুজিবনগরে গঠিত অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের সময়, তাকে মুক্তিবাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জেনারেলের পদে উন্নীত হন।
-
তার পদোন্নতি ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে কার্যকর করা হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago