'পদ্মাবতী' কাব্যের রচিয়তা-
A
আলাওল
B
শাহ মুহম্মদ সগীর
C
মুহম্মদ কবীর
D
দৌলত কাজী
উত্তরের বিবরণ
‘পদ্মাবতী’ মধ্যযুগীয় বাংলা কাব্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যার রচয়িতা আলাওল। তাঁর কাব্যভাষা, রূপান্তর দক্ষতা ও শিল্পসৌকর্য এই গ্রন্থকে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ পরিচিতি দিয়েছে।
• আলাওল আরাকান দরবারের কবি ছিলেন এবং সেখানেই তিনি পদ্মাবতীর বাংলা রূপ রচনা করেন।
• মূল গ্রন্থটি মালদার কবি মালিক মহম্মদ জায়সির হিন্দি ‘পদ্মাবত’ থেকে অনুবাদ, তবে আলাওল এর ভাষা ও মর্মার্থকে নতুন ব্যঞ্জনায় উপস্থাপন করেন।
• তাঁর রচনাশৈলীতে পারস্য-আরবি রীতির প্রভাব দেখা যায়, যা পদ্মাবতীকে আরও শিল্পসমৃদ্ধ করেছে।
• বাংলা কাব্যে নায়ক-নায়িকার মনস্তত্ত্ব, রোমান্স ও নৈতিকতার সমন্বয় এ গ্রন্থে বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
0
Updated: 5 hours ago
‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
বিষ্ণু দে
B
নবীনচন্দ্র সেন
C
নুরুল মোমেন
D
বিজন ভট্টাচার্য
বাংলা সাহিত্যে ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্যের অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন নবীনচন্দ্র সেন। তাঁর কাব্যে দেশপ্রেম, ইতিহাসচেতনা ও নৈতিক বোধ একত্রে প্রকাশ পেয়েছে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘পলাশীর যুদ্ধ’, যা বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে সাহিত্যরূপে উপস্থাপন করেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘পলাশীর যুদ্ধ’ নবীনচন্দ্র সেন রচিত একটি ঐতিহাসিক আখ্যানকাব্য।
-
এটি ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যটি প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন নবীনচন্দ্র সেন, কারণ এতে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবোধ ও ঐতিহাসিক সত্যের প্রকাশ ছিল।
নবীনচন্দ্র সেন সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ১৮৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষাজীবন শুরু করেন চট্টগ্রাম স্কুলে, পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. (১৮৬৫) এবং জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে বি.এ. (১৮৬৮) ডিগ্রি অর্জন করেন।
-
তিনি ১৯০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
অবকাশরঞ্জিনী
-
পলাশীর যুদ্ধ
-
রৈবতক
-
কুরুক্ষেত্র
-
প্রভাস
-
অমৃতাভ
0
Updated: 1 month ago
’চিত্তনামা’ কী ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধ
B
কাব্য
C
নাটক
D
গল্প
'চিত্তনামা' কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়, যা কাজী নজরুল ইসলামের সমকালীন প্রেক্ষাপটে রচিত। ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ২ আষাঢ়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ দার্জিলিংয়ে মৃত্যুবরণ করলে কবি শোকাহত হয়ে সমকালীন পত্রিকায় কবিতা রচনা করেন এবং সেই কবিতাগুলো সংগ্রহ করে 'চিত্তনামা' প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ: ১৯২৫
-
প্রেক্ষাপট: চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু ও তার প্রভাব
-
কাজী নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অগ্নি-বীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
সর্বহারা
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
নতুন চাঁদ
-
পুবের হাওয়া
-
জিঞ্জির
-
বিষের বাঁশি
-
দোলনচাঁপা
-
চন্দ্রবিন্দু
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
ভাঙার গান
-
সন্ধ্যা
-
0
Updated: 1 month ago
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের ধারা প্রবর্তন করেছিলেন কোন কবি?
Created: 1 month ago
A
মাণিক দত্ত
B
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
C
ময়ূরভট্ট
D
ঘনরাম চক্রবর্তী
মাণিক দত্ত চণ্ডীমঙ্গলের আদিকবি হিসেবে খ্যাত।
-
মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর কবিবন্দনায় মাণিক দত্তের নাম উল্লেখ আছে, যা থেকে ধারণা করা হয় যে তিনি চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের ধারা প্রবর্তন করেছিলেন।
-
মাণিক দত্তের নামে কিছু পুঁথি প্রচলিত আছে, তবে সেগুলি প্রাচীন নয়; সম্ভবত তাঁর কাব্য অনুসরণে অন্য কেউ এই পুঁথি তৈরি করেছেন।
-
কবির রচনা থেকে মনে হয় তিনি গৌড় বা মালদহ অঞ্চলের লোক, এবং তাঁর কাব্যে উল্লেখিত নদী ও গ্রামগুলো মালদহ অঞ্চলে অবস্থিত। তিনি ফুলুয়া নগরে বসবাস করতেন, যা বর্তমানে ফুলবাড়ি নামে পরিচিত।
-
কবি সম্ভবত ষোল শতকের বহু পূর্বে আবির্ভূত। চণ্ডীর উৎপত্তি ব্যাখ্যা দিতে যে সৃষ্টিতত্ত্ব বর্ণনা করেছেন, তাতে অভিনবত্ব লক্ষ্য করা যায় এবং ধর্মমঙ্গলের কাহিনির সঙ্গে মিল দেখা যায়।
-
আত্মবিবরণী অনুযায়ী, তিনি ছিলেন কানা ও খোঁড়া, দেবীর দয়ায় সুস্থ হন এবং দেবীর স্বপ্নাদেশে কাব্য রচনা করেন। কথিত আছে, কলিঙ্গরাজের উল্লেখের কারণে তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়, কিন্তু চণ্ডীদেবীর কৃপায় মুক্তি পান; পরবর্তীতে কলিঙ্গরাজও দেবীর অনুগত হন এবং রাজ্যে দেবীর পূজা প্রচলিত হয়।
অন্য উল্লেখযোগ্য ধর্মমঙ্গল কবি:
-
ময়ূরভট্ট: ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদিকবি; কোনো পুঁথি পাওয়া যায়নি; পরবর্তীকালের কবিদের রচনায় উল্লেখিত।
-
ঘনরাম চক্রবর্তী: আঠার শতকের ধর্মমঙ্গল ধারার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি।
0
Updated: 1 month ago