মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কাব্য কোনটি?
A
মানসী
B
বীরাঙ্গনা
C
চিন্তা তরঙ্গিনী
D
কালের শাসন
উত্তরের বিবরণ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বীরাঙ্গনা বাংলা কাব্যের এক অনন্য সৃষ্টি। এটি চিঠিপত্রের আকারে লেখা কাব্য, যেখানে মহাভারতের নারীদের হৃদয়ের কথা নতুনভাবে ফুটে উঠেছে।
• বীরাঙ্গনা কাব্যে লেখক নারীদের আবেগ, বেদনা ও প্রতিবাদের স্বরকে সাহসিকতার সাথে তুলে ধরেছেন।
• প্রতিটি চিঠি চরিত্রের ব্যক্তিগত মানসিক অবস্থাকে এমনভাবে প্রকাশ করে, যা বাংলা কাব্যে আগে তেমন দেখা যায়নি।
• মধুসূদনের ইংরেজি শিক্ষা ও পাশ্চাত্য সাহিত্যপাঠ তাঁর ভাষা, দৃষ্টিভঙ্গি ও কাব্যরীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।
• কাব্যটি বাংলা সাহিত্যে ইপিস্টোলারি কবিতার স্বতন্ত্র ধারা প্রতিষ্ঠা করে।
• বীরাঙ্গনা‐তে ব্যবহৃত উচ্চাঙ্গ ভাষা, তীক্ষ্ণ মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ও চরিত্রদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এটিকে স্থায়ী গুরুত্ব প্রদান করেছে।
0
Updated: 6 hours ago
কোন কবিতাটি 'অগ্নিবীণা' কাব্যের নয়?
Created: 1 month ago
A
প্রলয়োল্লাস
B
ধূমকেতু
C
রণভেরী
D
যৌবনের গান
অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ
-
রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম
-
উল্লেখযোগ্য: প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
-
বিখ্যাত কবিতা: বিদ্রোহী (যার জন্য তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত হন)
-
উৎসর্গ: বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
-
মোট কবিতা: ১২
কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহ:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
প্রবন্ধ: যৌবনের গান
0
Updated: 1 month ago
জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ-
Created: 5 months ago
A
ধূসর পাণ্ডুলিপি
B
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
C
একক সন্ধ্যায় বসন্ত
D
অন্ধকারে একা
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৯৩৬) জীবনানন্দ দাশের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
-
এই গ্রন্থের কবিতাগুলিতে জীবনানন্দীয় কাব্যের নিজস্ব বিষয়বস্তু, ছন্দের ভাঙন, ভাষার নির্মাণশৈলী এবং প্রতিমার স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ রূপ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত।
-
এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমেই বাংলা আধুনিক কবিতায় জীবনানন্দ দাশ তাঁর স্বতন্ত্র অবস্থান নিশ্চিত করেন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গ্রন্থ পাঠ করে একে ‘চিত্ররূপময় কবিতা’ বলে আখ্যা দেন।
● অন্যান্য কব্যগ্রন্থ:
-
‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ – রচয়িতা: বিষ্ণু দে
-
‘একক সন্ধ্যায় বসন্ত’ – রচয়িতা: সৈয়দ আলী আহসান
-
‘অন্ধকারে একা’ (১৯৬৬) – রচয়িতা: মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ
● জীবনানন্দ দাশ:
-
রূপসী বাংলার কবি, নির্জনতার কবি, তিমির হননের কবি, ধূসরতার কবি নামে পরিচিত জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একাধারে কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
তাঁর আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাঁওপাড়া গ্রামে।
-
পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক; তিনি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
-
মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন খ্যাতিমান কবি।
-
জীবনানন্দ ছিলেন তিরিশের কবিতা নামে পরিচিত রবীন্দ্র-প্রতিক্রিয়াশীল কাব্যধারার অন্যতম কবি।
-
তাঁর কবিতায় পাশ্চাত্য কবিদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়:
-
‘মৃত্যুর আগে’ কবিতার সঙ্গে আইরিশ কবি W. B. Yeats-এর ‘The Falling of the Leaves’ কবিতার মিল রয়েছে।
-
‘হায় চিল’ কবিতার সঙ্গে ইয়েটসের ‘He Reproves the Curlew’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।
-
‘বনলতা সেন’ কবিতায় এডগার এলেন পো-র ‘To Helen’ কবিতার প্রভাব রয়েছে।
-
-
তাঁর লেখা ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী বাঙালি জাতিকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
-
‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯৫৩ সালে নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত হয়।
-
তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থটি ১৯৫৪ সালে ভারতের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।
-
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
● জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago
কোনটি কাব্যনাট্য?
Created: 2 weeks ago
A
প্রায়শ্চিত্ত
B
নকশী কাঁথার মাঠ
C
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
D
চিত্রাঙ্গদা
কাব্যনাট্য এমন একটি সাহিত্যরূপ, যেখানে নাটকের কাঠামোর মধ্যে কাব্যের ভাষা ও ছন্দ ব্যবহৃত হয়। এতে সংলাপ, গান ও কাব্যময় বর্ণনা একত্রে মিলিত হয়ে এক বিশেষ নাট্যরূপ সৃষ্টি করে। “পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” এই ধরনের বৈশিষ্ট্য বহন করে, তাই একে কাব্যনাট্য বলা হয়।
এই নাটকটির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে কাব্যিক ভাষা ও ছন্দের মাধ্যমে নাট্যরস সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সাধারণ নাটক থেকে একে আলাদা করেছে। সংলাপগুলো শুধু বক্তব্য নয়, বরং কবিতার মতোই আবেগময় ও ছন্দোময়।
-
সৈয়দ শামসুল হক রচিত এই কাব্যনাট্যে মানুষের সংগ্রাম, স্বাধীনতা, ভয় ও প্রতিবাদের চেতনা গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। লেখক কাব্যের ভাষায় নাটকের আবেগ প্রকাশ করেছেন, যা পাঠকের হৃদয়ে কাব্যরস সৃষ্টি করে।
-
এতে দৃশ্য বিন্যাস বা নাট্যকৌশল সীমিত হলেও শব্দ, ধ্বনি ও প্রতীকের ব্যবহার নাটকটিকে কাব্যময় করে তুলেছে। যেমন— “পায়ের আওয়াজ” স্বাধীনতার সংগ্রাম, ভয় ও অজানার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
কাহিনির ধারাবাহিকতা না থাকলেও চরিত্রগুলোর অন্তর্দ্বন্দ্ব, ভয়, দেশপ্রেম ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা কাব্যের মতো গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এ কারণে নাটকটি পাঠ বা মঞ্চায়ন— দুই ক্ষেত্রেই এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।
-
এখানে সংলাপের পাশাপাশি গীতিময়তা ও ধ্বনির পুনরাবৃত্তি নাট্যরসকে তীব্র করেছে। লেখক ভাষার সঙ্গীতধর্মিতা ব্যবহার করে শ্রোতার মনে এক ধরনের ছন্দময় স্পন্দন জাগিয়েছেন।
-
“পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন মানসিক অবস্থার প্রতিফলন, যেখানে যুদ্ধের আতঙ্ক, মৃত্যু, তবুও জীবনের প্রতি অনিবার্য টান কাব্যের রূপে প্রকাশ পেয়েছে।
-
নাটকটির ভাষা যেমন কাব্যময়, তেমনি এর রূপকধর্মী গঠনও কাব্যনাট্যের বৈশিষ্ট্য বহন করে। বাস্তব দৃশ্যের বদলে প্রতীকের মাধ্যমে ঘটনাবলী বোঝানো হয়েছে।
-
লেখক এখানে নাট্যকবিতার রীতি অনুসরণ করেছেন, অর্থাৎ কাব্যের সৌন্দর্য ও নাটকের কাহিনি— উভয়ই সমন্বিত হয়েছে। এতে গদ্যনাট্যের মতো সরলতা নয়, বরং কাব্যের রূপ ও ভাবগম্ভীরতা বজায় রাখা হয়েছে।
-
বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যসাহিত্যে এই কাব্যনাট্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা নতুন এক ধারা সৃষ্টি করেছে এবং সমসাময়িক নাট্যরীতিকে গভীরতা দিয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, “পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” এমন একটি কাব্যনাট্য যা কাব্যের ছন্দ, ধ্বনি ও ভাষার শিল্পগুণে নাট্যরসকে উজ্জ্বল করেছে। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে এটি-ই কাব্যনাট্য হিসেবে সঠিক উত্তর।
0
Updated: 2 weeks ago