'ছায়া হরিণ' কাব্যগ্রন্থটির কার লেখা?
A
আহসান হাবীব
B
ফররুখ আহমদ
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
আল মাহমুদ
উত্তরের বিবরণ
'ছায়া হরিণ' কাব্যগ্রন্থটি আহসান হাবীব রচিত। এটি বাংলা সাহিত্য জগতে আধুনিক কবিতার ধারা ও সামাজিক ভাবনার সমন্বয় ঘটাতে বিশেষভাবে পরিচিত। আহসান হাবীবের লেখার বৈশিষ্ট্য হলো সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় গভীর অনুভূতি প্রকাশ, যা পাঠকের মনে দাগ কাটে।
0
Updated: 6 hours ago
‘রূপাই ও সাজু’ - কোন কাব্যের চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
রাখালী
B
সোজন বাদিয়ার ঘাট
C
নক্সী কাঁথার মাঠ
D
বোবা কাহিনী
‘নক্সী কাঁথার মাঠ’
-
‘নক্সীকাঁথার মাঠ’ (১৯২৯) জসীম উদ্দীন রচিত কাহিনি কাব্য বা গাথা কাব্য।
-
গ্রন্থের প্রথম অংশে বর্ণিত: চাষির ছেলে রূপাই ও পাশের গ্রামের মেয়ে সাজুর প্রথম পরিচয়, তাদের অনুরাগের বিকাশ, বিবাহ এবং কয়েক মাসের সুখময় জীবন।
-
দ্বিতীয় অংশে আলোচনা করা হয়েছে তাদের বিচ্ছেদ।
-
জসীম উদ্দীন পূর্ববঙ্গ গীতিকায় বর্ণনাভঙ্গি ও ভাষারীতি অবলম্বন করেছেন।
-
কাব্যের উপকরণ: গ্রামীণ জীবনের মাধুর্য ও কারুণ্য, বৈচিত্র্যহীন ক্লান্তিকরতা এবং মানুষের অসহায়তা।
-
আধুনিক বাংলা কাব্যের ইতিহাসে এটি একটি বিশেষ স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ রচনা।
জসীম উদ্দীনের অন্যান্য বিখ্যাত গাথা কাব্য
-
নক্সী কাঁথার মাঠ
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মা যে জননী কান্দে
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'অনল প্রবাহ' কোন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 1 month ago
A
প্রবন্ধ
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
নাটক
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর ‘অনল প্রবাহ’ একটি মুসলিম জাগরণমূলক কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করেছিল। প্রথম সংস্করণে কবিতা ছিল মাত্র নয়টি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: অনল প্রবাহ, তুর্যধ্বনি, মূর্ছনা, বীর-পূজা, অভিভাষণ এবং মরক্কো সংকটে।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ:
অনল প্রবাহ, আকাঙ্ক্ষা, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, নব উদ্দীপনা, স্পেন বিজয় কাব্য, সঙ্গীত সঞ্জীবনী, প্রেমাঞ্জলি
তাঁর রচিত উপন্যাস:
রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম, নূরুদ্দীন
তাঁর রচিত প্রবন্ধ:
স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলান সভ্যতা
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কবি কায়কোবাদ রচিত 'মহাশ্মশান' কাব্যের ঐতিহাসিক পটভূমি ছিল-
Created: 2 months ago
A
পলাশীর যুদ্ধ
B
তৃতীয় পানিপথের যুদ্ধ
C
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ
D
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর
কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ কাব্য
-
রচনা প্রসঙ্গ: কাব্যটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রচিত।
-
প্রকাশ ও ধারাবাহিকতা: কাব্যটি ধারাবাহিকভাবে ‘কোহিনূর’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সম্পাদনা করেন মহম্মদ রওশন আলী।
-
কাব্যের খন্ড ও সর্গ:
-
মোট খন্ড: ৩টি
-
প্রথম খণ্ড: ১৯ সর্গ
-
দ্বিতীয় খণ্ড: ২৪ সর্গ
-
তৃতীয় খণ্ড: ৭ সর্গ
-
-
উৎস: মুনীর চৌধুরীর রক্তাক্ত প্রান্তরের কাহিনি।
-
প্রকাশকাল: ১৯০৪ সাল
-
প্রধান চরিত্র: এব্রাহিম কার্দি, জোহরা বেগম, হিরণ বালা, আতা খাঁ, লঙ্গ, রত্নজি, সুজাউদ্দৌলা, সেলিনা, আহমদ শাহ্ আব্দালী।
কায়কোবাদ
-
মূল নাম: কাজেম আল কোরেশী
-
প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: বিরহ-বিলাপ
-
সাহিত্যে অবদান:
-
বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম মহাকাব্য রচয়িতা
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম কবি
-
-
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ: বিরহ-বিলাপ, অমিয়ধারা, অশ্রুমালা, কুসুমকানন, শিবমন্দির ইত্যাদি
সূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র ও শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago