'পদ্মাবতী' কাব্যের রচিয়তা-
A
আলাওল
B
শাহ মুহম্মদ সগীর
C
মুহম্মদ কবীর
D
দৌলত কাজী
উত্তরের বিবরণ
‘পদ্মাবতী’ মধ্যযুগীয় বাংলা কাব্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যার রচয়িতা আলাওল। তাঁর কাব্যভাষা, রূপান্তর দক্ষতা ও শিল্পসৌকর্য এই গ্রন্থকে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ পরিচিতি দিয়েছে।
• আলাওল আরাকান দরবারের কবি ছিলেন এবং সেখানেই তিনি পদ্মাবতীর বাংলা রূপ রচনা করেন।
• মূল গ্রন্থটি মালদার কবি মালিক মহম্মদ জায়সির হিন্দি ‘পদ্মাবত’ থেকে অনুবাদ, তবে আলাওল এর ভাষা ও মর্মার্থকে নতুন ব্যঞ্জনায় উপস্থাপন করেন।
• তাঁর রচনাশৈলীতে পারস্য-আরবি রীতির প্রভাব দেখা যায়, যা পদ্মাবতীকে আরও শিল্পসমৃদ্ধ করেছে।
• বাংলা কাব্যে নায়ক-নায়িকার মনস্তত্ত্ব, রোমান্স ও নৈতিকতার সমন্বয় এ গ্রন্থে বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
0
Updated: 6 hours ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বিদ্রোহী' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 2 weeks ago
A
সিন্ধু হিন্দোল
B
অগ্নিবীণা
C
ভাঙার গান
D
বিষের বাঁশি
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতা ‘বিদ্রোহী’-এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য বিপ্লবের সূচনা করেন। এই কবিতাটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-তে অন্তর্ভুক্ত, যা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠক সমাজে আলোড়ন তোলে। নিচে এই কবিতা ও কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
• ‘অগ্নিবীণা’ প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে। এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে নিজের অবস্থান শক্ত করে তোলেন। এই গ্রন্থেই প্রকাশ পায় তাঁর বিদ্রোহী, মানবতাবাদী ও স্বাধীনতাকামী মনোভাব।
• ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২১ সালের জানুয়ারিতে। কবিতাটি প্রথম ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরই এটি বাংলার সাহিত্য ও সমাজে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করে, কারণ এতে প্রকাশ পেয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক অগ্নিমূর্তির মতো প্রতিবাদ।
• কবিতার মূল ভাব হচ্ছে বিদ্রোহ ও মুক্তির আহ্বান। নজরুল এখানে নিজেকে রূপান্তরিত করেছেন বিশ্বমানবের প্রতীক হিসেবে—যিনি অত্যাচার, অন্যায় ও দাসত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
• ‘অগ্নিবীণা’ গ্রন্থের অন্যান্য বিখ্যাত কবিতা হলো—‘প্রলয়োল্লাস’, ‘রক্তাম্বর ধরণী মা’, ‘রণভেরী’, ‘দারিদ্র্য’, ‘শাত-ইল-আরব’ প্রভৃতি। সবগুলো কবিতাতেই আগুন, শক্তি, প্রতিবাদ ও মানবতার বার্তা ধ্বনিত হয়েছে।
• ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় ব্যবহৃত প্রতীক ও অলংকার নজরুলের অসাধারণ কাব্যশক্তির প্রমাণ বহন করে। দেব-দেবী, ইতিহাস, পুরাণ, প্রকৃতি—সবকিছুর সঙ্গে তিনি বিদ্রোহী মানসিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন।
• নজরুলের এই কবিতার প্রভাব ছিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় ক্ষেত্রেই। এটি শুধু সাহিত্য নয়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। তরুণ প্রজন্ম এই কবিতাকে স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে।
• ‘অগ্নিবীণা’ নামের প্রতীক অর্থও গভীর। ‘অগ্নি’ মানে আগুন—ধ্বংস ও সৃষ্টির প্রতীক; আর ‘বীণা’ সংগীত ও সৌন্দর্যের প্রতীক। দুইয়ের মিলনে নজরুল প্রকাশ করেছেন ধ্বংসের মধ্য দিয়েই নতুন সৃষ্টির তত্ত্ব।
• এই কাব্যগ্রন্থ নজরুলকে ‘বিদ্রোহী কবি’ উপাধি এনে দেয়। তাঁর কবিতার ভেতর দিয়ে প্রকাশ পায় সমাজের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর।
• অন্য বিকল্পগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
– ‘সিন্ধু হিন্দোল’ (১৯২৭): এই কাব্যগ্রন্থে প্রেম, প্রকৃতি ও সৃষ্টির ভাব প্রাধান্য পেয়েছে।
– ‘ভাঙার গান’ (১৯২৪): এখানে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান শোনা যায়।
– ‘বিষের বাঁশি’ (১৯২৪): রাজনৈতিক প্রতিবাদের তীব্র সুর এই গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।
সুতরাং, ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত, যা কাজী নজরুল ইসলামকে চিরকালীন বিদ্রোহী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি ফররুখ আহমদ রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
সিন্দাবাদ
B
সাত সাগরের মাঝি
C
সিরাজাম মুনীরা
D
মুহূর্তের কবিতা
ফররুখ আহমদ রচিত ‘সাত সাগরের মাঝি’ বাংলা সাহিত্য ও আধুনিক ইসলামী ভাবধারার এক গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। এটি তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯৪৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং তাঁকে মুসলিম জাগরণের কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত।
-
এর অন্তর্গত উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো ‘পাঞ্জেরি’, যা মুসলিম ভাবধারায় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত এবং কাব্যের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
-
গ্রন্থটির শেষ কবিতা ‘সাত সাগরের মাঝি’, যা কাব্যের নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল ভাবকে প্রতিফলিত করে।
-
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কবিতার মধ্যে রয়েছে ‘সিন্দাবাদ’, ‘লাশ’, ‘আউলাদ’, এবং ‘দরিয়ার শেষরাত্রি’ প্রভৃতি।
-
বিশেষ করে ‘লাশ’ কবিতা, ১৯৪৪ সালের কলকাতার দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত, যা কবিকে তৎকালীন সাহিত্যজগতে প্রথম পরিচিতি এনে দেয়।
ফররুখ আহমদ সম্পর্কে:
-
জন্ম: ১০ জুন ১৯১৮, মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে।
-
তিনি ছিলেন একজন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি, যিনি ইসলামী জীবনবোধ ও মানবিক আদর্শকে কাব্যে প্রকাশ করেছেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত ও শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সাত সাগরের মাঝি’, যা বাংলা মুসলিম সাহিত্যধারার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
ফররুখ আহমদ রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
0
Updated: 1 month ago
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ফিরোজা বেগম
B
রায়নন্দিনী
C
তারা-বাঈ
D
অনল প্রবাহ
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি ও লেখক। তিনি ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জুলাই সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় তিনি একজন ভেষজ চিকিৎসক ছিলেন।
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অনল প্রবাহ
-
উচ্ছ্বাস
-
উদ্বোধ
-
স্পেনবিজয় কাব্য
তাঁর রচিত উপন্যাসসমূহ:
-
তারা-বাঈ
-
রায়নন্দিনী
-
ফিরোজা বেগম
0
Updated: 1 month ago