বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন-
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
C
বৈষ্ণব পদাবলী
D
মঙ্গলকাব্য
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের আদি গ্রন্থ 'চর্যাপদ'। ধারণা করা হয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে চর্যাপদ রচিত হয়েছিল।
ড. শহীদুল্লাহর মতে - ৬৫০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে রচিত।
সুকুমার সেনের মতে- ৯০০-১৩৫০ সালের মধ্যে রচিত।
এবং ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে- পদগুলাে ৯৫০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে রচিত।
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন।
0
Updated: 5 hours ago
”দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই”- পঙক্তিটির রচিতা কে?
Created: 2 months ago
A
কাহ্নপা
B
কুক্কুরীপা
C
বিরুপা
D
ভুসুকুপা
কুক্কুরীপা
-
সময়কাল: ৮ম শতক
-
বাসিন্দা: তিব্বতের কাছে কোনো অঞ্চল
-
পদসংখ্যা: ২টি
-
বিশেষ মন্তব্য: ড. সুকুমার সেন মনে করেন কুক্কুরীপার ভাষার সঙ্গে নারীর ভাষার মিল আছে, তবে নিশ্চিত প্রমাণ নেই যে তিনি মহিলা কবি ছিলেন
-
উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তি:
“দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই”
0
Updated: 2 months ago
নিম্নের কোন গ্রন্থটি কাশীরাম দাস অনুবাদ করেছেন?
Created: 2 months ago
A
রামায়ণ
B
মহাভারত
C
ভাগবত
D
গীতা
মহাভারতের শ্রেষ্ঠ বাংলা অনুবাদক হিসেবে কাশীরাম দাস বিশেষভাবে স্বীকৃত। তিনি মহাভারত অনুবাদ করে বাংলা সাহিত্যে অমূল্য সংযোজন ঘটান। তাঁর অনুবাদকৃত মহাভারত ‘ভারত পাঁচালী’ নামে পরিচিত।
• কাশীরাম দাস
-
কাশীরাম দাসের অনুবাদকৃত মহাভারতের নাম ছিল ‘ভারত পাঁচালী’। যোগেশচন্দ্র বিদ্যানিধির মতে, এর রচনাকাল প্রায় ১৬০২-০৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে।
-
তিনি সম্পূর্ণ মহাভারত রচনা শেষ করতে পারেননি। কেবল আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্ব রচনা করার পরই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
-
প্রচলিত মতে, কবির অসমাপ্ত কাব্য পরবর্তীতে তাঁর পুত্র, ভ্রাতুষ্পুত্র ও শিষ্যরা সমাপ্ত করেন।
• মহাভারত
-
মহাভারত সংস্কৃত ভাষায় রচিত এক মহাকাব্য, যার মূল রচয়িতা ছিলেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব।
-
বাংলায় প্রথম অনুবাদ করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
-
তিনি পরাগল খাঁর অনুরোধে অনুবাদ করেছিলেন বলে তাঁর অনুবাদকৃত সংস্করণটি পরাগলী মহাভারত নামে পরিচিত হয়।
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর অনুবাদকৃত গ্রন্থটির নাম ছিল বিজয়পান্ডবকথা অথবা ভারতপাঁচালী।
-
তবে মহাভারতের বাংলা অনুবাদে সর্বাধিক সার্থকতা অর্জন করেন কাশীরাম দাস, যিনি শ্রেষ্ঠ অনুবাদক হিসেবে খ্যাত।
-
তাঁর অনুবাদে মহাভারতের আদি, সভা, বন ও বিরাট পর্ব পাওয়া যায়, যা বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন।
0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদ মূলত কোন ধর্মের সাধকরা রচনা করেন?
Created: 2 months ago
A
শাক্ত সাধক
B
বৈষ্ণব সাধক
C
বৌদ্ধ সহজিয়া
D
জৈন সাধক
"চর্যাপদ: বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন" সম্পর্কিত তথ্য-
আবিষ্কার:
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী — ১৯০৭ সালে — নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
• পরবর্তীতে, ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগ্চী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
চর্যাপদের পরিচয়:
• চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার — প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
• এটি বাংলা সাহিত্যের — আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
• চর্যাগুলো রচনা করেন — বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
• চর্যাপদে — বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও দার্শনিক চিন্তাধারা ফুটে উঠেছে।
• চর্যাপদের ভাষায় বাংলা, অর্ধমাগধী, প্রাকৃত, সংস্কৃত ও দেশজ শব্দের মিশ্রণ আছে।
অনুবাদ:
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন — কীর্তিচন্দ্র।
• এই অনুবাদের সূত্রেই চর্যাপদ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য জানা যায়।
0
Updated: 2 months ago