'ছায়া হরিণ' কাব্যগ্রন্থটির কার লেখা?
A
আহসান হাবীব
B
ফররুখ আহমদ
C
সৈয়দ শামসুল হক
D
আল মাহমুদ
উত্তরের বিবরণ
'ছায়া হরিণ' কাব্যগ্রন্থটি আহসান হাবীব রচিত। এটি বাংলা সাহিত্য জগতে আধুনিক কবিতার ধারা ও সামাজিক ভাবনার সমন্বয় ঘটাতে বিশেষভাবে পরিচিত। আহসান হাবীবের লেখার বৈশিষ্ট্য হলো সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় গভীর অনুভূতি প্রকাশ, যা পাঠকের মনে দাগ কাটে।
0
Updated: 5 hours ago
'ছবি' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কাব্যগ্রহন্থের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
সোনার তরী
B
পূরবী
C
বলাকা
D
পুনশ্চ
'ছবি' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বলাকা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
এই কবিতায় কবি মানুষের জীবনের নানা দিক, তার শৈশব, কৈশোর, জীবনের সংগ্রাম, সুখ-দুঃখ এবং বিভিন্ন অনুভূতির চিত্র তুলে ধরেছেন। 'ছবি' কবিতার মাধ্যমে কবি একদিকে যেমন জীবন এবং সময়ের পরিবর্তনকে ধারণ করেছেন, তেমনি মানুষের অনুভূতির গভীরতাও প্রকাশ করেছেন।
এই কবিতাটি বিশেষভাবে মানবজীবনের নানা পীড়া, সুখ এবং বেদনা নিয়ে গভীর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। কবিতাটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার পরিবর্তন এবং তার মানসিক অবস্থা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে।
0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি কাব্যনাট্য?
Created: 2 weeks ago
A
প্রায়শ্চিত্ত
B
নকশী কাঁথার মাঠ
C
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
D
চিত্রাঙ্গদা
কাব্যনাট্য এমন একটি সাহিত্যরূপ, যেখানে নাটকের কাঠামোর মধ্যে কাব্যের ভাষা ও ছন্দ ব্যবহৃত হয়। এতে সংলাপ, গান ও কাব্যময় বর্ণনা একত্রে মিলিত হয়ে এক বিশেষ নাট্যরূপ সৃষ্টি করে। “পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” এই ধরনের বৈশিষ্ট্য বহন করে, তাই একে কাব্যনাট্য বলা হয়।
এই নাটকটির মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
-
এতে কাব্যিক ভাষা ও ছন্দের মাধ্যমে নাট্যরস সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সাধারণ নাটক থেকে একে আলাদা করেছে। সংলাপগুলো শুধু বক্তব্য নয়, বরং কবিতার মতোই আবেগময় ও ছন্দোময়।
-
সৈয়দ শামসুল হক রচিত এই কাব্যনাট্যে মানুষের সংগ্রাম, স্বাধীনতা, ভয় ও প্রতিবাদের চেতনা গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। লেখক কাব্যের ভাষায় নাটকের আবেগ প্রকাশ করেছেন, যা পাঠকের হৃদয়ে কাব্যরস সৃষ্টি করে।
-
এতে দৃশ্য বিন্যাস বা নাট্যকৌশল সীমিত হলেও শব্দ, ধ্বনি ও প্রতীকের ব্যবহার নাটকটিকে কাব্যময় করে তুলেছে। যেমন— “পায়ের আওয়াজ” স্বাধীনতার সংগ্রাম, ভয় ও অজানার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
কাহিনির ধারাবাহিকতা না থাকলেও চরিত্রগুলোর অন্তর্দ্বন্দ্ব, ভয়, দেশপ্রেম ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা কাব্যের মতো গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এ কারণে নাটকটি পাঠ বা মঞ্চায়ন— দুই ক্ষেত্রেই এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।
-
এখানে সংলাপের পাশাপাশি গীতিময়তা ও ধ্বনির পুনরাবৃত্তি নাট্যরসকে তীব্র করেছে। লেখক ভাষার সঙ্গীতধর্মিতা ব্যবহার করে শ্রোতার মনে এক ধরনের ছন্দময় স্পন্দন জাগিয়েছেন।
-
“পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” মূলত স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন মানসিক অবস্থার প্রতিফলন, যেখানে যুদ্ধের আতঙ্ক, মৃত্যু, তবুও জীবনের প্রতি অনিবার্য টান কাব্যের রূপে প্রকাশ পেয়েছে।
-
নাটকটির ভাষা যেমন কাব্যময়, তেমনি এর রূপকধর্মী গঠনও কাব্যনাট্যের বৈশিষ্ট্য বহন করে। বাস্তব দৃশ্যের বদলে প্রতীকের মাধ্যমে ঘটনাবলী বোঝানো হয়েছে।
-
লেখক এখানে নাট্যকবিতার রীতি অনুসরণ করেছেন, অর্থাৎ কাব্যের সৌন্দর্য ও নাটকের কাহিনি— উভয়ই সমন্বিত হয়েছে। এতে গদ্যনাট্যের মতো সরলতা নয়, বরং কাব্যের রূপ ও ভাবগম্ভীরতা বজায় রাখা হয়েছে।
-
বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যসাহিত্যে এই কাব্যনাট্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা নতুন এক ধারা সৃষ্টি করেছে এবং সমসাময়িক নাট্যরীতিকে গভীরতা দিয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, “পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়” এমন একটি কাব্যনাট্য যা কাব্যের ছন্দ, ধ্বনি ও ভাষার শিল্পগুণে নাট্যরসকে উজ্জ্বল করেছে। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে এটি-ই কাব্যনাট্য হিসেবে সঠিক উত্তর।
0
Updated: 2 weeks ago
'বনি আদম' কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 5 months ago
A
গোলাম মোস্তফা
B
হুমায়ুন আজাদ
C
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
D
হুমায়ুন কবির
কাব্যগ্রন্থ:
-
রক্তরাগ
-
খোশরোজ
-
কাব্যকাহিনী
-
গীতি সঞ্চয়ন
-
সাহারা
-
হাসনাহেনা
-
বুলবুলিস্তান
-
বনি আদম ইত্যাদি
অনুবাদকাব্য:
-
মুসাদ্দাস-ই-হালী
-
কালামে ইকবাল
-
শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া (১৯৬০)
গদ্যগ্রন্থ:
-
বিশ্বনবী
-
ইসলাম ও জেহাদ
-
ইসলাম ও কমিউনিজম
-
আমার চিন্তাধারা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago