মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা কত নম্বর সেক্টরের অধীন ছিল?
A
১ নং
B
৩ নং
C
২ নং
D
১০ নং
উত্তরের বিবরণ
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা এবং গেরিলা যুদ্ধ সমন্বয়ের সুবিধার্থে বাংলাদেশকে সেক্টরভিত্তিক ভাগ করা হয়েছিল। এই সেক্টর কাঠামো মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত যুদ্ধের পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ এবং দক্ষ সমন্বয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন একজন সেক্টর কমান্ডার এবং তাদের অধীনে পরিচালিত হতো একাধিক সাব-সেক্টর।
• মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
• সেক্টরগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় ৬৪টি সাব-সেক্টর।
• ঢাকা শহর ছিল ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে।
• ঢাকা জেলা ২ ও ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনভুক্ত ছিল।
• এই সেক্টর ব্যবস্থা যুদ্ধ পরিচালনায় নিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পনা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।
0
Updated: 7 hours ago
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গণহত্যাটি কোথায় হয়?
Created: 6 months ago
A
আসামিড্যা
B
মেহেরপুর বিধবা পল্লী
C
চুকনগর
D
রায়ের বাজার
১৯৭১ সালের ২০ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যা ঘটে। এতে এক ব্যাটালিয়ন পাকিস্তানি সেনা ব্রাশফায়ার করে ৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। উল্লেখ্য, চুকনগরের পাশে ভদ্রা নদীর পানিতে গণহত্যায় নিহত অনেক লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
0
Updated: 6 months ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্যে একমাত্র বিদেশি নাগরিক হিসেবে বীরত্বসূচক খেতাব লাভ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
সাইমন ড্রিং
B
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড
C
রবি শংকর
D
অ্যালেন গিন্সবার্গ
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনকারী একমাত্র বিদেশি নাগরিক, যিনি বীরপ্রতীক খেতাব লাভ করেছেন।
-
তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, কিন্তু জন্মগ্রহণ করেন নেদারল্যান্ডসে।
-
১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বাটা সু কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২নং সেক্টরে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
-
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড ২০০১ সালের ১৮ মে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান।
0
Updated: 1 month ago
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ‘চরমপত্র‘ কে উপস্থাপন করতেন?
Created: 1 month ago
A
গাজী মাজহারুল ইসলাম
B
গোলাপ হায়দার চৌধুরি
C
এম. আর. আখতার মুকুল
D
আপেল মাহমুদ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী শাখা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেতার কেন্দ্র।
-
প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে।
-
এই কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়।
-
১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পাকিস্তান বিমান বাহিনী কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ চালায়, ফলে কেন্দ্রটি অচল হয়ে যায়।
-
২৫ মে ১৯৭১ তারিখে কেন্দ্রটি কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় এবং একই দিন থেকে কার্যক্রম শুরু করে।
-
স্বাধীন বাংলা বেতারের জনপ্রিয় দুটি অনুষ্ঠান ছিল ‘চরমপত্র’ ও ‘জল্লাদের দরবার’।
-
জল্লাদের দরবার-এ জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অমানবিক চরিত্র ও পাশবিক আচরণ তুলে ধরা হতো।
-
চরমপত্র সিরিজ পরিকল্পনা করেন আব্দুল মান্নান।
-
অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন এম.আর. আখতার মুকুল।
0
Updated: 1 month ago