ধান উৎপাদনে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান কোনটি?
A
৫ম
B
৪র্থ
C
৩য়
D
২য়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ, যেখানে জনসংখ্যা ও খাদ্যচাহিদার তুলনায় ধানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির কৃষিপ্রধান অর্থনীতি ধানকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে, এবং আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের ব্যবহার উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। নিচে বিষয়টি স্পষ্ট করতে কয়েকটি তথ্য সাজানো হলো।
-
বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীতে ধান উৎপাদনে ৩য় স্থানে, যার আগে রয়েছে চীন ও ভারত।
-
ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য, যেখানে মোট কৃষিজমির বড় অংশেই ধান চাষ হয়।
-
বোরো, আমন ও আউশ—এই তিন মৌসুমে ধান চাষের বিস্তার বাংলাদেশকে শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় রাখে।
-
উন্নত জাতের ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ দেশটির ধান উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করেছে।
-
বাংলাদেশ প্রতিবছর কোটি টন ধান উৎপাদন করে, যা স্থানীয় চাহিদার বড় অংশ পূরণ করে।
-
কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নত জাত উদ্ভাবন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
-
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কৃষি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ তিন উৎপাদনকারীর মধ্যে রয়েছে।
0
Updated: 7 hours ago
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে?
Created: 4 weeks ago
A
শেখ মুজিবুর রহমান
B
এম. মনসুর আলী
C
তাজউদ্দিন আহমদ
D
আতাউর রহমান খান
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দেন।
0
Updated: 4 weeks ago
১৮০১ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত কোন শতাব্দী?
Created: 1 week ago
A
বিংশ
B
ঊনবিংশ
C
অষ্টাদশ
D
সপ্তদশ
১৯শ শতাব্দী বলতে বোঝানো হয় গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসারে ১৮০১ সাল থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত সময়কাল। এটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যুগ, যেখানে আধুনিক বিশ্বের রাজনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক ভিত্তি গঠিত হয়েছিল।
-
এই শতাব্দীকে প্রায়ই “আধুনিক যুগের সূচনা” বলা হয়, কারণ শিল্পবিপ্লব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিস্তার, এবং উপনিবেশবাদ এই সময়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
-
ইউরোপে শিল্পবিপ্লবের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়, যার ফলে কলকারখানা, রেলপথ ও বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে।
-
ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র এ সময়ে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নতির শীর্ষে পৌঁছায়।
-
সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এই শতাব্দীতে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও মানবাধিকারের ধারণা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে এই সময়ে ইংরেজ শাসনের প্রভাব গভীর হয় এবং শিক্ষার বিস্তারসহ নবজাগরণের সূচনা ঘটে।
-
সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এই যুগে রোমান্টিসিজম, রিয়ালিজম ও ন্যাচারালিজম প্রবলভাবে দেখা যায়, ইউরোপে যেমন চার্লস ডিকেন্স, টলস্টয়, দস্তয়েভস্কি প্রমুখ লেখকরা খ্যাতি অর্জন করেন।
-
সর্বোপরি, ১৯শ শতাব্দী ছিল এমন এক সময়, যা পরবর্তী ২০শ শতাব্দীর আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি তৈরি করে।
0
Updated: 1 week ago
একীভূত শিক্ষার লক্ষ্যদল কারা ?
Created: 1 week ago
A
ঝুঁকিপূর্ণ শিশু
B
সকল শিশু
C
প্রতিবন্ধী শিশু
D
সুবিধাবঞ্চিত শিশু
একীভূত শিক্ষা একটি শিক্ষানীতি যেখানে সকল ধরনের শিশুকে একত্রে, একই পরিবেশে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি শিশুর সঠিকভাবে বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা, তাদের মধ্যে কোন বৈষম্য না রেখে তাদের উন্নয়নের জন্য সমান সুযোগ প্রদান করা।
একীভূত শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো সকল শিশুকে তাদের পার্থক্য নির্বিশেষে সমানভাবে শিক্ষাদান করা। এর মধ্যে সাধারণত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু, সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং অন্যান্য গ্রুপের শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
-
ঝুঁকিপূর্ণ শিশু: সাধারণত এই শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, কিন্তু একীভূত শিক্ষার মাধ্যমে তাদের একে অপরের সাথে মেলামেশা ও শেখার সুযোগ দেয়া হয় না। তাদের জন্য আলাদা সহায়ক ব্যবস্থা প্রয়োজন হতে পারে।
-
সকল শিশু: একীভূত শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হয় সকল শিশুকে, যাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী, সুবিধাবঞ্চিত বা অন্য কোনো বিশেষ চাহিদা থাকতে পারে। এই ধারণার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি শিশুকে শিক্ষার মাধ্যমে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সক্ষমতা প্রদান করা।
-
প্রতিবন্ধী শিশু: প্রতিবন্ধী শিশুরাও একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, তবে তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষার উপকরণ বা সহায়ক ব্যবস্থা থাকতে পারে। তবে, একীভূত শিক্ষায় মূলত তাদেরকে সকল শিশুদের সাথে একত্রে শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্য রাখা হয়।
-
সুবিধাবঞ্চিত শিশু: একীভূত শিক্ষায় এই শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয় যাতে তারা সাধারণ শিক্ষার উপকরণ ব্যবহার করে শেখার সুযোগ পায়।
তাহলে, একীভূত শিক্ষার লক্ষ্য হলো সকল শিশুকে শিক্ষার সমান সুযোগ প্রদান করা, যাতে তারা নিজের আগ্রহ ও চাহিদা অনুযায়ী শিখতে পারে।
0
Updated: 1 week ago