‘পানি’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
A
আরবি
B
সংস্কৃত
C
হিন্দি
D
ফারসি
উত্তরের বিবরণ
‘পানি’ শব্দের উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করতে হলে প্রথমে জানতে হবে বাংলার শব্দভাণ্ডার কীভাবে বহু ভাষার সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে। বাংলা ভাষা প্রধানত সংস্কৃতমূলক হলেও সময়ের সাথে হিন্দি, ফারসি, আরবি, উর্দুসহ বিভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত অনেক সহজ ও ঘরোয়া শব্দ এসেছে হিন্দি উৎস থেকে। ‘পানি’ তেমনই একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ। নিচে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো তালিকাভুক্ত করা হলো।
-
‘পানি’ শব্দটি হিন্দি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ জল বা পানি।
-
বাংলায় ‘জল’ শব্দটি সংস্কৃত উৎস হলেও ‘পানি’ শব্দটি ধীরে ধীরে সমার্থক হিসেবে জনপ্রিয় হয়।
-
মধ্যযুগে বাংলার সাথে উত্তর ভারতের ভাষিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়ার ফলে হিন্দি উৎসের বহু শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে।
-
গ্রামীণ বাংলাদেশে বিশেষত কথ্য ভাষায় ‘পানি’ শব্দের ব্যবহার ‘জল’-এর তুলনায় বেশি প্রচলিত।
-
ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন, লোকায়ত ব্যবহার এবং সহজ উচ্চারণের কারণে ‘পানি’ বাংলা ভাষায় স্থায়ী জায়গা করে নেয়।
-
বাংলা ব্যাকরণবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর ভাষা-ইতিহাস বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছেন যে বাংলায় কথ্য শব্দভাণ্ডারের বড় একটি অংশ হিন্দি ও অন্যান্য উত্তর ভারতীয় ভাষা থেকে আগত।
-
তাই শব্দটির বর্তমান ব্যবহারে বাংলা নিজস্বতা বজায় রাখলেও এর মূল উৎস হিন্দি — যা ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণাতেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
0
Updated: 7 hours ago
'আজকে তোমায় দেখতে এলাম জগৎ আলো নূরজাহান' - চিহ্নিত শব্দটির কারক-বিভক্তি হবে-
Created: 1 day ago
A
করণে ৫মী
B
অধিকরণে ৭মী
C
অপাদানে ২য়
D
কোনোটিই না
এই বাক্যে চিহ্নিত শব্দ “জগৎ আলো নূরজাহান” হলো কাকে বা কার উদ্দেশ্যে কিছু করা হচ্ছে তা নির্দেশ করছে। তাই এর কারক-বিভক্তি অধিকরণে (৭মী)।
• অধিকরণ হলো সেই কারক, যা কোনো কাজের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নির্দেশ করে।
• সাধারণত বাংলায় অধিকরণের ক্ষেত্রে “জন্য, উদ্দেশ্যে, কাছে, প্রতি” প্রয়োগ করা হয়।
• এখানে বাক্যটি “আজকে তোমায় দেখতে এলাম জগৎ আলো নূরজাহান” অর্থাৎ আমি কাদের উদ্দেশ্যে এলাম তা জানাচ্ছে।
• বাক্য বিশ্লেষণ করলে লক্ষ্য করা যায়, কাজের দিক বা উদ্দেশ্য বোঝানোর জন্য শব্দটি ৭মী অধিকরণে ব্যবহার হয়েছে।
• এই রূপটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক এবং বাংলা ভাষার নিয়ম অনুযায়ী ঠিক আছে।
ফলে, চিহ্নিত শব্দের কারক-বিভক্তি অধিকরণে (৭মী)।
0
Updated: 1 day ago
লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সাহেব
B
বেয়াই
C
সঙ্গী
D
কবিরাজ
নিত্য লিঙ্গবাচক শব্দসমূহ
বাংলা ভাষায় শব্দগুলোকে লিঙ্গভিত্তিক তিন প্রকারে ভাগ করা হয় — নিত্য পুরুষবাচক, নিত্য স্ত্রীবাচক, এবং যোগবাচক। এখানে নিত্য পুরুষবাচক ও নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
নিত্য পুরুষবাচক শব্দ:
যে সমস্ত শব্দের কোনো স্ত্রীবাচক রূপ নেই, সেগুলোকে নিত্য পুরুষবাচক শব্দ বলা হয়। অর্থাৎ, এই ধরনের শব্দ সাধারণত পুরুষ লিঙ্গ বোঝায় এবং এর স্ত্রীবাচক রূপ ব্যবহার হয় না। উদাহরণস্বরূপ—
রাষ্ট্রপতি, বিপত্নীক, কৃতদার, অকৃতদার, কবিরাজ, কুস্তিগির, পুরোহিত, স্ত্রৈণ, কোটিপতি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, ঢাকি, ঢুলি, চৌকিদার, দফাদার ইত্যাদি।
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ:
বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দও রয়েছে যেগুলোর পুরুষবাচক রূপ নেই এবং তারা নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ, এই ধরনের শব্দগুলো শুধুমাত্র নারী লিঙ্গ বোঝায়। যেমন—
সধবা, বিধবা, সপত্নী, সতিন, বিমাতা, ললনা, অঙ্গনা, এয়ো, দাই, কুলটা, অসূর্যম্পশ্যা, অরক্ষণীয়া, লক্ষ্মী, ডাইনি, গর্ভিণী, বেশ্যা ইত্যাদি।
যোগবাচক শব্দের উদাহরণ:
কিছু শব্দের পুরুষবাচক ও স্ত্রীবাচক দুটোই থাকে। যেমন—
-
সঙ্গী (পুরুষ) – সঙ্গিনী (স্ত্রী)
-
সাহেব (পুরুষ) – বিবি (স্ত্রী)
-
বেয়াই (পুরুষ) – বেয়াইন (স্ত্রী)
উৎস:
-
প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিত, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 weeks ago
'দই' শব্দটির উৎস ভাষা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আরবি
B
সংস্কৃত
C
উর্দু
D
পর্তুগীজ
‘দই’ শব্দটির উৎস হলো সংস্কৃত শব্দ ‘দধি’, যার অর্থ জমাট বা ঘন দুধজাত পদার্থ। সময়ের সঙ্গে উচ্চারণের পরিবর্তনে ‘দধি’ শব্দটি রূপান্তরিত হয়ে বর্তমান বাংলা রূপ ‘দই’ হয়েছে।
-
সংস্কৃত ‘দধি’ শব্দের ধ্বনিগত পরিবর্তন বাংলা ভাষার স্বাভাবিক রূপান্তর প্রক্রিয়ার ফল।
-
এই শব্দটি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা উপভাষা ও লোকজ জীবনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
-
শব্দটির মাধ্যমে বাংলা ভাষায় সংস্কৃতের প্রভাব ও শব্দগঠন প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা প্রতিফলিত হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago