‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।‘- কোন আন্দোলনের স্লোগান?
A
ভাষা আন্দোলন
B
শিক্ষা আন্দোলন
C
গণনাট্য আন্দোলন
D
বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন
উত্তরের বিবরণ
বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন ছিল চিন্তা, সাহিত্য ও সমাজচিন্তায় যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ ও মুক্ত মতপ্রকাশের পক্ষে একটি প্রগতিশীল আন্দোলন। এটি উপনিবেশিক মানসিকতা, সাম্প্রদায়িকতা ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে নতুন বুদ্ধিবৃত্তিক ধারা সৃষ্টি করে।
• আন্দোলনের মুখপত্র ছিল ‘শিখা’ পত্রিকা, এবং প্রতিটি সংখ্যায় “বুদ্ধির মুক্তি চাই” স্লোগানটি ছাপা থাকত, যা আন্দোলনের মর্মবাণীকে ধারণ করে।
• ১৯২৬ সালে ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় এবং এটি তরুণ লেখক–বুদ্ধিজীবীদের সমাবেশে রূপ নেয়।
• কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী আবুল কাশেম প্রমুখ এ আন্দোলনের প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
• আন্দোলনটি বাংলা সাহিত্য ও সমাজচিন্তায় যুক্তি, বিজ্ঞানমনস্কতা ও উদার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 8 hours ago
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কোন শাসকের পতন ঘটে?
Created: 2 months ago
A
জিয়াউর রহমান
B
সাহাবুদ্দীন আহমদ
C
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
D
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন স্বাধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার সংগ্রামের একটি উজ্জ্বল অধ্যায়।
মূল তথ্যসমূহ:
-
প্রেক্ষাপট: ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থারের মাধ্যমে তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
প্রারম্ভিক প্রতিরোধ: এরশাদের ক্ষমতা দখলের সঙ্গে সঙ্গেই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়, মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
-
ছাত্র আন্দোলন: টানা ৯ বছর চলা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, যা দুর্বারভাবে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনে অবদান রাখে।
-
ফলাফল: ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ অবশেষে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
-
স্মরণীয় ঘটনা: ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর গণতন্ত্রের দাবিতে বুকে-পিঠে শ্লোগান লিখে রাস্তায় নামা তরুণ নুর হোসেন পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
0
Updated: 2 months ago