বাংলাদেশের শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয় কত সালে?
A
২০১০ সালে
B
২০১৩ সালে
C
২০১৫ সালে
D
২০১৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও কাঠামোগতভাবে উন্নত করতে প্রথম জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয় এবং এটি দেশের শিক্ষা খাতে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। নীতিটি শিক্ষার বিস্তার, গুণগত মান নিশ্চিতকরণ এবং সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়।
• ২০১০ সালে এই জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদিত হয়, যা স্বাধীনতার পর প্রথম পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কাঠামো হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
• ৭ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে জাতীয় সংসদে নীতিটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাস করা হয়, যা পরবর্তীতে বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষা খাতে পরিবর্তন সূচিত করে।
• এই নীতিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে নতুন কাঠামো, পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
• নীতিটি শিক্ষা সমতা নিশ্চিত করা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের ভিত্তি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়।
0
Updated: 8 hours ago
কোন শিক্ষার লক্ষ্য মানুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ গড়ে তোলা ?
Created: 1 week ago
A
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা
B
নৈতিক শিক্ষা
C
ধর্ম শিক্ষা
D
জীবনব্যাপী শিক্ষা
শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, বরং মানবিক গুণাবলী এবং ইতিবাচক মূল্যবোধ গড়ে তোলাও। যে শিক্ষা মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠনে সহায়তা করে, তাকে নৈতিক শিক্ষা বলা হয়। নৈতিক শিক্ষা মানুষের জীবনযাত্রা, আচরণ এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা সম্পর্কে শিক্ষাদান করে।
এখানে ব্যাখ্যা করা হলো:
-
নৈতিক শিক্ষা মানুষের মধ্যে সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করে, যা তার চরিত্র গঠনে সহায়ক।
-
এই শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ সৎ, সদাচারী এবং সামাজিক দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে।
-
নৈতিক শিক্ষা কেবল ব্যক্তিগত উন্নতি নয়, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাব গড়ে তোলে।
-
এক কথায়, নৈতিক শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষের মধ্যে নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা, যা তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
অন্যদিকে, অন্যান্য বিকল্পগুলোও কিছুটা সম্পর্কিত হলেও, তাদের ফোকাস আলাদা:
-
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা: এটি এমন ধরনের শিক্ষা, যা স্কুলের বাইরে পরিবার, সমাজ বা সম্প্রদায়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তবে, এটি নৈতিক মূল্যবোধ গঠনের উদ্দেশ্য রাখে না।
-
ধর্ম শিক্ষা: ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ধর্মীয় আচরণের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা প্রদান করা হয়, যা জীবনের উদ্দেশ্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পর্কিত।
-
জীবনব্যাপী শিক্ষা: এটি মানুষের সারাজীবন ধরে চলা শিক্ষা, যা বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তবে, এর লক্ষ্য সাধারণত একাডেমিক বা পেশাগত দক্ষতা অর্জন করা, নৈতিক শিক্ষা নয়।
এছাড়া, নৈতিক শিক্ষা মানুষের মধ্যে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার মাধ্যমে সামাজিক সুস্থতা এবং শান্তি বজায় রাখার একটি শক্তিশালী উপায়।
0
Updated: 1 week ago
উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার একাডেমিক সুপারভিশনের কাজ করে কোন দপ্তর ?
Created: 1 week ago
A
উপজেলা শিক্ষা পরিবীক্ষণ দপ্তর
B
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর
C
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর
D
উপজেলা রিসোর্স সেন্টার
প্রাথমিক শিক্ষার একাডেমিক সুপারভিশনের কাজ উপজেলা পর্যায়ে সাধারণত উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (URC) পরিচালনা করে। এই দপ্তরটি শিক্ষা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে, যার উদ্দেশ্য হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং শিখন-শেখানোর মান উন্নত করা।
-
উপজেলা রিসোর্স সেন্টার একটি শিক্ষাগত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে, যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, পাঠদান পদ্ধতি এবং অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রমের উন্নয়ন পরিচালনা করে। এটি উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষককে পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করে, যাতে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়াতে সক্ষম হয়।
-
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর মূলত প্রশাসনিক এবং পরিচালনাগত কাজ পরিচালনা করে, যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন। তবে এটি সরাসরি একাডেমিক সুপারভিশনে অংশগ্রহণ করে না, এটি প্রধানত প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত থাকে।
-
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেমন আইন-শৃঙ্খলা, স্থানীয় উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক বিষয়াদি। যদিও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব থাকে, তারা সরাসরি একাডেমিক সুপারভিশন বা পাঠদান কার্যক্রমে নিযুক্ত থাকে না।
-
উপজেলা শিক্ষা পরিবীক্ষণ দপ্তর এমন একটি দপ্তর যা সাধারণত একাডেমিক সুপারভিশন থেকে আলাদা এবং এটি মূলত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পর্যালোচনা, শিক্ষক মূল্যায়ন বা শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কাজ করে থাকে।
এভাবে, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার একমাত্র দপ্তর, যা উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার একাডেমিক সুপারভিশন পরিচালনা করে, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, পাঠদান উন্নয়ন এবং শ্রেণী কক্ষে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কাজ করে।
0
Updated: 1 week ago
মৌলিক শিক্ষা কী?
Created: 1 week ago
A
ব্যবহারিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অর্জন
B
জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা
C
পড়া ও লেখার দক্ষতা অর্জন
D
প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন
মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে একটি সুষ্ঠু জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার সামাজিক, আর্থিক, এবং ব্যক্তিগত জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করে থাকে। মৌলিক শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র পড়াশোনার সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি পরিপূর্ণ জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, চিন্তা-ভাবনা, এবং সৃজনশীলতা অর্জন করতেও সহায়ক।
-
মৌলিক শিক্ষা সাধারণত একজন ব্যক্তিকে তার জীবনের বিভিন্ন দিক থেকে প্রস্তুত করে, যাতে সে সমাজে সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে।
-
এটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক দক্ষতা অর্জনের বিষয় নয়, বরং সামাজিক, নৈতিক এবং মানসিক উন্নয়নেও সাহায্য করে।
-
মৌলিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তির জীবনের জন্য সেই ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা যা তাকে তার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন হতে পারে, যেমন—নিজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন, সমাজের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি, এবং নতুন চিন্তা-ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি।
-
এই শিক্ষা জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ এবং সফল করতে সাহায্য করে, কারণ এটি ব্যক্তি ও সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে।
এই ধরনের শিক্ষা সাধারণত প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা হিসেবে শুরু হয়, তবে এটি যে কোনো বয়সে অর্জন করা সম্ভব। জীবন দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবন, কর্মজীবন এবং সামাজিক জীবনকে উন্নত করতে পারে।
অন্যদিকে, বিকল্প উত্তরগুলো সঠিক নয় কারণ:
-
ক) ব্যবহারিক সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অর্জন: এটি মৌলিক শিক্ষার অংশ হতে পারে, তবে এটি পুরোপুরি মৌলিক শিক্ষা ধারণাকে ব্যাখ্যা করে না।
-
খ) জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা: এটি আরও নির্দিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ, তবে মৌলিক শিক্ষা শুধুমাত্র জীবনযাপনের জন্য নয়, শিক্ষার প্রাথমিক স্তরের জন্যও প্রয়োজনীয়।
-
গ) পড়া ও লেখার দক্ষতা অর্জন: এটি মৌলিক শিক্ষা এক দিক, তবে মৌলিক শিক্ষার পরিপূর্ণ অর্থে জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় আরো দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
0
Updated: 1 week ago