বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা কতটি?
A
৫২টি
B
৫৪টি
C
৫৭টি
D
৫৮টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে নদীসমৃদ্ধ একটি দেশ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে নদীসম্পদ ভাগাভাগি করে ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ কারণে অভিন্ন নদীগুলোর ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবহার ও কূটনৈতিক সমঝোতা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে, যার মধ্যে গঙ্গা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, মহানন্দা ও ধরলা উল্লেখযোগ্য।
• বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ৩টি অভিন্ন নদী রয়েছে, যা মূলত দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত।
• সুতরাং মোট ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়, যা আন্তর্জাতিক জলনীতি ও নদী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয়।
• এসব নদী কৃষি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, নৌপরিবহন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 8 hours ago
সম্প্রতি সুন্দরবন এলাকায় কোন নদীতে কয়লাবাহী কার্গো ডুবে যায়?
Created: 3 weeks ago
A
তিস্তা
B
ভৈরব
C
শ্যালা
D
মধুমতি
সম্প্রতি সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর হরিণটানা এলাকায় 'সি হর্স-১' নামক একটি কার্গো জাহাজ ১,২৩৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায়। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে যশোরের নওয়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিল এবং একটি ডুবন্ত জলযানের মাস্তুলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনার ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ে এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি শ্যালা নদীতে নৌযান চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ করে।
0
Updated: 3 weeks ago
‘মওলানা ভাসানী সেতু’ কোন নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
বুড়িগঙ্গা
B
তিস্তা
C
মহানন্দা
D
শীতলক্ষ্যা
মওলানা ভাসানী সেতু: তিস্তা নদীর উপর এক নব নির্মিত স্থাপনা
তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট থেকে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী পর্যন্ত বিস্তৃত।
সেতুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
দৈর্ঘ্য: ১৪৯০ মিটার
প্রস্থ: ৯.৬০ মিটার
পিলার সংখ্যা: মোট ৩০টি
নির্মাণ ও অর্থায়ন:
সেতুটি সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়েছে।
নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করেছে এলজিইডি (Local Government Engineering Department)।
নির্মাণ করেছে একটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মোট নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।
উদ্বোধন:
সেতুটি ২০ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
0
Updated: 1 month ago
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য-
Created: 5 months ago
A
দু'দেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি
B
দু'দেশের নদীগুলোর পলিমাটি অপসারণ
C
বন্যা নিয়ন্ত্রণে দু দেশের মধ্যে সহযোগিতা
D
দু'দেশের নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের প্রধান লক্ষ্য:
দু’দেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি করা।
যৌথ নদী কমিশন গঠনের পটভূমি ও কার্যক্রম:
১৯৭২ সালের মার্চ মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও প্রজাতন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় একটি যৌথ ঘোষণা প্রদান করেন। এর মাধ্যমে দু’দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অভিন্ন নদীগুলোর ব্যাপক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা, নাব্যতা রক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু হয়।
কমিশনের মূল দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের বিস্তারিত পরিকল্পনা করা।
-
প্রধান প্রধান নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেচ প্রকল্পের উপর সমীক্ষা পরিচালনা।
-
উভয় দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য পানি সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
বাংলাদেশ ও ভারতের সংলগ্ন এলাকায় পাওয়ার গ্রিড সংযোজনের সম্ভাবনা যাচাই করা।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য:
দুই দেশ গঙ্গা সহ অন্যান্য অভিন্ন নদীগুলোর পানি প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক সহযোগিতায় কাজ করবে এবং নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সমন্বিত চুক্তিতে পৌঁছাবে।
উৎস:
-
যৌথ নদী কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago