‘আমার দেখা নয়াচীন ‘গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
B
শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হক
C
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
D
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
উত্তরের বিবরণ
অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন—এই তিনটি রচনা বাংলাদেশের ইতিহাসে মূল্যবান দলিল হিসেবে বিবেচিত। লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসব রচনায় ব্যক্তিগত জীবন, রাজনীতি, সংগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
• অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের সময় লেখা এবং এতে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ইতিহাস উঠে এসেছে।
• আমার দেখা নয়াচীন তিনি ১৯৫২ সালের সফরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লিখেছেন এবং এটি ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি হতে প্রকাশিত হয়।
• গ্রন্থত্রয় পাঠককে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দর্শন ও সময়কে নতুন দৃষ্টিকোণে বুঝতে সাহায্য করে।
• এগুলো জাতীয় সংগ্রাম, নেতৃত্ব এবং রাষ্ট্রচিন্তার গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল হিসেবেও স্বীকৃত।
0
Updated: 8 hours ago
শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' খেতাবে ভূষিত করা হয় কত তারিখে?
Created: 3 weeks ago
A
২৩-২-১৯৬৯ খ্রি.
B
০৭-০৩-১৯৭২ খ্রি.
C
২৫-০৩-১৯৭১ খ্রি.
D
১০-১০-১৯৭১ খ্রি.
বাংলার ইতিহাসে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বপ্রথম ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনতার উচ্ছ্বাস এবং স্বাধীনতার স্বপ্নে উদ্দীপ্ত বাংলার মানুষ এই উপাধি দেন তাঁর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে।
এই উপাধি ঘোষণার পেছনে ছিল এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও আবেগঘন মুহূর্ত, যা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
– শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৮ সালে তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক ছিলেন। পাকিস্তান সরকার তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করে বিচার শুরু করে।
– দেশব্যাপী আন্দোলন ও ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে তীব্র গণআন্দোলনের ফলে ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানি সরকার বাধ্য হয় শেখ মুজিবসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের মুক্তি দিতে।
– শেখ মুজিবের মুক্তির পর ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে লাখো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
– সেই সভায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা তাজউদ্দীন আহমদ শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
– ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দের অর্থ হলো “বাংলার বন্ধু” — অর্থাৎ যিনি বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, অধিকার ও মুক্তির সংগ্রামে আজীবন নিবেদিত।
– এই উপাধি শুধু একটি নাম নয়, বরং এটি হয়ে ওঠে বাংলা জাতীয় চেতনার প্রতীক, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে প্রেরণা জুগিয়েছে।
– ওই সভার পর থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ সর্বজনীনভাবে ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে সম্বোধন করতে শুরু করে, এবং এই নামটি তাঁর নেতৃত্বের পরিচায়ক হয়ে ওঠে।
– এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতীক, যার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পরবর্তীতে স্বাধীনতা অর্জন করে।
– বঙ্গবন্ধুর এই উপাধি কেবল রাজনৈতিক স্বীকৃতি নয়, বরং এটি ছিল বাংলার জনমানুষের অন্তরের আর্তি, তাঁদের নেতা ও মুক্তির দিশারীর প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
অতএব, শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে, যা বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক দিন হিসেবে স্থান পেয়েছে।
0
Updated: 3 weeks ago
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি কার রচনা?
Created: 2 hours ago
A
তাজউদ্দিন আহমদ
B
শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক
C
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
D
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, যেখানে তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রাম, শৈশব, বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পটভূমি এবং দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। বইটি প্রকাশের পর এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অমূল্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত।
• গ্রন্থের নাম অসমাপ্ত আত্মজীবনী
• লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
• প্রকাশক ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (UPL)
• প্রকাশের বছর ২০১২
• বইটির ভূমিকা লেখেন শেখ হাসিনা
• ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় The Unfinished Memoirs নামে
• ইংরেজি অনুবাদক অধ্যাপক ফখরুল আলম
• বইটিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তাধারা, আন্দোলনের অভিজ্ঞতা এবং সমকালীন রাষ্ট্রীয় অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে
0
Updated: 2 hours ago
২০১৬ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর কততম জন্মবার্ষিকী পালন করা হলো?
Created: 2 weeks ago
A
৯৭ তম
B
৯৬ তম
C
৯৫ তম
D
৯৪ তম
২০১৬ সালের ১৭ মার্চ বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। এই দিনটি জাতির ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও বাঙালি জাতির মুক্তির পথপ্রদর্শক। তাঁর জন্মদিনে প্রতি বছর সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন।
-
বঙ্গবন্ধুর জন্ম: শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে।
-
জন্মবার্ষিকী গণনা: ২০১৬ সালে তাঁর জন্মের ৯৬ বছর পূর্ণ হয় (১৯২০ + ৯৬ = ২০১৬)। তাই ২০১৬ সালে পালিত হয় তাঁর ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী।
-
জাতীয় শিশু দিবস: ১৯৯৭ সাল থেকে ১৭ মার্চ দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়, কারণ বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন এবং তাদের দেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখতেন।
-
উদযাপন পদ্ধতি: এই দিনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
-
জাতীয় গুরুত্ব: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনী নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য এই দিনটিকে জাতীয়ভাবে উদযাপন করা।
-
বিশেষ থিম: বিভিন্ন বছর এই দিবসে নির্দিষ্ট থিম বা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়, যেমন “শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধু” বা “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ব আমরা” ইত্যাদি।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাই তাঁর জন্মদিন শুধু জন্মস্মৃতি নয়, এটি স্বাধীনতার চেতনার প্রতীকও।
-
জাতিসংঘ স্বীকৃতি: ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে, যা তাঁর নেতৃত্বের বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রকাশ করে।
-
ব্যক্তিগত জীবন: বঙ্গবন্ধু ছিলেন শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের সন্তান। শৈশবে তাঁকে সবাই “খোকা” নামে ডাকতেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর নেতৃত্বগুণ ও মানবপ্রেম ছিল স্পষ্ট।
-
উত্তরাধিকার: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আজও বাংলাদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সমাজে প্রেরণার উৎস। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
সুতরাং, ২০১৬ সালের ১৭ মার্চ পালিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী, যা জাতির ইতিহাসে এক গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
0
Updated: 2 weeks ago