বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO) বাংলাদেশকে কোন রোগ মুক্ত ঘোষণা করেছে?
A
পোলিও
B
কালাজ্বর
C
ফাইলেরিয়া
D
সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এসব অর্জন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি ও সচেতনতার ফল।
• ৭ মার্চ ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করে, যা বিস্তৃত টিকাদান কর্মসূচির বড় অর্জন।
• ৫ মে ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে ফাইলেরিয়া (Elephantiasis) মুক্ত ঘোষণা করা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদি জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির সফল উদাহরণ।
• ৩১ অক্টোবর ২০২৩ সালে বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে WHO কর্তৃক কালাজ্বর নির্মূলের স্বীকৃতি পায়, যা ভেক্টর নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সাফল্যকে প্রমাণ করে।
• এই অর্জনগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যনীতি, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সক্ষমতাকে আরও দৃঢ় করেছে।
0
Updated: 9 hours ago
WHO এর সদর দপ্তর কোন শহরে অবস্থিত?
Created: 2 weeks ago
A
নিউইয়র্ক
B
জেনেভা
C
ভিয়েনা
D
আসলো
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO (World Health Organization) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে। এর সদর দপ্তর অবস্থিত সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে, যা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত। এই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা করা।
• প্রতিষ্ঠাকাল: WHO প্রতিষ্ঠিত হয় ৭ এপ্রিল ১৯৪৮ সালে, যা পরবর্তীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়।
• সদর দপ্তর: সংস্থার মূল কার্যালয় জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত। এই শহরকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো এর আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরপেক্ষ অবস্থান, এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উপস্থিতি।
• মূল উদ্দেশ্য: বিশ্বজুড়ে মানুষের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতা নিশ্চিত করা, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করা।
• প্রধান কার্যাবলি:
-
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা নীতিমালা নির্ধারণ করা।
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা প্রদান।
-
মহামারি ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় গবেষণা ও সমন্বয় কার্যক্রম পরিচালনা।
-
টিকা, ওষুধ এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা গঠন।
• সদস্য রাষ্ট্র: বর্তমানে WHO-এর ১৯৪টি সদস্য দেশ রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও একটি সক্রিয় সদস্য। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে এই সংস্থায় যোগ দেয়।
• পরিচালনা ব্যবস্থা: WHO পরিচালিত হয় World Health Assembly ও Executive Board দ্বারা। প্রধান নির্বাহী হিসেবে Director-General কাজ করেন। বর্তমানে (২০২5 অনুযায়ী) ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস এই পদে আছেন।
• বিশ্বব্যাপী অবদান: WHO বিশ্বব্যাপী COVID-19, Ebola, Polio, Malaria, Tuberculosis ইত্যাদি রোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া টিকাদান কর্মসূচি ও স্বাস্থ্যসেবার সমান প্রবেশাধিকারের জন্যও কাজ করছে।
• বাংলাদেশে ভূমিকা: বাংলাদেশে WHO স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সবশেষে বলা যায়, WHO-এর সদর দপ্তর জেনেভায় অবস্থিত, যা বিশ্বের স্বাস্থ্যনীতির কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। এখান থেকেই বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা ও সমন্বয় করা হয়।
0
Updated: 2 weeks ago