সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কত সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
A
1975
B
1973
C
1971
D
1972
উত্তরের বিবরণ
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ১৯৭৩ সালের ১৪ই মে বীমা কর্পোরেশন এক্ট-১৯৭৩ (এক্ট নং-৬) অনুযায়ী বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সকল ধরণের সাধারণ বীমা ও পুনঃবীমা ব্যবসা করার নিমিত্তে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
0
Updated: 10 hours ago
উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা গঠিত হয়েছিল-
Created: 4 months ago
A
৪ এপ্রিল, ১৯৪৯
B
৩ জানুয়ারি, ১৯৫৪
C
২৬ মে ১৯৫৫
D
১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬
NATO (North Atlantic Treaty Organisation) হলো একটি আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতামূলক জোট, যা ৪ এপ্রিল ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর আটলান্টিক চুক্তির মাধ্যমে এই সংস্থা গঠিত হয় মূলত পশ্চিম ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। প্রতিষ্ঠার সময় ১২টি দেশ ছিল এর সদস্য, আর বর্তমানে এটি ৩২টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত।
NATO-এর সদর দপ্তর ব্রাসেলস, বেলজিয়ামে অবস্থিত এবং বর্তমানে এর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মার্ক রুট। মুসলিম দেশের মধ্যে আলবেনিয়া ও তুরস্ক এই জোটের সদস্য। সম্প্রতি সুইডেন ৩২তম সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে।
এই সংস্থাটি একটি আন্তঃসরকারি সামরিক জোট, যা মূলত সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে। NATO-এর মূল আদর্শ বা স্লোগান হল "A mind unfettered in deliberation" অর্থাৎ অবাধ আলোচনা ও চিন্তার মাধ্যমে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
NATO-এর প্রথম ইউরোপের বাইরে অনুষ্ঠিত মিশন হয়েছিল আফগানিস্তানে, ২০০৩ সালে।
উৎস: NATO-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 4 months ago
কোন সংস্থাটি বাংলাদেশ পাঠ সমীক্ষা (Lesson study) প্রচলনে উদ্যোগ নিয়েছে?
Created: 1 week ago
A
NORAD
B
USAID
C
JICA
D
DFID
বাংলাদেশে পাঠ সমীক্ষা বা Lesson Study কার্যক্রমটি শুরু হয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও অংশগ্রহণমূলক ও শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক করার লক্ষ্যে। এই উদ্যোগে প্রধান ভূমিকা পালন করে JICA (Japan International Cooperation Agency), যা জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা। তাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি তৈরি করা, যা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা ও দলগত কাজের মানসিকতা বাড়াতে সহায়তা করে।
-
JICA বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নে বহুদিন ধরেই কাজ করছে। পাঠ সমীক্ষা (Lesson Study) প্রকল্প তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
-
এই পদ্ধতিতে শিক্ষকরা একত্রে পাঠ পরিকল্পনা করেন, ক্লাসে তা বাস্তবায়ন করেন এবং পরে যৌথভাবে মূল্যায়ন করেন। ফলে শিক্ষকেরা নিজেদের শিক্ষাদান দক্ষতা উন্নত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শেখার পদ্ধতিও গভীরভাবে বুঝতে পারেন।
-
Lesson Study পদ্ধতি প্রথম শুরু হয় জাপানে, যেখানে এটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক প্রশিক্ষণের একটি কার্যকর উপায় হিসেবে স্বীকৃত। JICA বাংলাদেশের জন্য সেই মডেলটিই অভিযোজিত করে, যাতে দেশের প্রেক্ষাপটে সহজভাবে প্রয়োগ করা যায়।
-
প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের শেখার আনন্দময় পরিবেশ নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষের একমুখী শিক্ষাদান পদ্ধতি বদলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা ও চিন্তাচর্চা বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
JICA এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে “Strengthening Primary Teacher Training on Science and Mathematics Education” প্রকল্পের মাধ্যমে, যা পরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সারাদেশে বিস্তৃত হয়।
-
এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো “Lesson Planning, Teaching, Observation and Reflection”, অর্থাৎ পাঠ পরিকল্পনা, পাঠদান, পর্যবেক্ষণ ও প্রতিফলন। এটি শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও পেশাগত উন্নয়নকে উৎসাহিত করে।
-
JICA বিশ্বাস করে, শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করলেই টেকসই শিক্ষা উন্নয়ন সম্ভব। তাই তারা বাংলাদেশে Lesson Study প্রয়োগের মাধ্যমে “Bangladeshi people’s character to the maximum” ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে—অর্থাৎ শিক্ষকদের সৃজনশীলতা ও দায়িত্ববোধকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বদেশীয় শিক্ষা সংস্কৃতি গড়ে তোলা।
-
অন্যদিকে, NORAD (Norwegian Agency for Development Cooperation), USAID (United States Agency for International Development) ও DFID (Department for International Development, UK) বিভিন্ন সময় শিক্ষা খাতে কাজ করলেও তারা Lesson Study প্রচলনের মূল উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
সব মিলিয়ে, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে Lesson Study চালু করার মূল কৃতিত্ব যায় JICA-এর হাতে। তাদের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আনতে এবং শিক্ষক সমাজকে পেশাগতভাবে আরও দক্ষ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
0
Updated: 1 week ago
'ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউট' নিচের কোন সংস্থাকে বোঝায়?
Created: 3 months ago
A
আইএমএফ
B
বিশ্বব্যাংক
C
এডিবি
D
আইডিবি
ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউশনস বলতে আইএমএফ (IMF) ও বিশ্বব্যাংক (World Bank) - এই দুই আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বোঝানো হয়।
ব্রেটন উডস সম্মেলন
১৯৪৪ সালের ১ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ব্রেটন উডস শহরে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে এই সম্মেলনে বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল—যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর পুনর্গঠন, আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ এবং ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যব্যবস্থার রূপরেখা নির্ধারণ।
এই সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস। তাঁদের দুজনকে ‘আইএমএফ’ ও ‘বিশ্বব্যাংক’-এর Founding Fathers বা প্রতিষ্ঠাতা পিতৃপুরুষ বলা হয়।
এই সম্মেলনের ফলেই জন্ম নেয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান—
-
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)
-
আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক (IBRD), যা বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অংশ।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, IBRD-এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৬ সালের জুন মাসে, যদিও এর ভিত্তি স্থাপিত হয় ১৯৪৪ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে।
এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে ‘ব্রেটন উডস ইনস্টিটিউশনস’ বলা হয়। আবার অনেক সময়, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংককে “ব্রেটন উডস জমজ” হিসেবেও অভিহিত করা হয়, কারণ তাদের উত্থান একই সম্মেলন থেকে।
তথ্যসূত্র:
i) World Bank Group
ii) U.S. Department of State (state.gov)
0
Updated: 3 months ago