বাংলা ভাষার প্রথম অভিধান কে রচনা করেন?
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
ফাদার মানোয়েল দা অসসাঁও
C
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
D
উইলিয়াম কেরি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার প্রথম অভিধান তৈরির ইতিহাস বাংলা সাহিত্য বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ অভিধান রচনার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে সুসংহত ও সুশৃঙ্খল করার পথ তৈরি হয়েছিল। ফাদার মানোয়েল দা অসসাঁও ছিলেন একজন পর্তুগিজ ধর্মযাজক, যিনি বাংলা ভাষার প্রচলিত শব্দ সংগ্রহ করে প্রথম অভিধান রচনা করেন। নিচে তাঁর অবদান সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলো।
-
ফাদার মানোয়েল দা অসসাঁও ষোড়শ শতকের শেষভাগে বাংলা ভাষার প্রতি গবেষণামূলক আগ্রহ দেখান।
-
তিনি বাংলা–পর্তুগিজ অভিধান তৈরি করেন, যা সাধারণভাবে বাংলা ভাষার প্রথম অভিধান হিসেবে পরিচিত।
-
তার অভিধান বাংলা শব্দভান্ডারকে লিপিবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং ভাষা-গবেষকদের জন্য ভিত্তি তৈরি করে।
-
অভিধানটি মূলত মিশনারিদের স্থানীয় ভাষা শেখা সহজ করতে রচিত হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে এটি বাংলা ভাষা-চর্চায় ঐতিহাসিক গুরুত্ব পায়।
-
একই সময়ে অন্যান্য ইউরোপীয় গবেষকরাও বাংলা নিয়ে কাজ করেন, তবে মানোয়েলের কাজই প্রথম অভিধানরূপে স্বীকৃত।
-
তার এই প্রয়াস বাংলা ভাষার শব্দসংগ্রহ, উচ্চারণ এবং অর্থ নির্ধারণে প্রাথমিক নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করেছে।
0
Updated: 12 hours ago
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কফি উৎপাদনকারী দেশ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
চীন
B
ব্রাজিল
C
ইন্দোনেশিয়া
D
ডেনমার্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কফি উৎপাদনকারী দেশ হলো ব্রাজিল। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে কফি উৎপাদনে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে এবং বিশ্ব কফি রপ্তানির একটি বড় অংশ সরবরাহ করে। তাই, সঠিক উত্তর: খ) ব্রাজিল।
0
Updated: 3 weeks ago
পাইরেসি কি?
Created: 3 weeks ago
A
তথ্য সংরক্ষণ
B
কপিরাইট বিঘ্নিত করা
C
বৈধ প্রকাশনা
D
আইনানুগ ব্যবহার
পাইরেসি বলতে বোঝানো হয় কোনো সৃষ্টিশীল বা মেধাস্বত্বসম্পন্ন কাজ অন্যের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার, কপি, বিক্রি বা বিতরণ করা। এটি একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি চুরির সমার্থক এবং আধুনিক যুগে এর প্রভাব ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে, বিশেষ করে ডিজিটাল মাধ্যমের কারণে। নিচে পাইরেসি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো।
১. অর্থ ও ধারণা: পাইরেসি শব্দটি মূলত "pirate" অর্থাৎ জলদস্যু শব্দ থেকে এসেছে। আধুনিক আইনে এর অর্থ হলো কারও মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া তার কাজ ব্যবহার করা। যেমন—বই, চলচ্চিত্র, গান, সফটওয়্যার, বা ভিডিও কনটেন্ট অননুমোদিতভাবে কপি করে বিতরণ করা।
২. কপিরাইটের ভূমিকা: কপিরাইট হলো সৃষ্টিকর্তার আইনি অধিকার, যা তার কাজকে সুরক্ষিত রাখে। এটি সৃষ্টিকর্তাকে তার কাজের প্রকাশ, বিক্রয় এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এই অধিকার লঙ্ঘন করে, সেটাই পাইরেসি হিসেবে গণ্য হয়।
৩. পাইরেসির ধরন:
-
বইয়ের পাইরেসি: অনুমতি ছাড়া বই ছাপানো বা PDF আকারে বিতরণ।
-
সিনেমা ও সঙ্গীত পাইরেসি: সিনেমা বা গান ইন্টারনেটে ফ্রি আপলোড বা বিক্রি করা।
-
সফটওয়্যার পাইরেসি: পেইড সফটওয়্যারের ক্র্যাক বা হ্যাক করা সংস্করণ বিনা অনুমতিতে ব্যবহার।
-
ডিজিটাল কনটেন্ট পাইরেসি: ইউটিউব ভিডিও, কোর্স, ই-বুক বা গেম অবৈধভাবে ডাউনলোড বা পুনঃপ্রচার করা।
৪. আইনি দৃষ্টিকোণ: বেশিরভাগ দেশে পাইরেসি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। কপিরাইট আইন অনুযায়ী, অপরাধীকে জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়। বাংলাদেশে "কপিরাইট আইন, ২০০০" অনুযায়ী কোনো সৃষ্টির অনুমতি ছাড়া পুনঃপ্রকাশ বা বিতরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৫. পাইরেসির প্রভাব:
-
সৃষ্টিকর্তার ক্ষতি: তারা তাদের কাজ থেকে ন্যায্য পারিশ্রমিক পান না।
-
অর্থনীতির ক্ষতি: পাইরেসির কারণে বই, চলচ্চিত্র ও সফটওয়্যার শিল্পে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
-
গুণগত মানের অবনতি: পাইরেটেড কনটেন্ট সাধারণত নিম্নমানের হয় এবং ভাইরাস বা ক্ষতিকর কোড বহন করতে পারে।
-
সৃজনশীলতার নিরুৎসাহ: সৃষ্টিকর্তারা নতুন কাজ তৈরিতে আগ্রহ হারান কারণ তাদের পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না।
৬. প্রতিরোধের উপায়:
-
সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
-
বৈধ উৎস থেকে কনটেন্ট ক্রয় বা ব্যবহার করা।
-
সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর আইন প্রয়োগ ও প্রযুক্তিগত নজরদারি।
-
ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কনটেন্ট সুরক্ষা।
৭. নৈতিক দিক: পাইরেসি শুধু আইনগত নয়, এটি নৈতিক অপরাধও। এটি সৃষ্টিকর্তার শ্রম ও মেধাকে অসম্মান করে। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বৈধভাবে কনটেন্ট ব্যবহার করা উচিত।
অতএব, "পাইরেসি" বলতে বোঝায় কপিরাইট বিঘ্নিত করা, অর্থাৎ অনুমতি ছাড়া অন্যের মেধাস্বত্ব ব্যবহার করা। এটি আইনি, নৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর একটি কার্যক্রম, যা রোধ করতে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও আইন প্রয়োগ উভয়ই জরুরি।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো কোন প্রাণীর জিনগত নকশা উন্মোচন করেছেন?
Created: 3 weeks ago
A
গরু
B
ভেড়া
C
ছাগল
D
মহিষ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো প্রাণীর জিনগত নকশা উন্মোচন করা হয় কালিগ্রাম বা ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ ছাগলের, যার পুরো জিনোম সিকুয়েন্স করা হয়েছে। এই সাফল্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দ্বারা অর্জিত, যেখানে ডঃ আমাম জোনায়েদ সিদ্দিকী নেতৃত্বে কাজ শুরু হয় ।
0
Updated: 3 weeks ago