বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে?
A
১৯৭১
B
১৯৭২
C
১৯৭৩
D
১৯৭৪
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি পাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের ঘটনা ছিল জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ। এই পদ লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি, বরং বৈশ্বিক নীতি, শান্তিরক্ষা মিশন ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অংশ নেওয়ার সুযোগও পেয়েছে। নিচের তথ্যগুলো বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে।
-
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে, যা দেশের সার্বভৌমত্বকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করে।
-
সদস্যপদ পাওয়ার আগে বাংলাদেশকে দু’বার ভেটো বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, বিশেষ করে পাকিস্তান এবং তাদের মিত্রদের কারণে।
-
শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সমর্থন বৃদ্ধির ফলে ১৯৭৪ সালে সাধারণ পরিষদের ভোটে বাংলাদেশকে সদস্যপদ দেওয়া হয়।
-
জাতিসংঘে যোগ দেওয়ার পর বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম বড় অংশীদার রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যা দেশের বৈদেশিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।
-
জাতিসংঘে অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন সহযোগিতা, মানবাধিকার উদ্যোগ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির পথ খুলে দেয়।
-
এই সদস্যপদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ন্যায্যতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আরও দৃঢ় করে।
0
Updated: 12 hours ago
নিচের কোন দেশটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল?
Created: 1 month ago
A
ভারত
B
সোভিয়েত ইউনিয়ন
C
বেলজিয়াম
D
পোল্যান্ড
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব
৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সক্রিয় হয়ে ওঠে। যুদ্ধ থামানো এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় রোধ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পোল্যান্ড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করে। খসড়া প্রস্তাবটি পোলিশ কূটনীতিক আইভান কুলাগা তুলে ধরেন। প্রস্তাবে দুপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
পোল্যান্ডের উত্থাপিত প্রস্তাবের মূল বিষয়সমূহ:
-
ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে আইনত নির্বাচিত জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে
-
ক্ষমতা হস্তান্তর শুরু হওয়ার পর সামরিক অভিযান বন্ধ করে ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি শুরু হবে
-
যুদ্ধবিরতি শুরু হলে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব সংঘাতের স্থান থেকে সৈন্য সরানো শুরু করবে
-
পশ্চিম পাকিস্তানের সকল বেসামরিক কর্মী ও অন্যান্য ব্যক্তি, যারা পূর্ব পাকিস্তান বা পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যেতে ইচ্ছুক, তাদের জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে স্থানান্তর নিশ্চিত করা হবে
-
৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানি সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে; পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার করবে
-
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভূখণ্ড কোনো পক্ষের অধিগ্রহণে স্থায়ী হবে না; ভারত ও পাকিস্তান সরকার অবিলম্বে তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে আলোচনা শুরু করবে
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
১৩৬তম
B
১৪৫তম
C
১২৬তম
D
১৩৯তম
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ
-
যোগদানের তারিখ: ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪
-
সদস্যতা: ১৩৬তম সদস্য রাষ্ট্র
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে সদস্যতা: ১৯৭৬ ও ১৯৮১ সালে (দুই মেয়াদ, চার বছরের জন্য)
-
সাধারণ পরিষদের সভাপতিত্ব: ৪১তম সাধারণ পরিষদে (১৯৮৬-৮৭) – হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী
-
নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য: ১৯৭৯-১৯৮০ ও ২০০০-২০০১ মেয়াদে
সূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (৯ম-১০ম), পত্রিকা রিপোর্ট
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে কবে?
Created: 3 weeks ago
A
২৬ মার্চ ১৯৭১
B
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
C
১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪
D
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জনের প্রচেষ্টা শুরু করে। দীর্ঘ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর অবশেষে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির এক ঐতিহাসিক ধাপ অতিক্রম করে এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজস্ব অবস্থান প্রতিষ্ঠা করে। তথ্যগুলো নিম্নরূপ—
-
জাতিসংঘে যোগদানের বছর ও অধিবেশন: ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশকে সদস্য হিসেবে গৃহীত হয়।
-
বাংলাদেশের সদস্য নম্বর: জাতিসংঘে বাংলাদেশ বর্ণানুক্রম অনুসারে ১৩৬তম সদস্য দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
একই দিনে সদস্যপদ পাওয়া দেশ: এই অধিবেশনে আরও দুটি দেশ—গ্রানাডা ও গিনি-বিসাউ—বাংলাদেশের সঙ্গে সদস্যপদ লাভ করে।
-
সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি: এর আগে জাতিসংঘে ১৩৫টি দেশ ছিল। তিনটি নতুন দেশ যুক্ত হওয়ায় মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩৮টি।
-
বাংলাদেশের নাম বর্ণানুক্রমে আগে: ‘Bangladesh’ শব্দটি ইংরেজি বর্ণমালার ‘B’ দিয়ে শুরু হওয়ায় বাংলাদেশের নাম গ্রানাডা ও গিনি-বিসাউয়ের আগে তালিকাভুক্ত হয়।
-
স্বীকৃতির তাৎপর্য: জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির চূড়ান্ত ধাপ ছিল। এটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিশ্বদরবারে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট: পাকিস্তান ১৯৭১ সালের পর দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জাতিসংঘ সদস্যপদে ভেটো দেয়। কিন্তু চীন ও অন্যান্য রাষ্ট্রের অবস্থান নরম হওয়া এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমর্থন পাওয়ার পর বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত সদস্যপদ লাভে সফল হয়।
-
বাংলাদেশের প্রতিনিধি: সদস্যপদ অর্জনের পর তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেন ও রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করেন।
-
পরবর্তী অবদান: সদস্যপদ লাভের পর বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশন, মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
জাতিসংঘে সদস্যপদ অর্জন শুধু রাজনৈতিক সাফল্য নয়, বরং এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও কূটনৈতিক অর্জনের একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়। এই দিনটি বাংলাদেশের বৈশ্বিক পরিচয়ের সূচনাদিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
0
Updated: 3 weeks ago