বজ্রবৃষ্টির ফলে মাটিতে উদ্ভিদের কোন খাদ্য উপাদান বৃদ্ধি পায়?
A
পটাশিয়াম
B
নাইট্রোজেন
C
অক্সিজেন
D
ফসফরাস
উত্তরের বিবরণ
ইট্রোজেন উদ্ভিদের জন্য একটি অপরিহার্য খাদ্য উপাদান এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাতাসে প্রচুর নাইট্রোজেন থাকলেও উদ্ভিদ সরাসরি তা গ্রহণ করতে পারে না। বজ্রপাত বা বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাইট্রোজেন পানি ও মাটির সাথে বিক্রিয়া করে এমন যৌগে পরিণত হয় যা উদ্ভিদ সহজে গ্রহণ করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
• বাতাসের নাইট্রোজেন পানির সাথে মিশে নাইট্রেট (NO₃) আকারে মাটিতে জমা হয়।
• উদ্ভিদ সাধারণত মাটি থেকে এই নাইট্রেট শোষণ করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে।
• বজ্রবৃষ্টির ফলে নাইট্রোজেন যৌগ মাটিতে বৃদ্ধি পায়, যা ফসল উৎপাদনে সহায়ক।
• নাইট্রোজেন সার ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা আরও বৃদ্ধি করা যায়।
0
Updated: 12 hours ago
বাংলাদেশের কোন স্থানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়?
Created: 2 hours ago
A
সিলেটের লালাখালে
B
নাটোরের লালপুরে
C
মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ডে
D
রাজশাহীর তানোরে
বাংলাদেশে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ২০৩ সেন্টিমিটার, যা মৌসুমি জলবায়ুর কারণে বৈচিত্র্যময়ভাবে সারা দেশে পরিবর্তিত হয়। ভৌগোলিক অবস্থান, ভূ-প্রকৃতি এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাব বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
• বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সে.মি.
• সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সিলেটের লালখানে, কারণ এ অঞ্চল পাহাড়বেষ্টিত এবং মৌসুমি বায়ুর আর্দ্রতা এখানে বেশি প্রবেশ করে
• সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয় নাটোরের লালপুরে, কারণ এটি তুলনামূলকভাবে শুষ্ক এবং সমতল এলাকা যেখানে বাতাসে আর্দ্রতার প্রবাহ কম
• মৌসুমি, উপ-মৌসুমি এবং পাহাড়ি জলবায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের এ পার্থক্য সৃষ্টি হয়
• কৃষি, নদী-ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু গবেষণায় এ পরিসংখ্যান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
0
Updated: 2 hours ago
নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে গ্রীষ্মকালে শুরুতে কোন ধরণের বৃষ্টিপাত হয়?
Created: 2 months ago
A
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত
B
পরিচলন বৃষ্টিপাত
C
ঘূর্ণিবাত বৃষ্টিপাত
D
সংঘর্ষ বৃষ্টিপাত
বৃষ্টিপাতের শ্রেণিবিভাগ
মূল শ্রেণিবিভাগ (৪ প্রকার):
-
পরিচলন বৃষ্টিপাত (Conventional Rainfall)
-
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত (Orographic/Rainfall by Relief)
-
ঘূর্ণিবাত বৃষ্টিপাত (Cyclonic Rainfall)
-
সংঘর্ষ বৃষ্টিপাত (Convectional/Frontal Collision Rainfall)
১. পরিচলন বৃষ্টিপাত (Conventional Rainfall)
উৎপত্তি ও প্রক্রিয়া:
-
ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু উষ্ণ হলে জলীয়বাষ্পপূর্ণ হালকা বায়ু উপরের দিকে উঠে যায়।
-
শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে এই জলীয়বাষ্প মেঘে ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়।
-
বায়ুর তাপ হ্রাস পেলে অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি সৃষ্টি করে।
বিশেষত্ব:
-
নিরক্ষীয় নিম্নচাপ এলাকায় বেশি দেখা যায়।
-
স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ বেশি → লম্বাভাবে সূর্যকিরণ পড়ায় বায়ু উষ্ণ হয়।
-
হালকা জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু যখন শীতল বায়ুর সংস্পর্শে আসে → পরিচলন বৃষ্টিপাত ঘটে।
-
নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বিকেল ও সন্ধ্যায় দেখা যায়।
-
নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলে গ্রীষ্মকালের শুরুতে এ ধরনের বৃষ্টি বেশি হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত কত?
Created: 2 days ago
A
২০৩ সে.মি.
B
২০৫ সে.মি.
C
২০৭ সে.মি.
D
২০৯ সে.মি.
বাংলাদেশ একটি উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর দেশ যেখানে মৌসুমি প্রভাব স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। দেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হলেও এর একটি সামগ্রিক গড় নির্ধারণ করা সম্ভব।
• বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ২০৩ সেন্টিমিটার (২০৩০ মি.মি.), যা দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে তুলনামূলকভাবে বেশি।
• সিলেটের লালখান অঞ্চলে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়; এটি পার্বত্য ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা।
• নাটোরের লালপুরে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়, কারণ এটি অপেক্ষাকৃত শুষ্ক ও সমতল অঞ্চল।
• বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ বিভাগ সিলেট, যেখানে প্রাকৃতিক অবস্থান ও পাহাড়ি গঠন বৃষ্টিপাত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
• বার্ষিক গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৬.০১°সে, যা দেশের উষ্ণমণ্ডলীয় আবহাওয়ার প্রতিফলন।
0
Updated: 2 days ago