'মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা '- এই পঙক্তিটির রচয়িতা কে?
A
আবদুল গফফার চৌধুরী
B
অতুল প্রসাদ
C
শামসুর রাহমান
D
হুমায়ূন আহমেদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও গর্ব প্রকাশ পেয়েছে এই বিখ্যাত পঙক্তিটিতে। এর রচয়িতা অতুল প্রসাদ সেন, যিনি বাংলা সংগীত জগতের এক অনন্য প্রতিভা। তিনি দেশপ্রেম, মানবতা ও ভাষার মর্যাদাকে গান ও কবিতায় তুলে ধরেছিলেন।
- অতুল প্রসাদ সেন ছিলেন উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের প্রথম দিকের সংগীতজ্ঞ, কবি ও আইনজীবী।
- তিনি ছিলেন বাংলা কীর্তন ও দেশাত্মবোধক গানের পথিকৃৎদের একজন।
“মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা” তার রচিত একটি দেশপ্রেমমূলক গান, যা ভাষা ও জাতিসত্তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। - এই গানটি বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও গর্ববোধ জাগ্রত করে।
বাংলা ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এই গানটি ব্যাপকভাবে গাওয়া হয়।
0
Updated: 17 hours ago
“সততা হে নদ তুমি পড় মোর মনে” পঙক্তিটির রচিতা কে?
Created: 3 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
অমিয় চক্রবর্তী
কবিতা: কপোতাক্ষ নদ
-
রচয়িতা: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
অন্তর্গত: চতুর্দশপদী কবিতাবলী
-
ধরণ: সনেট
-
উল্লেখযোগ্য পঙক্তি: "সততা হে নদ তুমি পড় মোর মনে"
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
মহাকবি, নাট্যকার
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, সাগরদাঁড়ি, কপোতাক্ষ নদ, যশোর
-
বাংলা ভাষায় সনেটের ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক
রচিত কাব্য:
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী
0
Updated: 3 months ago
’এমন যদি হত ইচ্ছে হলেই আমি হতাম প্রজাপতির মত।’- পঙক্তিটির লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
B
সুকুমার বড়ুয়া
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
মোহিতলাল মজুমদার
‘এমন যদি হত’ কবিতার একটি পঙক্তি হলো—
“এমন যদি হত ইচ্ছে হলেই আমি হতাম প্রজাপতির মত।” এটি রচনা করেছেন সুকুমার বড়ুয়া। কবিতাটি তাঁর সৃষ্ট ‘এমন যদি হতো’ নামক কাব্যগ্রন্থের অংশ।
-
কবিতার সংক্ষিপ্ত অংশ:
এমন যদি হতো
ইচ্ছে হলে আমি হতাম
প্রজাপতির মত
নানান রঙের ফুলের পরে
বে সেত যেতাম চুপটি করে
খেয়াল মতো নানান ফুলের সুবাস নিতাম কতো। -
সুকুমার বড়ুয়া বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ছড়াকার।
-
জন্ম: ১৯৩৮ সালের ৫ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার মধ্যম বিনাজুরি গ্রাম।
-
১৯৬২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
-
১৯৯৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোরকিপার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম: ছড়ারাজ, ছড়াশিল্পী, ছড়াসম্রাট, পাগলা ঘোড়া, ভিজে বেড়াল, চিচিংফাঁক, লেজ আবিষ্কার।
-
সুকুমার বড়ুয়ার ছড়াগুলো শিশুদের কল্পনা শক্তি, মনোরঞ্জন ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে সমৃদ্ধ।
-
তাঁর সাহিত্যকর্মে প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রাণী ও দৈনন্দিন জীবনের হাস্যরস প্রকাশিত হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
‘মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর’- এ পঙক্তিটি কার রচনা?
Created: 5 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
শেখ ফজলুল করিম
D
শামসুর রাহমান
‘মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেই সুরাসুর’ — এই পঙ্ক্তি ফজলল করিমের রচিত ‘স্বর্গ ও নরক’ কবিতার অন্তর্গত।
-
বাঙালি মুসলমানদের ভাষাগত সঙ্কটের সময়ে ‘বাসনা’ পত্রিকা বাংলা ভাষার পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিল।
-
এই পত্রিকার প্রধান লক্ষ্য ছিল হিন্দু-মুসলমান মিলনাকাঙ্ক্ষা প্রচার করা।
-
হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের সময়ে শেখ ফজলল করিম রচনা করেন ‘স্বর্গ ও নরক’ শিরোনামে একটি কবিতা।
কবিতাটির সংক্ষিপ্ত রূপ:
স্বর্গ ও নরক
শেখ ফজলল করিম
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, তা কে বহুদূর বলে?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেই সুরাসুর!
শত্রু দূর করতে যখন বিবেক জাগে আমাদের,
সেই সময় আত্মগ্লানির আগুনে পুড়ে যায় নরকের শিখা।
যখন প্রেম ও স্নেহের পবিত্র বন্ধনে আমরা মিলিত হই,
তখন আমাদের কুঁড়েঘরে স্বর্গ এসে অবস্থান নেয়।
শেখ ফজলল করিম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
-
তিনি ১৮৮২ সালে রংপুর জেলার কাকিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
কবি, সাহিত্যিক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত।
-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর চরিত্র ও ধর্মজীবন অবলম্বনে ‘পরিত্রাণ’ শীর্ষক কাব্য রচনা করেন।
-
সাহিত্য সেবায় নদীয়া সাহিত্য সভা তাকে ১৯১৬ সালে ‘সাহিত্যবিশারদ’ ও ১৯১৭ সালে ‘কাব্যরত্নাকর’ উপাধি প্রদান করে সম্মানিত করে।
তাঁর প্রধান কবিতাসমূহ:
-
ভগ্নবীণা
-
ভক্তি পুষ্পাঞ্জলি
-
গাঁথা
-
প্রেমের স্মৃতি
-
পথ ও পাথেয়
-
উচ্ছ্বাস
প্রধান উপন্যাস:
-
লায়লী মজনু
-
হারুন-অর-রশিদ
উৎস: বাংলাপিডিয়া, ‘স্বর্গ ও নরক’ কবিতা ও শেখ ফজলল করিম।
0
Updated: 5 months ago