মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরের বিভক্ত করা হয়েছিল?
A
১০টি
B
১২টি
C
৯টি
D
১১টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সামরিক কৌশলগত সুবিধা এবং যুদ্ধ পরিচালনা সহজ করার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার এবং তাদের অধীনে ছিল সাব-সেক্টর কমান্ডাররা। পরে প্রয়োজন অনুযায়ী সেক্টরগুলো আরও ভাগ হয়ে মোট ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠিত হয়।
• সেক্টরভিত্তিক এই বিভাজন যুদ্ধ পরিচালনা, প্রশিক্ষণ, আক্রমণ পরিকল্পনা ও অস্ত্র সরবরাহ সহজ করে।
• প্রতিটি সেক্টরের নিজস্ব যুদ্ধঘাঁটি, রুট এবং রণকৌশল নির্ধারিত ছিল।
• এই পদ্ধতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা সমন্বিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
• সেক্টর কমান্ডারদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই কাঠামো মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 hours ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা কত নং সেক্টরের অধীনে ছিল?
Created: 1 month ago
A
২নং সেক্টর
B
১নং সেক্টর
C
৪নং সেক্টর
D
৮নং সেক্টর
১নং সেক্টর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল।
-
সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল হরিনাতে।
-
প্রথম সেক্টর প্রধান ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
এই সেক্টরের পাঁচটি সাব-সেক্টর এবং কমান্ডাররা:
-
ঋষিমুখ: ক্যাপ্টেন শামসুল ইসলাম
-
শ্রীনগর: ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান, পরে ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান
-
মনুঘাট: ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান
-
তবলছড়ি: সুবেদার আলী হোসেন
-
ডিমাগিরী: জনৈক সুবেদার
-
-
এই সেক্টরে প্রায় দশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছেন।
-
এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার নিয়মিত সৈন্য ছিলেন (ই.পি.আর, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী) এবং প্রায় আট হাজার ছিলেন গণবাহিনীর সদস্য।
-
-
এ বাহিনীর গেরিলাদের ১৩৭টি গ্রুপে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর কোন সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
Created: 7 hours ago
A
২নং
B
৮ নং
C
১০নং
D
১১নং
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে এবং ৬৪টি সাব সেক্টরে ভাগ করে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়েছিল, যাতে পরিকল্পনা, দায়িত্ববণ্টন ও সামরিক কার্যক্রম কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা যায়। এ ১১টি সেক্টরের মধ্যে ১০ নং সেক্টর ছিল নৌকমান্ড এবং এটি অন্যান্য সেক্টরের মতো স্থলভিত্তিক নয় বলে একে ব্যতিক্রমী সেক্টর হিসেবে গণ্য করা হয়। এই সেক্টরে নির্দিষ্ট সেক্টর কমান্ডার না থাকলেও বিভিন্ন মেরিন কমান্ডো দল সমুদ্র ও নদীপথে অপারেশন পরিচালনা করেছিল। মুজিবনগর ছিল ৮ নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত, যেখানে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছিল। ঢাকা শহর ছিল ২নং সেক্টরের অধীনে হলেও প্রশাসনিক কারণে ঢাকা জেলা ছিল ২ ও ৩ নং সেক্টরের অধীনে বিভক্ত।
0
Updated: 7 hours ago
‘সাবাস বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 day ago
A
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
C
টিএসসি মোড়ে
D
জয়দেবপুরে
‘সাবাস বাংলাদেশ’ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়ের প্রতীকী ভাস্কর্য। এটি অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব, ত্যাগ ও স্বাধীনতার আনন্দকে শিল্পরূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর নির্মাতা ছিলেন খ্যাতনামা ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু।
• এই ভাস্কর্যটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও গৌরবকে প্রতিফলিত করে, যা তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
• রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই শিল্পকর্মটি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।
• অন্যদিকে, গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে অবস্থিত ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ছিল মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম নির্মিত ভাস্কর্য, যা স্বাধীনতার সূচনা স্মরণে গড়ে তোলা হয়।
• উভয় ভাস্কর্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, গর্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক।
0
Updated: 1 day ago