কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা নয়?
A
ছায়ানট
B
মধুমালা
C
বিলাসী
D
ক ও খ উভয়ই
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। তবে সবই তার লেখা নয়। দেওয়া প্রশ্নে মূল লক্ষ্য হলো তার রচনাসমূহ সঠিকভাবে চিহ্নিত করা।
• ছায়ানট এবং মধুমালা দুটি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা নয়, কারণ এগুলো অন্যান্য সাহিত্যিকের কাব্যসংগ্রহ।
• বিলাসী হলো নজরুলের লেখা, যা তার সাহিত্যের মধ্যে বিশেষ স্থানের অধিকারী।
• সঠিক উত্তর “ক ও খ উভয়ই”, কারণ এই দুটি রচনা তার নয়।
• নজরুলের রচনায় সাধারণত দেশপ্রেম, মানবিকতা ও বিপ্লবী ভাবনা প্রবলভাবে লক্ষ্য করা যায়।
• সাহিত্যিক সঠিকভাবে চিহ্নিত করা শিক্ষার্থীদের বাংলা সাহিত্যের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 hour ago
'একাত্তরের চিঠি' -কোন জাতীয় রচনা?
Created: 3 months ago
A
মুক্তিযুদ্ধের বিবরণ
B
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস
C
মুক্তিযোদ্ধাদের পত্র সংকলন
D
ভিন্নধর্মী ডায়েরি
‘একাত্তরের চিঠি’ পত্র সংকলন:
‘একাত্তরের চিঠি’ একটি বিশেষ বই, যেখানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে লেখা ৮২টি চিঠি সংকলন করা হয়েছে।
এই চিঠিগুলো সংগ্রহ করেছে দৈনিক প্রথম আলো এবং গ্রামীণফোন। বইটি প্রথম প্রকাশ করে প্রথমা প্রকাশন — বাংলা ১৪১৫ সালের চৈত্র মাসে, অর্থাৎ মার্চ ২০০৯ সালে।
এই সংকলনের সম্পাদনার কাজ করেছেন — আমীন আহম্মেদ চৌধুরী, রশীদ হায়দার, সেলিনা হোসেন ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
উৎস: ‘একাত্তরের চিঠি’ বইয়ের ভূমিকা।
0
Updated: 3 months ago
শহিদ জননী জাহানারা ইমামের রচনা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
হৃদয়ে একাত্তর
B
মূলধারা একাত্তর
C
একাত্তরের দিনগুলি
D
স্বাধীনতা ১৯৭
“একাত্তরের দিনগুলি” হলো শহিদ জননী জাহানারা ইমামের রচনা, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা এবং সেই সময়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে। শহিদ জননী নামের কারণে তিনি সকলকে পরিচিত, কারণ তার সন্তান শহীদ হয়েছিলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে। রচনায় তিনি সেই সময়ের দুঃসহ বাস্তবতা, ভয়, বেদনা, এবং দেশের জন্য ত্যাগের গল্প তুলে ধরেছেন। এই বই বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রচনাটির মূল উদ্দেশ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোকে সঠিকভাবে স্মরণ করা এবং পাঠকদের মাঝে ইতিহাসের সচেতনতা সৃষ্টি করা। জাহানারা ইমাম তার সন্তান হারানোর বেদনা এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম হয়েছে, তা অত্যন্ত স্পষ্ট ও হৃদয়স্পর্শী ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। তার লেখায় শুধু ব্যাক্তিগত বেদনা নয়, বরং পুরো জাতির যন্ত্রণার চিত্রও ফুটে উঠেছে।
বইটিতে ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। শুরু হয় ১৯৭১ সালের মার্চ মাস থেকে, যখন পাকিস্তানি সেনারা গ্রামে প্রবেশ করে। তারপর ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে যুদ্ধের শুরু, সাধারণ মানুষের ভয়, হত্যাযজ্ঞ এবং শহীদ সন্তানদের ত্যাগের গল্প। জাহানারা ইমামের ভাষা সহজ হলেও খুবই প্রাঞ্জল এবং অনুভূতিপূর্ণ, যা পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
রচনার গুরুত্ব:
-
এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সাহিত্যিকভাবে তুলে ধরে।
-
সাধারণ মানুষের কষ্ট, ত্যাগ এবং সাহসের গল্প সংরক্ষণ করে।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক দিকগুলো স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে।
-
পাঠকদের মাঝে দেশপ্রেম ও ইতিহাস সচেতনতা বাড়ায়।
বইটির বিশেষত্ব হলো এটি শুধুমাত্র ইতিহাস নয়, বরং একজন মাতার চোখ দিয়ে দেখা যুদ্ধের বেদনা এবং ত্যাগের গল্প। জাহানারা ইমাম তার সন্তান শহীদ হওয়ার বেদনা বইতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যা একদিকে যেমন ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা, অন্যদিকে জাতির ইতিহাসের অংশ। পাঠক বইটি পড়লে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র, নারী ও শিশুর ভয়াবহতা, এবং সাধারণ মানুষের সাহস ও ধৈর্য সম্পর্কে গভীর ধারণা পায়।
লেখার ধরন:
জাহানারা ইমামের লেখা স্মৃতিকথা এবং ঐতিহাসিক বর্ণনার মিশ্রণ, যা সহজ, প্রাঞ্জল ও হৃদয়স্পর্শী। এটি বাংলাদেশের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বইটি শুধুমাত্র ইতিহাস শেখায় না, পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম এবং আত্মত্যাগের শিক্ষাও দেয়।
0
Updated: 1 week ago
বনফুলের রচনা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভুবন সোম
B
অগ্নিস্নাতা
C
ভারতবর্ষ
D
অচ্ছুত বাঙালী
0
Updated: 1 month ago