কোন শব্দটি বিশেষ্য বিশেষণ উভয়রুপে ব্যবহৃত হতে পারে?
A
দেশ
B
সুন্দর
C
ব্যথা
D
বন্দর
উত্তরের বিবরণ
সুন্দর শব্দটি বিশেষ্য ও বিশেষণ উভয়রুপে ব্যবহৃত হতে পারে। এটি সাধারণত একটি বর্ণনামূলক শব্দ হলেও প্রয়োজনে একটি নির্দিষ্ট সত্তারূপেও ব্যবহার করা যায়।
• বিশেষণ হিসাবে: এটি কোনো বস্তু বা ব্যক্তির গুণবাচক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে, যেমন “সুন্দর ছবি”, “সুন্দর ফুল”।
• বিশেষ্য হিসাবে: কখনও কখনও এটি নির্দিষ্ট সত্তার প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেমন “সুন্দরই সবার প্রিয়”–এখানে সুন্দরকে একটি ব্যক্তি বা বস্তু বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
• অন্য বিকল্পগুলো, যেমন “দেশ”, “ব্যথা”, “বন্দর”, সাধারণত শুধুমাত্র বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বিশেষণ রূপে ব্যবহারের সুযোগ নেই।
• তাই “সুন্দর” শব্দটিই একমাত্র শব্দ যা উভয় রূপে প্রয়োগযোগ্য।
0
Updated: 1 hour ago
'অশিক্ষিত' শব্দের গঠন কোনটি?
Created: 2 months ago
A
উপসর্গ + মূল শব্দ
B
ধাতু + প্রত্যয়
C
ধাতু + উপসর্গ
D
অব্যয় + অনুসর্গ
সঠিক উত্তর: ক) উপসর্গ + মূল শব্দ
বিশ্লেষণ:
'অশিক্ষিত' শব্দের গঠন:
-
অ (উপসর্গ) + শিক্ষিত (মূল শব্দ)
এখানে:
-
অ একটি নেতিবাচক উপসর্গ যা 'না' বা 'নয়' অর্থ প্রকাশ করে
-
শিক্ষিত হলো মূল শব্দ যার অর্থ 'যে শিক্ষা লাভ করেছে'
-
অ উপসর্গ যোগে শিক্ষিত শব্দের বিপরীত অর্থ তৈরি হয়েছে - 'যে শিক্ষা লাভ করেনি'
অনুরূপ উদাহরণ:
-
অসুস্থ = অ + সুস্থ
-
অযোগ্য = অ + যোগ্য
-
অপরিচিত = অ + পরিচিত
সুতরাং 'অশিক্ষিত' শব্দটি উপসর্গ + মূল শব্দ দিয়ে গঠিত।
উৎস: বাংলা একাডেমী আধুনিক বাংলা অভিধান; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
নিচের শব্দগুলোর মধ্যে কোনটি অমিল?
Created: 2 weeks ago
A
অগ্নি
B
অনল
C
বেগম
D
পাবক
বাংলা ভাষায় ‘অগ্নি’, ‘অনল’ ও ‘পাবক’ – এই তিনটি শব্দের অর্থ একই। এরা সবাই আগুন বা দহন শক্তির প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘বেগম’ শব্দটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ বহন করে, যা নারীর মর্যাদাসূচক পদবী বা উপাধি নির্দেশ করে। এই কারণেই ‘বেগম’ শব্দটি বাকিদের সঙ্গে অর্থের দিক থেকে অমিল।
‘অগ্নি’, ‘অনল’ ও ‘পাবক’ শব্দগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সমার্থক সম্পর্ক।
-
অগ্নি শব্দটি সংস্কৃত উৎসজাত, যার অর্থ আগুন বা দহন। এটি শুদ্ধ, প্রাচীন ও ধর্মীয় গ্রন্থে বহুল ব্যবহৃত।
-
অনল শব্দটিরও অর্থ আগুন। এটি কাব্যিক ভাষায় আগুন বা জ্বলন্ত শক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
পাবক শব্দটির অর্থও আগুন বা শুদ্ধকারক। এটি সংস্কৃত ‘পব’ ধাতু থেকে গঠিত, যার অর্থ পবিত্র করা বা বিশুদ্ধ করা। আগুনকে ‘পাবক’ বলা হয় কারণ এটি অশুদ্ধিকে দগ্ধ করে শুদ্ধতা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে, ‘বেগম’ শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি ফারসি উৎসজাত শব্দ, যার অর্থ কোনো সম্ভ্রান্ত বা অভিজাত নারীর উপাধি। মুসলিম সমাজে রাজকীয় নারী বা উচ্চবংশীয় মহিলাকে ‘বেগম’ বলা হয়। শব্দটি সাধারণত মর্যাদা, গৌরব ও সামাজিক অবস্থান নির্দেশ করে, যা ‘অগ্নি’, ‘অনল’ ও ‘পাবক’-এর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়।
এই শব্দগুলির ব্যুৎপত্তি ও অর্থগত বিশ্লেষণে দেখা যায়—
-
অগ্নি, অনল ও পাবক – তিনটিই প্রাকৃতিক শক্তি, দহন, তাপ ও আলোকে নির্দেশ করে।
-
বেগম – মানবসমাজের একটি উপাধি বা সামাজিক পরিচয়ের প্রতীক।
-
প্রথম তিনটি শব্দ প্রকৃতি ও শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু শেষেরটি মানুষের পদমর্যাদার সঙ্গে যুক্ত।
-
ভাষার উৎস ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রও আলাদা—অগ্নি, অনল, পাবক সংস্কৃত ধাতু থেকে এসেছে; বেগম এসেছে ফারসি ভাষা থেকে।
সব দিক বিচার করলে দেখা যায়, ‘বেগম’ শব্দটি অর্থ, উৎস ও প্রয়োগে অন্যান্য শব্দ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। তাই সঠিক উত্তর হলো—
ঘ) বেগম.
0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি ধ্বন্যাত্মক শব্দের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
নীল নীল
B
শন্ শন্
C
লাল নীল
D
রাশি রাশি
ধ্বন্যাত্মক শব্দ এমন শব্দ যা কোনো প্রকৃত বা প্রাকৃতিক শব্দের অনুকরণ করে তৈরি হয়। এটি সাধারণত প্রাকৃতিক শব্দ বা আওয়াজের পুনরাবৃত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, পশুর ডাক, শব্দের আওয়াজ, বাতাসের শব্দ, ইত্যাদি।
ধ্বন্যাত্মক শব্দে শব্দের উচ্চারণ থেকেই শব্দের অর্থ ফুটে ওঠে, অর্থাৎ এটি শব্দের প্রকৃত আওয়াজের অনুকরণ করে। নিচে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হল:
-
খ) শন্ শন্: এটি একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ, কারণ এটি বাতাসের কিংবা কোনো কিছু ঘুরে চলার শব্দের অনুকরণ করে তৈরি। "শন্ শন্" শব্দটি বাতাসের অথবা কোনো কিছু দ্রুত চলার শব্দের প্রতিকৃতিত্ব করে, যেমন বনভূমি বা কোনো বস্তু ঘূর্ণায়মান অবস্থায় চললে এমন শব্দ শোনা যায়।
-
ক) নীল নীল: এটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ নয়, কারণ এটি কোনো নির্দিষ্ট আওয়াজ বা শব্দের অনুকরণ নয়। এটি মূলত দুটি রঙের নামের সংমিশ্রণ।
-
গ) লাল নীল: এটি একটি বর্ণনা, কিন্তু কোনো শব্দের আওয়াজ বা প্রতিধ্বনি নয়, তাই এটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ হিসেবে গণ্য হয় না।
-
ঘ) রাশি রাশি: এটি একটি পরিমাণগত বর্ণনা, কিন্তু কোনো আওয়াজের অনুকরণ নয়, তাই এটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না।
অতএব, "শন্ শন্" শব্দটি ধ্বন্যাত্মক শব্দের শ্রেণীতে পড়ে, কারণ এটি বাতাস বা ঘূর্ণায়মান কোনো বস্তু থেকে যে আওয়াজ বের হয়, সেই আওয়াজের অনুকরণ করে।
0
Updated: 1 week ago