সার্কভুক্ত কোন দেশটির দূতাবাস বাংলাদেশে নেই?
A
শ্রীলংকা
B
নেপাল
C
ভুটান
D
মালদ্বীপ
উত্তরের বিবরণ
সার্ক (SAARC) হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা, যার প্রতিষ্ঠা হয় ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। সংস্থাটির উদ্দেশ্য ছিল অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। সার্কে সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা বর্তমানে মোট ৮টি, যেমন: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশে সার্কভুক্ত সব দেশেরই কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। মালদ্বীপের দূতাবাস কিছু সময় বন্ধ থাকার পর ২০১৫ সালে ঢাকায় পুনরায় চালু হয়। সার্কের স্থায়ী সদরদপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
0
Updated: 1 hour ago
সার্কের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
আবুল আহসান
B
মনমোহন সিং
C
শওকত আজিজ
D
চেনকিয়ার দোর্জি
সার্কের ইতিহাসে প্রথম মহাসচিব হিসেবে আবুল আহসান ছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা SAARC (South Asian Association for Regional Cooperation) প্রতিষ্ঠার পর সংস্থার কার্যক্রম শুরু করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তিনি বাংলাদেশের কূটনীতিক হিসেবে অসাধারণ দক্ষতা ও নেতৃত্বের পরিচয় দেন। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
সার্ক প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য:
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থার মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে অঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা।
প্রথম মহাসচিব আবুল আহসান:
-
নাম: আবুল আহসান
-
জাতীয়তা: বাংলাদেশ
-
মেয়াদ: জানুয়ারি ১৯৮৭ থেকে ডিসেম্বর ১৯৮৯ পর্যন্ত
-
ভূমিকা: সার্কের গঠনমূলক কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে সার্ক সচিবালয়ের ভিত্তি সুসংহত হয় এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়।
-
অবদান: সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা গড়ে তোলা, প্রাথমিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সার্ক চার্টার অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করা ছিল তাঁর প্রধান অর্জন।
অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
মনমোহন সিং: তিনি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হলেও সার্কের কোনো মহাসচিব ছিলেন না।
-
শওকত আজিজ: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সার্কের প্রশাসনিক কোনো পদে ছিলেন না।
-
চেনকিয়ার দোর্জি: ভুটানের একজন কূটনীতিক হলেও সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন না।
অতিরিক্ত তথ্য:
সার্কের সদর দপ্তর কাঠমান্ডু, নেপাল-এ অবস্থিত। বর্তমানে সংস্থার সদস্য দেশ আটটি—বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তান। সার্কের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়, ১৯৮৫ সালে।
সুতরাং, সঠিক উত্তর আবুল আহসান, যিনি সার্কের প্রথম মহাসচিব হিসেবে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তি মজবুত করতে অসামান্য অবদান রাখেন।
0
Updated: 2 weeks ago
SAARC এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 1 week ago
A
South Asian Alliance for Regional Co-operation
B
South Asian Association for Regional Co-operation
C
South Asian Association for Regional Collaboration
D
South Asian Agreement for Regional Co-operation
SAARC হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করে থাকে। নিচে এ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো উল্লেখ করা হলো—
-
পূর্ণরূপ: SAARC-এর পূর্ণরূপ South Asian Association for Regional Co-operation। বাংলায় এর অর্থ “দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা”।
-
প্রতিষ্ঠাকাল: সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে। এ দিনটি SAARC দিবস হিসেবেও পালিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ—এই সাতটি দেশ ছিল প্রাথমিক সদস্য। পরবর্তীতে আফগানিস্তান ২০০৭ সালে অষ্টম সদস্য হিসেবে যোগ দেয়।
-
প্রধান কার্যালয়: SAARC-এর সদর দপ্তর অবস্থিত কাঠমান্ডু, নেপালে।
-
প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য:
-
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধন।
-
দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনমানের উন্নয়নে পারস্পরিক সহায়তা।
-
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা।
-
শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিতে সহযোগিতা জোরদার করা।
-
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
-
-
বাংলাদেশের ভূমিকা: SAARC গঠনে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরই উদ্যোগে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলার ধারণা বাস্তব রূপ পায়।
-
সভা ও সম্মেলন: SAARC সম্মেলন সাধারণত দুই বছর পরপর কোনো সদস্য দেশে অনুষ্ঠিত হয়। এসব সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানগণ উপস্থিত থাকেন এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
-
গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান:
-
SAARC Development Fund (SDF) – অর্থনৈতিক প্রকল্পে সহায়তা প্রদান করে।
-
SAARC Agricultural Centre (SAC) – কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে কাজ করে (এটির প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশে অবস্থিত)।
-
SAARC Disaster Management Centre (SDMC) – প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করে।
-
-
SAARC Charter Day: প্রতি বছর ৮ ডিসেম্বর তারিখে SAARC Charter Day পালিত হয়, যা সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে স্মরণ করায়।
-
বাংলাদেশের সম্পর্ক: বাংলাদেশ SAARC-এর অন্যতম সক্রিয় সদস্য এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রকল্পে যেমন শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখছে।
সবশেষে বলা যায়, SAARC দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য, সহযোগিতা ও উন্নয়নের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এটি সদস্য দেশগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করে দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
0
Updated: 1 week ago
সার্কের বর্তমান মহাসচিব কে? (আগস্ট, ২০২৫)
Created: 3 months ago
A
মো. ইসমাইল চৌধুরী
B
মো. মোবাশ্বের চৌধুরী
C
মো. এহসানুল হক
D
মো. গোলাম সারোয়ার
সার্ক:
- সার্ক হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম।
- ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
- সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের আবুল আহসান।
- সার্কের বর্তমান মহাসচিব বাংলাদেশের মো. গোলাম সারোয়ার। (আগস্ট, ২০২৫)
- প্রথম সার্ক সম্মেলন ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
- এর সদর দপ্তর নেপালের কাঠমুন্ডু শহরে অবস্থিত।
- সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮টি।
- এগুলো হলো:
• বাংলাদেশ।
• ভারত
• পাকিস্তান
• নেপাল
• শ্রীলংকা
• ভুটান
• মালদ্বীপ
• আফগানিস্তান।
0
Updated: 3 months ago