বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নৌ-কমান্ডোর সেক্টর-
A
সেক্টর-১
B
সেক্টর-১০
C
সেক্টর-১১
D
সেক্টর-২
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের জন্য একজন করে সেক্টর কমান্ডার থাকলেও ১০ নং সেক্টর ছিল ব্যতিক্রমী। এই সেক্টরটি মূলত নৌ-অভিযান ও সমুদ্রপথে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছিল। তাই এটি সাধারণ সেক্টরের মতো স্থলভিত্তিক ছিল না এবং এর কোনো স্থায়ী সেক্টর কমান্ডারও ছিল না।
এই সেক্টরের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা এবং সেন্ট্রাল কমান্ড কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তারা। মূলত নদী ও সাগরপথে পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস, নৌঘাঁটি আক্রমণ এবং সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ছিল এই সেক্টরের দায়িত্ব।
0
Updated: 3 hours ago
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
D
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত মুজিবনগর সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অস্থায়ী সরকার, যা স্বাধীনতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করে।
মূল কাঠামোগুলো ছিল নিম্নরূপ:
-
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সে সময় পাকিস্তানে কারারুদ্ধ ছিলেন।
-
উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমেদ, যিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশাসন পরিচালনা ও ভারতের সহযোগিতা সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
পররাষ্ট্রমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ, যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করেন।
-
এ সরকারের অধীনে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী গঠনের সূচনা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক বৈধতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 1 day ago
’অপারেশন সার্চলাইট’ কত তারিখে শুরু হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ
B
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ
C
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ
D
১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো ব্যাপক গণহত্যা অভিযানকে অপারেশন সার্চলাইট বলা হয়। এই অভিযান ২৫ মার্চ রাতে শুরু হলেও এর পরিকল্পনা মার্চ মাসের শুরু থেকেই করা হয়েছিল।
-
১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনার জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু পাকিস্তানি সরকার গোপনে সময়ক্ষেপণ করে এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য ও গোলাবারুদ এনে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক প্রস্তুতি নেয়।
-
১৮ মার্চ লে. জেনারেল টিক্কা খান এবং রাও ফরমান আলী অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা তৈরি করেন।
-
২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা কার্যক্রম কার্যকর হয় এবং এ অভিযানের তত্ত্বাবধান করেন পাকিস্তানের গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান।
0
Updated: 1 month ago
‘সাবাস বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 day ago
A
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
C
টিএসসি মোড়ে
D
জয়দেবপুরে
‘সাবাস বাংলাদেশ’ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বিজয়ের প্রতীকী ভাস্কর্য। এটি অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব, ত্যাগ ও স্বাধীনতার আনন্দকে শিল্পরূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর নির্মাতা ছিলেন খ্যাতনামা ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু।
• এই ভাস্কর্যটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও গৌরবকে প্রতিফলিত করে, যা তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
• রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই শিল্পকর্মটি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।
• অন্যদিকে, গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে অবস্থিত ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ছিল মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম নির্মিত ভাস্কর্য, যা স্বাধীনতার সূচনা স্মরণে গড়ে তোলা হয়।
• উভয় ভাস্কর্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, গর্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক।
0
Updated: 1 day ago