মানব সভ্যতার শুরু হয় কী থেকে?
A
শিল্প থেকে
B
কৃষি থেকে
C
আগুনের ব্যবহার থেকে
D
জঙ্গল থেকে
উত্তরের বিবরণ
নব্যপ্রস্তর যুগ মানব সভ্যতার বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল, যেখানে মানুষের জীবনযাত্রা মূলত শিকার ও সংগ্রহ নির্ভর ব্যবস্থা থেকে স্থায়ী বসতি ও উৎপাদন নির্ভর ব্যবস্থায় রূপ নেয়। এই পরিবর্তন মানব ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সূচনা করে।
• এই যুগে মানুষ আগুন, পাথরের মসৃণ অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করে
• সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ছিল কৃষি বিপ্লবের সূচনা, যেখানে মানুষ শস্য উৎপাদন শুরু করে এবং খাদ্যের জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরতা কমে
• পশুপালন শুরু হওয়ায় গৃহপালিত প্রাণীর ব্যবহার বৃদ্ধি পায়
• স্থায়ী বসতি গড়ে ওঠায় গ্রাম, সামাজিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বিকাশ ঘটে
0
Updated: 3 hours ago
বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল?
Created: 12 hours ago
A
গ্রিসে
B
রোমে
C
মেসোপটেমিয়ায়
D
ভারতে
মেসোপটেমিয়া মানব ইতিহাসের প্রাচীনতম সভ্যতা হিসেবে পরিচিত, যা নদী অধিষ্ঠিত জীবনযাত্রা, কৃষি, নগরায়ণ এবং লিপি ব্যবহারসহ বহু দিক থেকে উন্নত ছিল। এ সভ্যতার বিকাশ ঘটে দজলা ও ফোরাত নদীর তীরে, যাদের আধুনিক নাম টাইগ্রিস ও ইউফ্রেতিস। ভূগোলগত অবস্থান ও নদীর সেচ ব্যবস্থার কারণে এ সভ্যতা কৃষিনির্ভর ছিল এবং এজন্য এটিকে সেচনির্ভর সভ্যতা বলা হয়।
-
মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় কিউনিফর্ম লিপি ব্যবহৃত হতো
-
নগররাষ্ট্র, আইনের বিধান ও প্রশাসনিক কাঠামো ছিল উন্নত
-
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীনতম সভ্যতা হলো সিন্ধু সভ্যতা, যা হরপ্পা- মোহেঞ্জোদারোসহ শহরকেন্দ্রিক উন্নয়ন দেখায়
0
Updated: 12 hours ago
কোনটি সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা?
Created: 2 weeks ago
A
মিশরীয়
B
গ্রিক
C
চৈনিক
D
পারস্য
বিশ্ব ইতিহাসে মিশরীয় সভ্যতা মানবজাতির সবচেয়ে প্রাচীন ও সংগঠিত সভ্যতা হিসেবে পরিচিত। এটি নীলনদের তীরে গড়ে উঠেছিল, যা শুধু আফ্রিকার নয়, সমগ্র বিশ্বের প্রাচীন ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। এই সভ্যতার সূচনা হয়েছিল প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ সালে এবং টিকে ছিল প্রায় তিন হাজার বছর। তাদের সংস্কৃতি, রাজনীতি, ধর্ম, শিল্পকলা ও বিজ্ঞান মানব সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
মিশরীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্বের কিছু মূল দিক হলো
-
অবস্থান: মিশরীয় সভ্যতা আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব অংশে নীলনদের উর্বর তীরে বিকাশ লাভ করে। নীলনদের নিয়মিত বন্যা কৃষিকাজে সহায়ক ভূমিকা রাখত, যার ফলে কৃষি উৎপাদন ছিল এই সভ্যতার মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি।
-
রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা: মিশরীয়রা রাজাকে ‘ফারাও’ বলে সম্বোধন করত। ফারাওরা দেবতা ও রাজা উভয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতেন। তাদের শাসনব্যবস্থা ছিল একাধিপত্যমূলক, যেখানে রাজাকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি ধরা হতো।
-
ধর্ম ও বিশ্বাস: মিশরীয়রা বহু দেব-দেবীর উপাসনা করত। তারা বিশ্বাস করত মৃত্যুর পরও জীবন আছে। এজন্য তারা মৃতদের সংরক্ষণে ‘মমি’ প্রথা চালু করেছিল। মৃত্যুর পর আত্মা যেন পুনর্জীবিত হতে পারে—এই ধারণা থেকেই পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছিল।
-
পিরামিড ও স্থাপত্য: মিশরীয়দের সর্বাধিক চমকপ্রদ অবদান হলো পিরামিড, বিশেষত গিজার বৃহৎ পিরামিড যা আজও বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি। এটি তাদের উন্নত স্থাপত্য জ্ঞান ও শ্রমনিষ্ঠতার প্রমাণ বহন করে।
-
লিপি ও জ্ঞান: মিশরীয়রা ‘হায়ারোগ্লিফিক’ নামের চিত্রলিপি ব্যবহার করত। তারা চিকিৎসা, গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে উন্নত জ্ঞান অর্জন করেছিল। রোজেটা পাথরের মাধ্যমে তাদের ভাষা পরবর্তীকালে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়।
-
সংস্কৃতি ও সমাজ: মিশরীয় সমাজ ছিল স্তরভিত্তিক—ফারাও, পুরোহিত, সামরিক কর্মকর্তা, কৃষক ও শ্রমিকদের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য ছিল। তবে তারা শিল্প, সংগীত ও ধর্মীয় উৎসবে একসাথে অংশগ্রহণ করত।
অন্যদিকে গ্রিক সভ্যতা (খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০–১৪৬), চৈনিক সভ্যতা (খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ থেকে), এবং পারস্য সভ্যতা (খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫০ থেকে) মিশরের পরবর্তী সময়ের সভ্যতা। এদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ হলেও সময়ের হিসেবে মিশরীয় সভ্যতাই সবচেয়ে প্রাচীন।
সুতরাং, ইতিহাস, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ ও সাংস্কৃতিক বিকাশের ভিত্তিতে স্পষ্টভাবে বলা যায়—সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা হলো মিশরীয় সভ্যতা।
0
Updated: 2 weeks ago