একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে রক্ত থাকে-
A
২-৩ লিটার
B
৩-৪ লিটার
C
৪-৫ লিটার
D
৫-৬ লিটার
উত্তরের বিবরণ
ক্ত মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ তরল যোজক কলা, যা দেহের কোষে পুষ্টি, অক্সিজেন এবং বিভিন্ন উপাদান পরিবহন করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• রক্তের প্রকৃতি সামান্য ক্ষারীয়, যার pH মাত্রা ৭.৩–৭.৪
• সজীব রক্তের তাপমাত্রা সাধারণত ৩৬–৩৮° সেলসিয়াস, যা শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ
• একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে গড়ে ৫–৬ লিটার রক্ত বিদ্যমান থাকে এবং এটি বয়স, লিঙ্গ ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে
• রক্ত মূলত প্লাজমা ও রক্তকণিকা নিয়ে গঠিত, যা দেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করে
0
Updated: 3 hours ago
মানুষের শরীরে কত প্রকারের রক্ত কণিকা আছে?
Created: 1 week ago
A
তিন
B
চার
C
দুই
D
পাঁচ
মানবদেহে রক্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তরল পদার্থ, যা শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। রক্তের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রক্ত কণিকা (Blood Cells)। মানুষের শরীরে মূলত তিন প্রকারের রক্ত কণিকা থাকে, যেগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
লাল রক্ত কণিকা (Red Blood Cells বা RBC):
এগুলো রক্তের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এদের প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেন শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া এবং কোষ থেকে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে ফিরিয়ে আনা। প্রতিটি লাল রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক লৌহজাত প্রোটিন থাকে, যা অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে রক্তকে লাল রঙ প্রদান করে। লাল রক্ত কণিকার আয়ু সাধারণত প্রায় ১২০ দিন। এরপর এগুলো লিভার ও প্লীহা (Spleen) দ্বারা ধ্বংস হয়। -
শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells বা WBC):
এরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার (Immune System) মূল অংশ। শ্বেত রক্ত কণিকা বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এদের প্রধান কাজ হলো শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা। শ্বেত রক্ত কণিকা আবার বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত যেমন নিউট্রোফিল, লিম্ফোসাইট, মোনোসাইট, ইওসিনোফিল ও বেসোফিল। এদের সংখ্যা লাল রক্ত কণিকার তুলনায় অনেক কম হলেও কার্যক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। -
রক্তপ্লেটলেট (Platelets বা Thrombocytes):
এরা ছোট ও চ্যাপ্টা আকারের কোষাংশ, যাদের প্রধান কাজ হলো রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা। শরীরে কোথাও কাটা বা ক্ষত হলে প্লেটলেট সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে যায় এবং ক্ষতস্থানে জমে গিয়ে রক্তপাত বন্ধ করে দেয়। এদের আয়ু সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন। যদি প্লেটলেটের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, তখন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা হেমোরেজের ঝুঁকি দেখা দেয়।
মানুষের শরীরে এই তিন ধরনের রক্ত কণিকা একসাথে কাজ করে শরীরের সামগ্রিক ভারসাম্য রক্ষা করে। লাল রক্ত কণিকা জীবনধারণে অপরিহার্য অক্সিজেন সরবরাহ করে, শ্বেত রক্ত কণিকা জীবাণুর আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে, আর রক্তপ্লেটলেট রক্তক্ষরণ বন্ধ করে দেহকে নিরাপদ রাখে।
অতএব, মানুষের শরীরে তিন প্রকারের রক্ত কণিকা আছে—লাল রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা ও রক্তপ্লেটলেট।
0
Updated: 1 week ago
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য কোনটির প্রয়োজন নেই?
Created: 3 hours ago
A
অণুচক্রিকা
B
হরমোন
C
ফিব্রিনোজেন
D
প্রোথোম্বিন
রক্ত জমাট বাঁধা দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ রোধ করতে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়াটি মূলত রক্তের নির্দিষ্ট উপাদানের সমন্বয়ে সম্পন্ন হয় এবং এখানে শুধুমাত্র সেই উপাদানগুলোই সরাসরি কাজ করে যাদের ভূমিকা জমাট বাঁধার সঙ্গে সম্পর্কিত।
• অণুচক্রিকা (Platelet) ক্ষতস্থানে প্রথমে জমা হয় এবং একটি অস্থায়ী প্লাগ তৈরি করে
• ফিব্রিনোজেন রক্তে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে, পরে এটি ফিব্রিন জালে রূপান্তরিত হয়ে স্থায়ী clot তৈরি করে
• প্রোথোম্বিন এনজাইম থ্রোম্বিনে পরিণত হয় এবং ফিব্রিন গঠনে সাহায্য করে
• হরমোন রক্ত জমাট বাঁধার সরাসরি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না, তাই এটি প্রয়োজনীয় উপাদানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়
0
Updated: 3 hours ago
মানুষের রক্তে শ্বেত কণিকা ও লোহিত কণিকার অনুপাত কত?
Created: 3 weeks ago
A
১:১০০
B
১:৭০০
C
১:৫০০
D
১:১২০
মানুষের রক্তে শ্বেত কণিকা WBC) ও লোহিত কণিকা RBC)-এর অনুপাত প্রায় ১:৭০০। অর্থাৎ প্রতি ৭০০টি লোহিত কণিকার বিপরীতে একটি শ্বেত কণিকা থাকে।
0
Updated: 3 weeks ago