রক্ত জমাট বাঁধার জন্য কোনটির প্রয়োজন নেই?
A
অণুচক্রিকা
B
হরমোন
C
ফিব্রিনোজেন
D
প্রোথোম্বিন
উত্তরের বিবরণ
রক্ত জমাট বাঁধা দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ রোধ করতে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়াটি মূলত রক্তের নির্দিষ্ট উপাদানের সমন্বয়ে সম্পন্ন হয় এবং এখানে শুধুমাত্র সেই উপাদানগুলোই সরাসরি কাজ করে যাদের ভূমিকা জমাট বাঁধার সঙ্গে সম্পর্কিত।
• অণুচক্রিকা (Platelet) ক্ষতস্থানে প্রথমে জমা হয় এবং একটি অস্থায়ী প্লাগ তৈরি করে
• ফিব্রিনোজেন রক্তে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে, পরে এটি ফিব্রিন জালে রূপান্তরিত হয়ে স্থায়ী clot তৈরি করে
• প্রোথোম্বিন এনজাইম থ্রোম্বিনে পরিণত হয় এবং ফিব্রিন গঠনে সাহায্য করে
• হরমোন রক্ত জমাট বাঁধার সরাসরি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না, তাই এটি প্রয়োজনীয় উপাদানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়
0
Updated: 3 hours ago
হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাবে হয়?
Created: 1 week ago
A
ভিটামিন ই
B
ইনসুলিন
C
ক্যালসিয়াম
D
রক্তের গ্লুকোজ
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলো শরীরে রক্তের গ্লুকোজ বা চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া। এটি এমন একটি অবস্থা, যা শরীরের শক্তির ঘাটতি তৈরি করে এবং মস্তিষ্কসহ বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে।
-
হাইপোগ্লাইসেমিয়া শব্দটি এসেছে “Hypo” অর্থাৎ কম এবং “Glycemia” অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজ থেকে।
-
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকভাবে ৭০–১০০ mg/dL হয়ে থাকে। এর নিচে নামলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া ধরা হয়।
-
প্রধান কারণ হলো রক্তে পর্যাপ্ত গ্লুকোজের অভাব বা ইনসুলিনের অতিরিক্ত নিঃসরণ।
-
লক্ষণ হিসেবে দুর্বলতা, ঘাম, মাথা ঘোরা, ক্ষুধা, বিভ্রান্তি ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া দেখা দিতে পারে।
-
এটি দ্রুত চিকিৎসা না করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
0
Updated: 1 week ago
Spinal anaesthesia এর জটিলতা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
নিম্ন রক্তচাপ
B
উচ্চ রক্তচাপ
C
পানি শূন্যতা
D
রক্তক্ষরণ
Spinal anaesthesia হলো এমন এক ধরনের অজ্ঞান করার পদ্ধতি যেখানে মেরুদণ্ডের সাবঅ্যারাকনয়েড স্পেসে স্থানীয় অ্যানাস্থেটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এটি সাধারণত নিম্ন অঙ্গে, পেলভিস বা নিম্ন তলদেশের অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহৃত হয়। তবে এ পদ্ধতিতে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে নিম্ন রক্তচাপ (Hypotension) অন্যতম ও সবচেয়ে সাধারণ জটিলতা। নিচে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
• নিম্ন রক্তচাপের কারণ: স্পাইনাল অ্যানাস্থেশিয়ার ফলে সিমপ্যাথেটিক নার্ভ ব্লক হয়ে যায়। এর ফলে রক্তনালীগুলো প্রসারিত (Vasodilation) হয় এবং রক্তের চাপ হ্রাস পায়। এটি সাধারণত ওষুধ প্রয়োগের ৫-১০ মিনিটের মধ্যেই দেখা দেয়।
• রোগীর শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া: রক্তচাপ কমে গেলে হৃদপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত ফিরে আসতে পারে না, যার ফলে কার্ডিয়াক আউটপুট কমে যায়। এটি রোগীর মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ঘাম বা এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।
• ঝুঁকিপূর্ণ রোগী: বয়স্ক, গর্ভবতী নারী, রক্তের পরিমাণ কম এমন রোগী কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই জটিলতার ঝুঁকি বেশি থাকে।
• প্রতিরোধ ব্যবস্থা: স্পাইনাল অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়ার আগে রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল (IV fluid) দেওয়া উচিত। এছাড়াও, প্রয়োজনে vasopressor ওষুধ যেমন ephedrine বা phenylephrine ব্যবহার করা যেতে পারে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
• অন্য জটিলতার তুলনায় ব্যাখ্যা:
-
উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত স্পাইনাল অ্যানাস্থেশিয়ায় দেখা যায় না; বরং এটি সাধারণ অ্যানাস্থেশিয়ার সময় কিছু বিশেষ অবস্থায় হতে পারে।
-
পানি শূন্যতা (Dehydration) অ্যানাস্থেশিয়ার সরাসরি জটিলতা নয়; তবে এটি থাকলে নিম্ন রক্তচাপ আরও বেড়ে যেতে পারে।
-
রক্তক্ষরণ (Hemorrhage) অপারেশনের কারণে হতে পারে, কিন্তু এটি স্পাইনাল অ্যানাস্থেশিয়ার জটিলতা নয়।
• অন্যান্য সম্ভাব্য জটিলতা: যদিও নিম্ন রক্তচাপ সবচেয়ে সাধারণ, তবে আরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে—যেমন মাথাব্যথা (Post-dural puncture headache), বমি ভাব, ব্রাডিকার্ডিয়া, মূত্রধারণে অসুবিধা বা বিরল ক্ষেত্রে স্নায়ুক্ষতি।
• চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ: অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়ার পর রোগীর রক্তচাপ, হার্ট রেট এবং শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিলে অবিলম্বে তরল দেওয়া এবং ওষুধ প্রয়োগ করা উচিত।
সবশেষে বলা যায়, স্পাইনাল অ্যানাস্থেশিয়া একটি কার্যকর ও নিরাপদ পদ্ধতি হলেও নিম্ন রক্তচাপ এটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ জটিলতা। যথাযথ প্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণ থাকলে এই সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং রোগীকে নিরাপদ রাখা সম্ভব।
0
Updated: 1 week ago
মানুষের শরীরে কত প্রকারের রক্ত কণিকা আছে?
Created: 1 week ago
A
তিন
B
চার
C
দুই
D
পাঁচ
মানবদেহে রক্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তরল পদার্থ, যা শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। রক্তের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রক্ত কণিকা (Blood Cells)। মানুষের শরীরে মূলত তিন প্রকারের রক্ত কণিকা থাকে, যেগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
লাল রক্ত কণিকা (Red Blood Cells বা RBC):
এগুলো রক্তের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এদের প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেন শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া এবং কোষ থেকে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে ফিরিয়ে আনা। প্রতিটি লাল রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক লৌহজাত প্রোটিন থাকে, যা অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে রক্তকে লাল রঙ প্রদান করে। লাল রক্ত কণিকার আয়ু সাধারণত প্রায় ১২০ দিন। এরপর এগুলো লিভার ও প্লীহা (Spleen) দ্বারা ধ্বংস হয়। -
শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells বা WBC):
এরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার (Immune System) মূল অংশ। শ্বেত রক্ত কণিকা বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এদের প্রধান কাজ হলো শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা। শ্বেত রক্ত কণিকা আবার বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত যেমন নিউট্রোফিল, লিম্ফোসাইট, মোনোসাইট, ইওসিনোফিল ও বেসোফিল। এদের সংখ্যা লাল রক্ত কণিকার তুলনায় অনেক কম হলেও কার্যক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। -
রক্তপ্লেটলেট (Platelets বা Thrombocytes):
এরা ছোট ও চ্যাপ্টা আকারের কোষাংশ, যাদের প্রধান কাজ হলো রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা। শরীরে কোথাও কাটা বা ক্ষত হলে প্লেটলেট সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে যায় এবং ক্ষতস্থানে জমে গিয়ে রক্তপাত বন্ধ করে দেয়। এদের আয়ু সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন। যদি প্লেটলেটের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, তখন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা হেমোরেজের ঝুঁকি দেখা দেয়।
মানুষের শরীরে এই তিন ধরনের রক্ত কণিকা একসাথে কাজ করে শরীরের সামগ্রিক ভারসাম্য রক্ষা করে। লাল রক্ত কণিকা জীবনধারণে অপরিহার্য অক্সিজেন সরবরাহ করে, শ্বেত রক্ত কণিকা জীবাণুর আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে, আর রক্তপ্লেটলেট রক্তক্ষরণ বন্ধ করে দেহকে নিরাপদ রাখে।
অতএব, মানুষের শরীরে তিন প্রকারের রক্ত কণিকা আছে—লাল রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা ও রক্তপ্লেটলেট।
0
Updated: 1 week ago