‘তেপান্তর’ (তিন প্রান্তরের সমাহার) কোন সমাস?
A
তৎপুরুষ
B
দ্বিগু
C
কর্মধারয়
D
দ্বন্দ্ব
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো দ্বিগু।
ব্যাখ্যা:
-
‘তেপান্তর’ শব্দের অর্থ হলো তিনটি প্রান্তরের সমাহার বা একত্রিকরণ।
-
এটি দ্বিগু সমাসের উদাহরণ, যেখানে সংখ্যা নির্দেশক শব্দ প্রথম পদ হিসেবে আসে এবং দ্বিতীয় পদকে নির্দেশ বা সীমাবদ্ধ করে।
-
এখানে ‘তিন’ (সংখ্যা নির্দেশক) + ‘প্রান্তর’ (বিশেষ্য) = ‘তেপান্তর’, যা সংখ্যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ বোঝাচ্ছে।
-
দ্বিগু সমাস সাধারণত সংখ্যা বা পরিমাণ নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়, যা পরবর্তী পদকে গঠনমূলকভাবে সীমাবদ্ধ করে।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন তৎপুরুষ (যেখানে প্রধান অর্থ পরবর্তী পদে), কর্মধারয় (বিশেষণ + বিশেষ্য দ্বারা বৈশিষ্ট্য নির্দেশ), দ্বন্দ্ব (সমমান দুই পদ যোগ) এখানে প্রযোজ্য নয়।
-
সাহিত্যিক ও দৈনন্দিন ব্যবহারে ‘তেপান্তর’ শব্দটি তিনটি প্রান্তরের সমন্বয় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 3 hours ago
‘ষড়ঋতু’ কোন সমাস?
Created: 6 days ago
A
বহুব্রীহি
B
দ্বিগু
C
দ্বন্দ্ব
D
কর্মধারয়
‘ষড়ঋতু’ শব্দটি এমন একটি সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ ও বিশেষ্য মিলিত হয়ে নতুন অর্থ সৃষ্টি করে। এটি দ্বিগু সমাস নামে পরিচিত, যা সাধারণত সংখ্যা ও বিশেষ্য পদ একত্রে ব্যবহারে গঠিত হয়।
দ্বিগু সমাসের বৈশিষ্ট্য:
-
এই সমাসে সংখ্যাবাচক পদ আগে এবং বিশেষ্য পদ পরে থাকে।
-
যুক্ত হয়ে এটি একটি পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেমন— ষড়ঋতু মানে ছয়টি ঋতু।
-
এর উদাহরণ আরও হলো ত্রিলোক (তিন লোক), দ্বিজাতি (দুই জাতি) ইত্যাদি।
-
এই ধরনের সমাসে প্রথম পদটি সংখ্যার নির্দেশ করে, আর দ্বিতীয় পদটি মূল অর্থ বহন করে।
-
দ্বিগু সমাস সাধারণত সংখ্যা প্রকাশে বা গণনার বোধে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 6 days ago
‘মহর্ষি’ কোন সমাস?
Created: 2 days ago
A
কর্মধারয়
B
দ্বন্দ্ব
C
তৎপুরুষ
D
দ্বিগু
‘মহর্ষি’ শব্দটি তৎপুরুষ সমাস।
ব্যাখ্যা:
-
‘মহর্ষি’ শব্দটি গঠিত হয়েছে মহা + ঋষি থেকে।
-
এখানে ‘মহা’ একটি বিশেষণ যা ঋষির গুণ বা শ্রেষ্ঠত্ব নির্দেশ করছে, আর ‘ঋষি’ হলো বিশেষ্য।
-
তৎপুরুষ সমাসে বিশেষণ + বিশেষ্য বা কারক-বিশেষ্য মিলনে একটি নতুন অর্থযুক্ত শব্দ গঠিত হয়।
-
অন্যান্য সমাসের তুলনায়:
-
কর্মধারয় → যেখানে প্রধান শব্দ কর্ম নির্দেশক হয়।
-
দ্বন্দ্ব → দুই বা ততোধিক শব্দের সমান গুরুত্ব থাকা।
-
দ্বিগু → সংখ্যা বা পরিমাণ নির্দেশক সমাস।
-
-
‘মহর্ষি’-তে ‘মহা’ ঋষির গুণ নির্দেশ করে, অর্থাৎ একজন ঋষিকে মহিমান্বিতভাবে বোঝানো হয়েছে, তাই এটি তৎপুরুষ সমাস।
0
Updated: 2 days ago
'অষ্টধাতু' — কোন ধরনের সমাস?
Created: 1 month ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বিগু সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বিগু সমাস হলো সমাহার বা মিলনের অর্থ প্রকাশকারী এমন সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য গঠন করে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি সর্বদা বিশেষ্য পদ হিসেবে কাজ করে।
দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো:
-
প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক শব্দ হয়।
-
পরবর্তী পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
-
সমাসনিষ্পন্ন সমস্ত পদ সমষ্টি বা সমাহার বোঝায়।
-
সমাসিত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
সাত সমুদ্রের সমাহার = সাতসমুদ্র (এখানে "সাত" সংখ্যাবাচক এবং "সমুদ্র" বিশেষ্য; মিলিত হয়ে সাতটি সমুদ্রের সমষ্টি বোঝাচ্ছে)
অন্যান্য উদাহরণ:
-
আটটি ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
পাঁচ সেরের সমাহার = পঁসুরি
-
শত বর্ষের সমাহার = শতবর্ষ
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
-
সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি
-
ত্রি (তিন) পদের সমাহার = ত্রিপদী
এছাড়া আরও কিছু দ্বিগু সমাসের উদাহরণ: অষ্টধাতু, চতুর্ভুজ, চতুরঙ্গ, ত্রিমোহিনী, তেরনদী, পঞ্চভূত, সাতসমুদ্র।
0
Updated: 1 month ago