‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ শওকত ওসমান রচিত একটি-
A
ছোটগল্প
B
উপন্যাস
C
নাটক
D
প্রবন্ধ
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো উপন্যাস।
ব্যাখ্যা:
-
‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ শওকত ওসমান রচিত একটি উপন্যাস, যা সামাজিক ও মানবিক সমস্যার প্রতিফলন ঘটায়।
-
শওকত ওসমান বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্প ও উপন্যাসে সমান দক্ষ ছিলেন, তবে এই রচনা উপন্যাস ধারা অনুসরণ করে।
-
উপন্যাসটিতে চরিত্রায়ণ, কাহিনী বিন্যাস ও মানবিক অনুভূতির বিশদ চিত্রায়ণ আছে, যা পাঠকের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।
-
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা- দুই সৈনিক, জলাঙ্গী, নেকড়ে অরণ্য, এগুলোও সামাজিক ও নৈতিক বিষয়ে গুরুত্ব বহন করে।
-
সাহিত্যিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শওকত ওসমান গল্প ও উপন্যাসের মাধ্যমে বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো উদ্ঘাটন করতে সচেষ্ট ছিলেন।
-
তাই, ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ উপন্যাস রূপে শওকত ওসমানের সাহিত্যিক স্বাতন্ত্র্য ও প্রভাব প্রদর্শন করে।
0
Updated: 3 hours ago
‘সোনামুখী’ কোন সমাস?
Created: 1 day ago
A
উপমান
B
উপমিত
C
রূপক
D
সঠিক উত্তর নেই
ব্যাখ্যা: অপশনে সঠিক উত্তর নেই। সোনামুখী (সোনার মতো উজ্জ্বল মুখ যার) শব্দটি মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস।
0
Updated: 1 day ago
‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসের লেখক-
Created: 2 days ago
A
আহসান হাবীব
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
শওকত ওসমান
D
আবুল ফজল
‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসের লেখক হলো শওকত ওসমান।
ব্যাখ্যা:
-
‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসটি শওকত ওসমানের রচনা, যা সামাজিক এবং মানবিক সমস্যা তুলে ধরেছে।
-
এই উপন্যাসে মানব প্রকৃতি, সমাজের নৈতিক অবস্থা এবং দাসত্ব ও ক্ষমতার সম্পর্ক চিত্রিত হয়েছে।
-
অন্যান্য বিকল্প:
-
‘আহসান হাবীব’ → প্রধানত উপন্যাস ও প্রবন্ধ লেখক, তবে এই রচনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
-
‘সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’ → আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক, তবে এটি তাঁর নয়।
-
‘আবুল ফজল’ → প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সাহিত্য সম্পর্কিত রচনার জন্য পরিচিত।
-
-
সুতরাং প্রমিত ও সঠিক উত্তর হলো (গ) শওকত ওসমান, যিনি এই উপন্যাসের লেখক এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
0
Updated: 2 days ago
প্রখ্যাত সাহিত্যিক শওকত ওসমানের প্রকৃত নাম কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
আবুল ফজল
B
আব্দুল হাই
C
কাজেম আল কোরেশী
D
শেখ আজিজুর রহমান
বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান ছিলেন এক অনন্য সাহিত্যপ্রতিভা, যিনি সমাজবাস্তবতা, মানবতা ও রাজনৈতিক চেতনার গভীর বিশ্লেষণ তার রচনায় তুলে ধরেছেন। তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান, যা অধিকাংশ পাঠকের কাছে কম পরিচিত হলেও সাহিত্যজগতে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন ছদ্মনাম শওকত ওসমান নামে।
• জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন: শওকত ওসমানের জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলপুর গ্রামে। শৈশবকাল থেকেই তিনি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
• ছদ্মনাম গ্রহণ: তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান হলেও তিনি সাহিত্যচর্চার জন্য ‘শওকত ওসমান’ নামটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। এই ছদ্মনামের মাধ্যমে তিনি সমাজ-রাজনীতি, মানুষের দুঃখ-বেদনা এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করেন।
• সাহিত্যজীবন: শওকত ওসমান মূলত উপন্যাস, ছোটগল্প ও প্রবন্ধের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ‘জননী’, ‘ক্রীতদাসের হাসি’, ‘চকোরমণ্ডল’, ‘অজলস্নান’ এবং ‘পৃথিবী আমার ঘর’—সবগুলোতেই সমাজের নানা অসঙ্গতি, শ্রেণিবৈষম্য ও মানবিক মূল্যবোধের চিত্র ফুটে উঠেছে।
• রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি: তিনি ছিলেন মানবতাবাদী এবং মুক্তচিন্তার পক্ষের মানুষ। পাকিস্তান আমলে তাঁর লেখায় রাজনৈতিক সত্য প্রকাশের কারণে তাঁকে অনেকবার নিপীড়নের মুখে পড়তে হয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে তাঁর লেখাগুলো তীব্রভাবে অনুপ্রাণিত করেছে পাঠক সমাজকে।
• পুরস্কার ও সম্মাননা: সাহিত্যক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬২), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৭), একুশে পদক (১৯৮৩) এবং স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৭) লাভ করেন। এসব পুরস্কার তাঁর সাহিত্যিক কৃতিত্ব ও সমাজসচেতনতার স্বীকৃতি বহন করে।
• মৃত্যু: তিনি ১৯৯৮ সালের ১৪ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য হারিয়েছে এক বলিষ্ঠ সমাজ-সচেতন কথাসাহিত্যিককে।
সব মিলিয়ে, শওকত ওসমান (Sheikh Azizur Rahman) শুধু একজন লেখকই নন, তিনি ছিলেন এক জনমানুষের কণ্ঠস্বর। তাঁর সাহিত্য আজও আমাদের সামাজিক ও মানবিক চেতনাকে জাগ্রত করে রাখে।
0
Updated: 2 weeks ago