‘ষড়ানন’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ নির্ধারণ করতে হলে প্রথমেই বুঝতে হয় শব্দটির গঠন কোন ধরণের যোগে হয়েছে। এখানে দেখা যায় যে ‘ষড়’ অর্থ ছয় এবং ‘আনন’ অর্থ মুখ হলেও সরাসরি এভাবে যোগ করলে ধ্বনি ও রূপগত সামঞ্জস্য বজায় থাকে না। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোতে যে সংযোজনগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো ব্যাকরণগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
• “ষড় + আনন” করলে উচ্চারণগত কারণে শব্দটি ভেঙে যায় এবং মূল রূপ নষ্ট হয়।
• “ষটা + আনন” বানানগতভাবে ভুল, কারণ ‘ষটা’ মূল শব্দ নয়।
• “ষড + আনন” রূপতত্ত্বের দিক থেকে অপ্রমিত।
• সংস্কৃতসম্ভূত বিশেষণরূপ “ষড়ানন” সাধারণত সমাসবদ্ধ রূপে ব্যবহৃত হয়, সন্ধিবিচ্ছেদে নয়।
তাই ঘ বিকল্পই যথার্থ—কোনোটিই নয়।
নিচের কোনটি 'ষড়ানন' শব্দের সন্ধিবিচ্ছদ?
A
ষড় + আনন
B
ষটা + আনন
C
ষড + আনন
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 3 hours ago
Related MCQ
'Autocracy'-এর পারিভাষিক শব্দ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
স্বদেশী
B
স্বশাসিত
C
স্বশাসন
D
স্বৈরতন্ত্র
'Autocracy'-এর পারিভাষিক শব্দ = স্বৈরতন্ত্র।
অন্যদিকে,
Indigenous- -এর পারিভাষিক শব্দ = স্বদেশী।
Autonomous- -এর পারিভাষিক শব্দ = স্বশাসিত।
Autonomy- -এর পারিভাষিক শব্দ = স্বশাসন।
0
Updated: 2 months ago
'তাগিদ' শব্দটি কোন পদ?
Created: 2 months ago
A
বিশেষ্য
B
বিশেষণ
C
ক্রিয়া
D
অব্যয়
শব্দ ‘তাগিদ’ কোন পদ তা নির্ধারণ করার জন্য আমরা এর অর্থ ও ব্যবহার বিশ্লেষণ করি।
‘তাগিদ’ শব্দের অর্থ: কোনো কাজে উৎসাহ বা প্রেরণা দেওয়া, উদ্দীপনা বা উদ্দীপক বার্তা। উদাহরণ: “শিক্ষকের তাগিদে ছাত্ররা আরও মনোযোগী হয়ে পড়ে।”
এখানে লক্ষ্য করুন:
-
এটি কোনো ব্যক্তি, স্থান বা বস্তু নির্দেশ করে না → বিশেষ্য হতে পারে।
-
এটি কোনো গুণ বা অবস্থা বোঝায় না → বিশেষণ নয়।
-
এটি কোনো কর্ম বা কাজের ক্রিয়াকে নির্দেশ করে না → ক্রিয়া নয়।
-
এটি কোনো সাধারণ অব্যয় (যেমন: শুধু সংযোগ বা অব্যয় পদ) নয়।
সুতরাং, ‘তাগিদ’ হলো বিশেষ্য।
সংক্ষেপে ব্যাখ্যা:
‘তাগিদ’ শব্দটি এমন একটি পদ যা কোনো বস্তু বা ধারণা (উদ্দীপনা/প্রেরণা) বোঝায়। অতএব, এটি বিশেষ্য।
0
Updated: 2 months ago
'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান'- কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 weeks ago
A
অক্ষরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
স্বরবৃত্ত
D
অমিত্রাক্ষর
"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান"- এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত। স্বরবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রতিটি পদে স্বরবর্ণের পরিমাণ (মাত্রা) সুষম থাকে, এবং প্রতিটি পদে অন্ত্যধ্বনি বা শেষ শব্দের শেষ অংশে সাধারণত স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়। এই ছন্দের ক্ষেত্রে, প্রত্যেকটি অক্ষরের মধ্যে সহজ, মসৃণ ও ধারাবাহিক গতি থাকে।
এখানে "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" পদটি এর জন্যই উপযুক্ত উদাহরণ, কারণ এতে প্রতিটি শব্দের মধ্যে যে স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়, তা ধারাবাহিক ও মসৃণ। এর ফলে, শব্দের মধ্যে সুর এবং ছন্দের একটি সুন্দর প্রবাহ তৈরি হয়, যা স্বরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্য।
এছাড়া, বাকি ছন্দগুলো (অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অমিত্রাক্ষর) যেমন:
-
অক্ষরবৃত্ত: যেখানে প্রতিটি পদে নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে নির্ধারিত অক্ষরের।
-
মাত্রাবৃত্ত: যেখানে মাত্রার সংখ্যা অভিন্ন থাকে।
-
অমিত্রাক্ষর: যেখানে চরণে নিয়মিত চরণান্তর থাকে, কিন্তু অন্ত্যমিল নিয়মিত হয় না।
এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি স্বরবৃত্ত ছন্দের সঙ্গে মেলে না, এবং তাই "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
0
Updated: 2 weeks ago