বাংলা ব্যাকরণে পদ রয়েছে _____ প্রকার।
A
৩
B
৪
C
৫
D
৬
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় পদ প্রধানত ২ প্রকার। যথা নাম ও ক্রিয়া পদ। এর মধ্যে নামপদ ৪ প্রকার। যার কারণে সামগ্রিকভাবে বাংলা ভাষায় পদ ৫ প্রকার। এগুলো হলোঃ বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া এবং অব্যয়।
0
Updated: 3 hours ago
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছিলেন কোন সাহিত্যিক?
Created: 1 month ago
A
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
B
জহির রায়হান
C
মুনীর চৌধুরী
D
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
সঠিক উত্তর হলো: মুনীর চৌধুরী
অন্যান্য অপশনের বিশ্লেষণ:
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: তিনি ১৯৫৬ সালে মারা যান, তাই ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
-
জহির রায়হান: তিনি ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হন (সম্ভবত নিহত), কিন্তু ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ডে নয়।
-
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী: তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মারা যান।
মুনীর চৌধুরীর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, অনুবাদক এবং সাহিত্যসমালোচক। তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল নোয়াখালী জেলায়। বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি গভীর ভূমিকা রেখেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ।
-
পৈতৃক নিবাস: নোয়াখালী জেলা।
-
ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের কারণে তিনি কারাবন্দী হন। জেলখানায় থেকেই ১৯৫৩ সালে তিনি তাঁর বিখ্যাত নাটক “কবর” রচনা করেন।
-
বাংলা টাইপরাইটার উদ্ভাবন: ১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে তিনি “মুনীর অপ্টিমা” নামের একটি বাংলা টাইপরাইটার কী-বোর্ড তৈরি করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর হাতে অপহৃত ও হত্যাকাণ্ডে শহিদ হন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক
-
কবর (১৯৫৩) — ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত।
-
রক্তাক্ত প্রান্তর — পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে।
-
মানুষ — ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে।
-
নষ্ট ছেলে — রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ নাটক।
-
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য — রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে।
-
দণ্ডকারণ্য — তিনটি নাটকের সমন্বয়ে রচিত।
-
রাজার জন্মদিন — সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত এক অভিনব নাটক।
অনুবাদ নাটক
-
কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৯) — জর্জ বার্নার্ড শ’র You Never Can Tell অবলম্বনে।
-
রূপার কৌটা (১৯৬৯) — জন গলজ্ওয়র্দির The Silver Box অবলম্বনে।
-
মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০) — উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের Taming of the Shrew অবলম্বনে।
0
Updated: 1 month ago
কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত
B
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত
C
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পন্য অনুচিত
D
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পন্য অনুচিত
আবশ্যক মানে হলো ― যা অত্যন্ত জরুরি, অপরিহার্য, প্রয়োজনীয়।
-
আবশ্যকীয় শব্দটি প্রমিত বাংলা অভিধান অনুযায়ী ব্যবহারযোগ্য নয়; এটি অপ্রচলিত ও অশুদ্ধ রূপ।
-
কার্পণ্য অর্থ কৃপণতা, অতি কঞ্জুসি।
-
কার্পন্য শব্দটিও অশুদ্ধ, এর সঠিক রূপ হলো কার্পণ্য।
তাই শুদ্ধ বাক্য হবে:
“আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত।”
0
Updated: 2 months ago
'এখন যেতে পার।' এখানে 'যেতে পার' কোন ক্রিয়ার উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
মিশ্র ক্রিয়া
B
প্রযোজক ক্রিয়া
C
দ্বিকর্মক ক্রিয়া
D
যৌগিক ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া (Compound Verbs) – সংজ্ঞা ও উদাহরণ
সংজ্ঞা:
যদি একটি সমাপিকা ক্রিয়া (finite verb) এবং একটি অসমাপিকা ক্রিয়া (non-finite verb) একত্রে মিলিত হয়ে একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলা হয়।
উদাহরণ:
-
ঘটনাটা শুনে রাখ।
-
তিনি বলতে লাগলেন।
-
সাইরেন বেজে উঠল।
যৌগিক ক্রিয়ার অন্যান্য উদাহরণ ও অর্থানুসারে শ্রেণীবিন্যাস:
-
নিরন্তরতা প্রকাশে: তিনি বলতে লাগলেন।
-
কার্যসমাপ্তি প্রকাশে: ছেলেমেয়েরা শুয়ে পড়ল।
-
অভ্যস্ততা প্রকাশে: শিক্ষায় মন সংস্কারমুক্ত হয়ে থাকে।
-
অনুমোদন প্রকাশে: এখন যেতে পার।
উল্লেখ্য: সব উদাহরণই যৌগিক ক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 2 months ago