A
অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ঔষধ প্রস্তুত বন্ধ করা
B
ঔষধ শিল্পে দেশীয় কাঁচামালের ব্যবহার নিশ্চিত করা
C
ঔষধ শিল্পে দেশীয় শিল্পপতিদের অগ্রাধিকার দেয়া
D
বিদেশী শিল্পপতিদের দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারে বাধ্য করা
উত্তরের বিবরণ
তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন।
- ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল ।
- এরপর ২০০৫ সালে এই নীতি নবায়ন করা হয় এবং ২০১৬ সালে আবার এই জাতীয় ঔষধ নীতি নবায়ন করা হয়েছে।
প্রথম ঔষধ নীতি অনুসারে ,
[ঔষধ নীতির প্রধান উদ্দেশ্য হলো- অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ঔষধ প্রস্তুত বন্ধ করা] উত্তর গ্রহণ করা হয়েছে।
--------------------
• "জাতীয় ঔষধ নীতি, ২০১৬”:
১. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ক), ১৫(ঘ) ও ১৮(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২. এক সময় যেখানে চাহিদার প্রায় ৮০% ঔষধ আমদানি করা হত সেখানে বর্তমানে ৯৭% এরও অধিক ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত গুণগতমানসম্পন্ন ঔষধ এখন বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশসহ ১১৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
৩. বঙ্গবন্ধু দেশে মানসম্মত ওষুধের উৎপাদন বাড়ানো এবং এ শিল্পকে সহযোগিতা ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে 'ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর' গঠন করেন।
৪. ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রথম জাতীয় ঔষধনীতি প্রণয়ন করে।
জাতীয় ঔষধনীতির লক্ষ্যসমূহ:
১। জনগণ যাতে নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন ঔষধ সহজে ক্রয়সাধ্য মূল্যে পেতে পারে তা নিশ্চিত করা।
২। ঔষধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার এবং সুষ্ঠু পরিবেশন ব্যবস্থা (Dispensing) নিশ্চিত করা।
৩। স্থানীয় সকল পদ্ধতির ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পসমূহকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা, যাতে মানসম্পন্ন ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়।
৪। দেশের উৎপাদিত ঔষধের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
৫। ঔষধের কার্যকর নজরদারী (Surveillance) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
উৎসঃ dgda.gov.bd, জাতীয় ঔষধনীতি-২০১৬।

0
Updated: 2 months ago