‘যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না’- এক কথায় কী হবে?
A
পতিত
B
বন্ধ্যা
C
অনুর্বর
D
উষর
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো উষর।
-
‘উষর’ শব্দের অর্থ হলো এমন জমি যেখানে ফসল জন্মায় না বা যা চাষযোগ্য নয়।
-
‘পতিত’ শব্দটি ফসল কাটার পর বা ব্যবহারের পর থাকা জমি বোঝায়, যা পরবর্তী চাষের জন্য আবার ব্যবহার করা যায়।
-
‘অনুর্বর’ সাধারণত বিজ্ঞানী বা কৃষি পরিপ্রেক্ষিতে ফলনশীল নয় বোঝায়, তবে দৈনন্দিন ব্যবহারে ‘উষর’-এর চেয়ে সীমিত অর্থ বহন করে।
-
‘বন্ধ্যা’ শব্দটি মানুষের বা প্রাণীর উর্বরতা বোঝাতে বেশি ব্যবহৃত হয়, জমির জন্য কম ব্যবহৃত।
-
‘উষর’ শব্দটি সাহিত্যিক ও দৈনন্দিন ভাষায় প্রায়শই ফসল জন্মানো বা চাষযোগ্য নয় এমন জমি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
তাই এই বাক্যটির এক কথার সঠিক প্রতিশব্দ হলো ‘উষর’, যা অর্থ ও প্রয়োগে সবচেয়ে উপযুক্ত।
0
Updated: 4 hours ago
‘যে বস্তি থেকে উৎখাত হয়েছে’-এক কথায় কী হবে?
Created: 3 hours ago
A
উদ্বাস্তু
B
সর্বহারা
C
বস্তিহীন
D
কাঙ্গাল
সঠিক উত্তর হলো উদ্বাস্তু।
ব্যাখ্যা:
-
‘উদ্বাস্তু’ শব্দের অর্থ হলো যে ব্যক্তি গৃহহারা বা বস্তি থেকে উৎখাত হয়েছে।
-
এটি সামাজিক ও মানবিক প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়, যেখানে স্থান বা বসবাস হারানো ব্যক্তি বোঝানো হয়।
-
বিকল্প খ) ‘সর্বহারা’ মানে হলো যে সবকিছু হারিয়েছে, অর্থাৎ সম্পদ ও সম্ভাবনা শূন্য, কিন্তু গৃহহীনতার উপর জোর দেয় না।
-
গ) ‘বস্তিহীন’ সরাসরি বসতি হারানোর নির্দেশ দেয়, তবে এটি সাধারণ ব্যবহারিক নয়, শব্দটি প্রচলিত নয়।
-
ঘ) ‘কাঙাল’ অর্থ দরিদ্র বা অভাবগ্রস্ত, যা গৃহহীনতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।
-
তাই, যে বস্তি থেকে উৎখাত হয়েছে, তার জন্য সঠিক এক কথার প্রতিশব্দ হলো ‘উদ্বাস্তু’, যা সামাজিক ও ভাষাগতভাবে যথাযথ।
0
Updated: 3 hours ago
'অতি উচ্চ ধ্বনি' এর এক কথায় প্রকাশ কী হবে?
Created: 1 month ago
A
অত্যাসন্ন
B
উতরোল
C
মহানাদ
D
অট্টহাস্য
‘অতি উচ্চ ধ্বনি’-এর এক কথায় প্রকাশ হলো মহানাদ। এই শব্দ দ্বারা অত্যন্ত জোরালো বা তীব্র শব্দ বা ধ্বনিকে বোঝানো হয়, যা সাধারণত দূর পর্যন্ত শোনা যায়।
অন্যদিকে—
-
অতি উচ্চ বিকট হাসি — অট্টহাস্য
-
অতি উচ্চ রোল — উতরোল
-
অতি আসন্ন — অত্যাসন্ন
0
Updated: 1 month ago
“নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার“ এক কথায় হবে -
Created: 3 weeks ago
A
নিদাঘ
B
নশ্বর
C
নষ্টমান
D
বনশ্বর
উত্তর: খ) নশ্বর
ব্যাখ্যা:
যে বস্তুর বা জীবের মধ্যে স্থায়িত্ব নেই, অর্থাৎ যা একসময় নষ্ট হয়ে যায়, তাকে নশ্বর বলা হয়। এই শব্দটি মূলত সংস্কৃত “নশ্” ধাতু থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘নাশ হওয়া’ বা ‘নষ্ট হওয়া’। নশ্বর শব্দটি তাই সেই সমস্ত বস্তু, প্রাণী বা জিনিসকে বোঝায়, যা সময়ের সঙ্গে ধ্বংস বা বিলুপ্ত হয়। মানবজীবন, প্রকৃতি কিংবা জগতের সমস্ত দৃশ্যমান উপাদানই নশ্বর — কারণ এগুলো চিরস্থায়ী নয়।
নিচে শব্দটির তাৎপর্য ও প্রয়োগ বিশদে দেওয়া হলো–
-
নশ্বর শব্দের অর্থ হলো ক্ষণস্থায়ী, অস্থায়ী বা ধ্বংসপ্রবণ। অর্থাৎ যার মধ্যে স্থায়িত্ব নেই এবং যা সময়ের সঙ্গে বিলীন হয়ে যায়।
-
এই শব্দটি সাধারণত মানুষের জীবন ও জাগতিক বস্তু বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন— “মানবজীবন নশ্বর”, “এই পৃথিবীর সব কিছুই নশ্বর” ইত্যাদি।
-
নশ্বরতা মানবজীবনের একটি দার্শনিক ধারণাও বটে। এটি আমাদের শেখায় যে, জীবনের প্রতিটি আনন্দ, দুঃখ, সম্পদ, সৌন্দর্য বা কীর্তি একদিন না একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাই মানুষকে উচিত বর্তমান সময়কে মূল্য দেওয়া এবং নৈতিকভাবে জীবনযাপন করা।
-
বৌদ্ধ দর্শনেও নশ্বরতা বা “অনিত্য” একটি মৌলিক ধারণা। বুদ্ধ বলেছেন, জীবের সমস্ত অস্তিত্ব পরিবর্তনশীল ও নশ্বর। কেউই চিরকাল এক অবস্থায় থাকে না; জন্ম, বৃদ্ধি ও ক্ষয়ের মধ্য দিয়েই সমস্ত সত্তা প্রবাহিত হয়।
-
সাহিত্যিক ব্যবহারেও নশ্বর শব্দটি গভীর তাৎপর্য বহন করে। কবি ও সাহিত্যিকেরা প্রায়ই এই শব্দটি ব্যবহার করেন জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝাতে। উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু রচনায় মানবজীবনের নশ্বরতার ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
-
শব্দার্থগত দিক থেকে, “নষ্টমান” শব্দটি যদিও কাছাকাছি অর্থ বহন করে, তবে এটি এখনো নষ্ট হচ্ছে — অর্থাৎ “নষ্ট হতে থাকা” বোঝায়। অন্যদিকে “নশ্বর” শব্দটি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা বা স্বভাবকে বোঝায়, যা প্রশ্নের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।
-
অন্য বিকল্পগুলো, যেমন “নিদাঘ” অর্থ তীব্র গরম বা গ্রীষ্মের উষ্ণতা, আর “বনশ্বর” শব্দটি এখানে প্রাসঙ্গিক নয়, কারণ এর অর্থ বনসম্পর্কিত কোনো দেবতা বা রাজা — যা প্রশ্নের ভাবের সঙ্গে অসংগত।
সব মিলিয়ে, “নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার” — এর একক শব্দরূপ নশ্বর-ই সঠিক ও শুদ্ধ উত্তর, কারণ এটি এমন কিছুর প্রকৃতি বা স্বভাব বোঝায় যা চিরস্থায়ী নয়, বরং একসময় বিলুপ্ত বা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
0
Updated: 3 weeks ago