‘বইপড়া’ (বইকে পড়া) কোন সমাস?
A
বহুব্রীহি
B
কর্মধারয়
C
তৎপুরুষ
D
অব্যয়ীভাব
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো তৎপুরুষ।
-
‘বইপড়া’ শব্দটি তৎপুরুষ সমাসের একটি উদাহরণ, যেখানে প্রথম পদ ‘বই’ এবং দ্বিতীয় পদ ‘পড়া’ মিলিত হয়ে একটি নতুন অর্থ তৈরি করেছে।
-
তৎপুরুষ সমাসে সাধারণত প্রথম পদটি পরবর্তী পদের গুণ, কর্ম বা সম্পর্ক নির্দেশ করে।
-
এখানে ‘বইকে পড়া’ অর্থাৎ বই পড়ার কাজ বোঝাতে ‘বইপড়া’ ব্যবহার হয়েছে, যেখানে ‘বই’ পরপদের অর্থকে প্রাধান্য দিয়েছে।
-
সমাসটি মূলত সংক্ষিপ্তভাবে দুটি পদকে যুক্ত করে নতুন এক অর্থ তৈরি করে, যা বাক্যে স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশ পায়।
-
অন্য বিকল্প যেমন বহুব্রীহি, কর্মধারয় বা অব্যয়ীভাব সমাস এখানে প্রযোজ্য নয়, কারণ তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন সংযোগ এবং অর্থ নির্ধারণ করে।
-
তৎপুরুষ সমাস বাংলা ভাষায় ক্রিয়া ও নামপদের সংযুক্তি বোঝাতে গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 4 hours ago
'বিদ্যাহীন' - শব্দটি কোন তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
তৃতীয়া
B
যষ্ঠী
C
পঞ্চমী
D
চতুর্থী
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কিত নিয়ম整理 করা হলো।
-
নিয়ম: পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (যেমন: দ্বারা, দিয়ে, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
মন দিয়ে গড়া = মনগড়া
-
শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ
-
মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
-
-
বিশেষ নোট: ঊন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দও উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়।
-
উদাহরণ:
-
এক দ্বারা ঊন = একোন
-
বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন
-
জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য
-
পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচ কম
-
0
Updated: 1 month ago
'জলদ' কোন সমাসের দৃষ্টান্ত?
Created: 1 month ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
অব্যয়ীভাব সমাস
উপপদ তৎপুরুষ সমাস
-
সংজ্ঞা: যে পদের পরবর্তী ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেই পদকে উপপদ বলা হয়।
-
কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদের যে সমাস গঠিত হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
জলে চরে যা = জলচর
-
জল দেয় যে = জলদ
-
পঙ্কে জন্মে যা = পঙ্কজ
-
বর্ণ চুরি করে যে = বর্ণচোরা
0
Updated: 1 month ago
'বসতবাড়ি' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস
B
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস
C
পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস
D
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস হলো সেই সমাস, যেখানে পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি (যেমন— কে, জন্য, নিমিত্ত ইত্যাদি) লোপ পায় এবং দুটি পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন অর্থবোধক পদ গঠন করে। এই সমাসে সাধারণত কোনো উদ্দেশ্য বা কারণ নির্দেশিত হয়।
উদাহরণ—
-
গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি
-
আরামের জন্য কেদারা = আরামকেদারা
-
বসতের নিমিত্ত বাড়ি = বসতবাড়ি
-
বিয়ের জন্য পাগলা = বিয়েপাগলা
এরূপ আরও উদাহরণ— ছাত্রাবাস, ডাকমাশুল, চোষকাগজ, শিশুমঙ্গল, মুসাফিরখানা, হজযাত্রা, মালগুদাম, রান্নাঘর, মাপকাঠি, বালিকা বিদ্যালয়, পাগলাগারদ ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago