প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল-
A
বনফুল
B
যাযাবর
C
বীরবল
D
ভানুসিংহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যে চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক হলেন প্রমথ চৌধুরী। প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল। তার ১৯১৬ সালে প্রকাশিত 'বীরবলের হালখাতা' প্রথম চলিত রীতিতে লিখিত গ্রন্থ। এটি ১৯০২ সালে প্রথম ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত সবুজপত্র পত্রিকা (১৯১৪) চলিত রীতি প্রবর্তনে মূল ভূমিকা পালন করে। বাংলা সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তকও প্রমথ চৌধুরী।
0
Updated: 5 hours ago
'ভানুসিংহ' কার ছদ্মনাম?
Created: 3 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের
C
প্রমথ চৌধুরীর
D
টেকচাঁদ ঠাকুরের
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
- তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
- এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
- রবীন্দ্রনাথ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।
- ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর বেণীমাধব রায়চৌধুরীর মেয়ে মৃণালিনী দেবী রায়চৌধুরীকে বিয়ে করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- তিনি ১৯১৫ সালে ইংরেজ প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি পান এবং ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দেন।
- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট নয়টি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। এগুলো হলো-
- ভানুসিংহ ঠাকুর,
- অকপটচন্দ্র ভাস্কর,
- আন্নাকালী পাকড়াশী,
- দিকশূন্য ভট্টাচার্য,
- নবীনকিশোর শর্মণঃ,
- ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মাঃ,
- বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ,
- শ্রীমতি মধ্যমা ও
- শ্রীমতি কনিষ্ঠা।
----------------------
অন্যদিকে,
• সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ব্যবহৃত কিছু ছদ্মনাম হলো: নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ, কলমগীর।
• প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল।
• প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
'বীরবল' কোন লেখকের ছদ্মনাম?
Created: 3 months ago
A
আবু ইসহাক
B
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
C
প্রমথনাথ বিশী
D
প্রমথ চৌধুরী
● প্রমথ চৌধুরী
-
প্রমথ চৌধুরী বাংলা ভাষার সাধু আর চলিত রীতির মধ্যে পার্থক্য নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।
-
তিনিই বাংলা গদ্যে চলিত ভাষার প্রচলন শুরু করেন এবং বিদ্রূপধর্মী প্রবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
‘বীরবলের হালখাতা’ নামে তাঁর একটি বিখ্যাত প্রবন্ধ ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
-
এই প্রবন্ধেই তিনি প্রথম চলিত ভাষার ব্যবহার করেন।
-
তিনি বাংলা কবিতায় ইতালীয় সনেটের রীতিও প্রথম চালু করেন।
● প্রমথ চৌধুরীর প্রবন্ধগ্রন্থগুলো
-
নানা কথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
প্রবন্ধ সংগ্রহ
-
বীরবলের হালখাতা
-
তেল-নুন-লকড়ি
● তাঁর লেখা গল্পগ্রন্থ
-
চার ইয়ারী কথা
-
নীল্লোহিত
-
আহুতি
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি কী?
Created: 1 month ago
A
পণ্ডিত
B
বিদ্যাসাগর
C
শাস্ত্রজ্ঞ
D
মহামহােপাধ্যায়
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন একজন বিশিষ্ট প্রাচ্যবিদ্যা বিশেষজ্ঞ এবং সংস্কৃত পণ্ডিত, যিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন সম্মান ও উপাধি দ্বারা কৃতিত্বপূর্ণ সম্মানিত হয়েছেন।
-
উপাধি: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সর্বাধিক পরিচিত উপাধি হলো মহামহোপাধ্যায়।
-
শিক্ষা ও পণ্ডিতত্ব: তিনি প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদ এবং সংস্কৃতের পণ্ডিত ছিলেন।
-
সম্মাননা:
-
১৮৯৮ সালে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি পান, যা ভারতের প্রথাগত সম্মান হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
-
১৯১১ সালে তিনি সি.আই.ই (Companion of the Order of the Indian Empire) উপাধি লাভ করেন।
-
১৯২১ সালে ইংল্যান্ডের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির অনারারি মেম্বার নির্বাচিত হন।
-
১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনারারি ডি.লিট উপাধি লাভ করেন।
-
-
সাহিত্যকর্ম:
-
বেণের মেয়ে
-
বাল্মীকির জয়
-
মেঘদূত
-
প্রাচীন বাংলার গৌরব
-
0
Updated: 1 month ago