'কল্লোল' শব্দটির অর্থ কী?
A
ঢেউ
B
গাল
C
চিবুক
D
কান
উত্তরের বিবরণ
“কল্লোল” শব্দটি মূলত জলে বা তরঙ্গে সৃষ্ট নরম ও হালকা ঢেউ বা তালের শব্দ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি বাংলা ভাষায় ধ্বনিগত ও ব্যাকরণগত দিক থেকে সুগঠিত এবং প্রতিদিনের সাহিত্য ও কথ্য ভাষায় প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।
• “কল্লোল” শব্দের অর্থ হলো ঢেউ, যা সাধারণত নরম, হালকা এবং লহরী আকৃতির।
• শব্দটি প্রায়শই সাহিত্যিক রূপে নদী, সাগর বা হ্রদের পানির তরঙ্গ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
• এটি শুধুমাত্র ভৌত ঢেউ বোঝায় না, অনেক সময় মানসিক উচ্ছ্বাস বা সঙ্গীতের তালের সঙ্গে মিলিত অনুভূতির প্রকাশ হিসাবেও ব্যবহার হয়।
• বাংলা ব্যাকরণের দিক থেকে শব্দটি স্বতন্ত্রভাবে পূর্ণাঙ্গ এবং পরিবর্তনহীন রূপে ব্যবহৃত হয়।
• সাধারণ কথ্য ও লিখিত ভাষায় “কল্লোল” শব্দের ব্যবহার প্রাকৃতিক দৃশ্যের জীবন্ত চিত্রায়ন করতে সাহায্য করে।
এভাবে “কল্লোল” শব্দের অর্থ ও ব্যবহার স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
0
Updated: 5 hours ago
'খদ্দের' শব্দের অর্থ-
Created: 2 months ago
A
বিপদ
B
কাপড় বিশেষ
C
ক্রেতা
D
ক্ষণকাল
• বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
'খদ্দের' শব্দের অর্থ — ‘ক্রেতা’।
অন্যদিকে,
-
'খতর' শব্দের অর্থ — বিপদ
-
'খদ্দর' শব্দের অর্থ — কাপড় বিশেষ
-
'খনেক' শব্দের অর্থ — ‘ক্ষণকাল’
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 2 months ago
‘নামাজ, রোজা’ কোন দেশি শব্দ?
Created: 5 days ago
A
ফরাসী
B
উর্দু
C
তুর্কী
D
আরবি
‘নামাজ’ ও ‘রোজা’ শব্দ দুটি ইসলামী ধর্মীয় অনুশাসনের সাথে সম্পর্কিত, তবে এদের মূল উৎপত্তি ফারসি ভাষা থেকে। আরবি ভাষা থেকে অনুবাদ ও ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে ফারসি ভাষায় এ শব্দগুলো প্রচলিত হয়।
নামাজ শব্দের মূল আরবি শব্দ “সালাত”, যার অর্থ দোয়া বা প্রার্থনা। ফারসিতে এর সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয় “নামাজ”।
রোজা এসেছে আরবি শব্দ “সাওম” থেকে, যার অর্থ বিরত থাকা বা সংযম। ফারসিতে এই শব্দটি “রোজা” আকারে ব্যবহৃত হয়।
পরে উর্দু ও বাংলায় এই দুটি ফারসি শব্দ প্রবেশ করে এবং প্রচলিত হয় ধর্মীয় পরিভাষা হিসেবে।
0
Updated: 5 days ago
লুঙ্গি কোন ভাষার শব্দ?
Created: 2 weeks ago
A
ফারসি
B
সংস্কৃত
C
বর্মী
D
আরবি
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অনেক শব্দের উৎস ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে এসেছে। এর মধ্যে “লুঙ্গি” শব্দটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি প্রচলিত শব্দ হলেও এর উৎস বর্মী ভাষা। এটি প্রমাণ করে বাংলা ভাষার বৈচিত্র্য এবং বহুভাষাগত মিশ্রণ। নিচে এই শব্দটির উৎস, ব্যুৎপত্তি ও ব্যবহার সম্পর্কিত মূল তথ্য তুলে ধরা হলো।
-
উৎপত্তি ও ব্যুৎপত্তি: “লুঙ্গি” শব্দটি এসেছে বর্মী ভাষার ‘লৌঙ্গি’ শব্দ থেকে, যার অর্থ কোমরে জড়ানো কাপড়। এটি পরবর্তীতে বাংলায় এসে উচ্চারণে পরিবর্তিত হয়ে “লুঙ্গি” হয়েছে।
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে, কেউ কেউ মনে করেন এটি ফারসি শব্দ ‘লঙ্গি’ থেকে উদ্ভূত, তবে অধিকাংশ ভাষাবিদ বর্মী উৎসকেই সঠিক মনে করেন। -
অর্থ ও ব্যবহার: লুঙ্গি বলতে বোঝায় কোমরে জড়িয়ে পরিধানযোগ্য এক ধরনের কাপড়। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি প্রথাগত পোশাক, যা বিশেষত বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কায় প্রচলিত।
বাংলার গ্রামীণ জীবনে এটি পুরুষদের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাক। -
ভাষাগত বিস্তার: “লুঙ্গি” শব্দটি কেবল বাংলা নয়, বরং হিন্দি, সিন্ধি, তেলুগু, ওড়িয়া, কন্নড়, মালয়ালম ও তামিল ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়। এতে বোঝা যায় শব্দটি আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ ব্যবহারে এসেছে।
-
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য: লুঙ্গি শুধু পোশাক নয়, এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ। গ্রামীণ ও শহুরে জীবনে এটি আরামদায়ক পোশাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক অঞ্চলে লুঙ্গির নকশা ও রঙে স্থানীয় ঐতিহ্যের ছাপ দেখা যায়, যেমন চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর রঙিন লুঙ্গি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
-
ভাষাগত মিশ্রণ:
বাংলা ভাষায় বহু শব্দ বিদেশি উৎস থেকে এসেছে। যেমন—
মায়ানমার (বর্মী) শব্দ: ফুঙ্গি, লুঙ্গি
জাপানি শব্দ: রিক্সা, হারিকিরি
হিন্দি শব্দ: চিঠি, ঠিকানা, পানি
ফারসি শব্দ: দরজা, জানালা, দুনিয়া
এসব শব্দ আজ বাংলার সঙ্গে এতটাই মিশে গেছে যে এগুলোকে আলাদা ভাষার অংশ বলা কঠিন। -
ভাষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি: গবেষকদের মতে, বাংলা ভাষা একটি মিশ্র ভাষা, যার ভাণ্ডারে সংস্কৃত, ফারসি, আরবি, পর্তুগিজ, ইংরেজি ও বর্মী ভাষার শব্দ যুক্ত হয়েছে। “লুঙ্গি” সেই ধারারই একটি সুন্দর উদাহরণ, যা ভাষার ধারাবাহিক বিনিময়ের প্রমাণ বহন করে।
সুতরাং, বলা যায় যে “লুঙ্গি” শব্দটি মূলত বর্মী ভাষার “লৌঙ্গি” শব্দ থেকে এসেছে, যা পরে বাংলা ভাষায় অভিযোজিত হয়েছে। এটি ভাষাগত আদান-প্রদানের এক জীবন্ত নিদর্শন এবং দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতির বহুমাত্রিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন।
0
Updated: 2 weeks ago