আখলাক কয় প্রকার?
A
তিন প্রকার
B
চার প্রকার
C
দুই প্রকার
D
পাঁচ প্রকার
উত্তরের বিবরণ
ছোট করে বলা যায়, আখলাক মানুষের চরিত্র ও আচরণের সেই গুণাবলি যা তার ব্যক্তিত্বকে নৈতিক ও আদর্শিকভাবে গঠন করে। ইসলামী শিক্ষায় আখলাককে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়, যাতে ভালো ও মন্দ উভয় আচরণের পার্থক্য স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। নিচে তালিকা আকারে প্রয়োজনীয় তথ্য সাজানো হলো।
-
আখলাক দুই প্রকার: খারাপ আখলাক ও ভালো আখলাক।
-
ভালো আখলাক: সত্যবাদিতা, নম্রতা, দয়া, উদারতা, ন্যায়পরায়ণতা ও বিশ্বস্ততা মানুষের সুন্দর চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
মন্দ আখলাক: মিথ্যা বলা, অহংকার করা, হিংসা, প্রতারণা, রাগ ও কূপমণ্ডূকতা সমাজ ও ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
-
আখলাকের উদ্দেশ্য: মানুষের হৃদয়কে পবিত্র করা ও সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।
-
ইসলামী শিক্ষা: কুরআন ও হাদিসে আখলাকের উন্নয়নকে একজন মুমিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
সুন্দর আখলাকের গুরুত্ব: পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে মহৎ আখলাক অপরিহার্য।
-
ব্যক্তিগত উন্নয়ন: ভালো আখলাক মানুষকে সম্মান, আস্থা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করে।
0
Updated: 5 hours ago
সর্বপ্রথম পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ভুল ভাবে কে নির্ণয় করেন?
Created: 4 weeks ago
A
ইবনে হাইসাম
B
আল ইদ্রিসি
C
আল কিন্দি
D
আল বেরুনী
আল-বেরুনী ছিলেন মধ্যযুগের এক মহান মুসলিম বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ, যিনি সর্বপ্রথম পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ভুলভাবে নির্ণয় করেন। তিনি গণনার জন্য নিজস্ব এক অভিনব ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন।
-
তিনি পাহাড়ের উচ্চতা ও দৃষ্টিকোণ পর্যবেক্ষণ করে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করেন।
-
ব্যবহৃত পদ্ধতিতে তিনি ত্রিকোণমিতি ও জ্যামিতির নিয়ম প্রয়োগ করেন, যা তখনকার যুগে অত্যন্ত আধুনিক ছিল।
-
তার এই পরিমাপ আধুনিক প্রযুক্তির আগেও অবিশ্বাস্যভাবে সঠিক ছিল।
-
আল-বেরুনীর কাজ পরবর্তীকালে ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা ও পদার্থবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 weeks ago
আল বিরুনীর সবচেয়ে বড় গবেষণার ক্ষেত্র কী ছিল?
Created: 4 weeks ago
A
গনিত
B
রসায়ন
C
ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা
D
চিকিৎসা বিদ্যা
আল-বিরুনি ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, যিনি মূলত ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গভীর গবেষণা করেছেন। তিনি পৃথিবীর আকৃতি, পরিধি ও ব্যাসার্ধ নির্ণয়ে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন এবং তাঁর গণনাগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের কাছেও বিস্ময়করভাবে নির্ভুল বলে স্বীকৃত।
-
তিনি পৃথিবীকে গোলাকার ও নিজ অক্ষে ঘূর্ণনশীল বলে যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন।
-
তাঁর গবেষণায় পৃথিবীর পরিধি ও ব্যাসার্ধের নির্ধারণ ছিল অত্যন্ত নিখুঁত।
-
নক্ষত্র, সূর্য ও চন্দ্রের গতি ও অবস্থান নিরূপণ, সময় পরিমাপ ও জ্যোতির্বিদ্যাগত পর্যবেক্ষণে তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখান।
-
তিনি “আল-কানুন আল-মাসউদি” নামক গ্রন্থে ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের বহু তথ্য সংকলন করেন।
-
ভারত ভ্রমণের সময় তিনি “তাহকিক মা লি-ল-হিন্দ” গ্রন্থে ভারতীয় সংস্কৃতি, ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যার বর্ণনা দেন।
-
তাঁর গবেষণার ফলাফল ইউরোপীয় বিজ্ঞান বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 weeks ago
মহানবীর সর্বশেষ যুদ্ধ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
হুনাইনের যুদ্ধ
B
খাইবারের যুদ্ধ
C
তাবুকের যুদ্ধ
D
ইয়ামামার যুদ্ধ
মহানবীর (সা.) জীবনের সর্বশেষ যুদ্ধ ছিল তাবুক অভিযান, যা ইসলামী ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
-
এই অভিযান অনুষ্ঠিত হয় ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে (৯ হিজরির রজব মাসে)।
-
এটি ছিল মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত সর্বশেষ সামরিক অভিযান।
-
তাবুক ছিল রোমান সাম্রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা, যেখানে মুসলমানদের শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
এই অভিযানে প্রকৃত যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তবে এটি ইসলামের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থানকে দৃঢ় করেছে।
-
তাবুক অভিযানের মাধ্যমে মুসলমানদের প্রতি আরব উপদ্বীপের আনুগত্য ও ইসলামী প্রভাব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
0
Updated: 4 weeks ago